কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে ৭ দিনের নবজাতক কে ৯ তলা ভবন থেকে ফেলে হত্যা করেছে মা। মঙ্গলবার রাত ৪টায় পৌর শহরের কমলপুরের নিউ টাউনের ফুল মিয়া সিটি এলাকায় নবম তলার বাতরুমের বেলকনি দিয়ে নিচে ফেলে হত্যা করে মা তৃশা আক্তার। এই ঘটনায় মা তৃষা আক্তার কে আটক করেছে থানা পুলিশ।
নিহত শিশুটির নাম তাসনিদ এহসান। তার বাবা ডা. উসমান গণি। তিনি সেন্ট্রাল হাসপাতাল নামের একটি স্থানীয় হাসপাতালের মালিক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক।
এ দিকে স্থানীয়রা জানান, ডা. উসমান গণির দ্বিতীয় স্ত্রী তৃশা। তাদের পরিবারের বোরাক নামের দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সাত দিন আগে ডা. উসমান গণির মাধ্যমে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে নবজাতকের জন্ম হয়। তবে বেশ কিছুদিন যাবত তাদের পরিবারে কলহ লেগেই রয়েছে। প্রায় সময় তাদের বাসা থেকে চিৎকার চেচামেচির শব্দ শুনতে পাওয়া যেত। ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, নবজাতক শিশু তাসনিদ এহসান ছিল তৃষা ও ডাক্তার উসমান গণি দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান। তাদের দেড় বছরের আরেকটি সন্তান রয়েছে।
তৃষা অর্নাস পড়ুয়া একজন ছাত্রী। সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সন্তান নিতে চায়নি। কিন্তু এই সন্তানটি হয়ে গেলে সে আর নষ্ট করে নি। এই নিয়ে তার স্বামী ডাক্তার উসমান গণির সাথে ঝামেলা চলছিল। সে এই সন্তানটি নিতে চাইনি এই নিয়ে স্বামীর সাথে রাগে ক্ষোভে সে বাতরুমের বেলকনি থেকে ফেলে হত্যা করে বলে স্বীকার করে শিশুটির মা তৃষা। এই ঘটনায় শিশুটির পিতা ডাক্তার উসমান গণি বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ভোরের আকাশ/মি