রংপুর সদর উপজেলায় মরিচ ক্ষেত থেকে ইজিবাইক চালক মোহাম্মদ আলীর লাশ উদ্ধারের পর তার খালু মোক্তার হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্ত এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে খালু মোক্তার হোসেনসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার রাতে র্যাব-১৩ এর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় ইজিবাইক চালক মোহাম্মদ আলীকে হত্যার পরিকল্পনা করে খালু মোক্তার হোসেন। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী আরেক ইজিবাইক চালক রেদোয়ান মিয়া ভাড়ার কথা বলে মোহাম্মদ আলীকে সদর উপজেলার সদ্যপুস্করনী ইউনিয়নের কাটাবাড়ি জমিদার পাড়া বিলের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছালে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে মোক্তার হোসেন। মোহাম্মদ আলী মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে মুখসহ সারা শরীর এসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
র্যাব আরও জানায়, মোহাম্মদ আলীর ভাই ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার পরেও খালু বাদি হয়ে মামলা দায়ের করায় সন্দেহ শুরু হয়। পরে তদন্ত করে ইজিবাইক চালক রেদোয়ান মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে করলে তার দেওয়া তথ্যমতে মোহাম্মদ আলীর খালু মোক্তার হোসেন ও ইসলাম মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ২১ জুন বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে মোহাম্মদ আলী। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার সন্ধান না পাওয়ায় মিঠাপুকুর থানায় একটি সাধারণ জিডি করে পরিবার। রোববার দুপুরে উপজেলার সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নের পালিচড়া জমিদারের দোলা এলাকার মরিচ ক্ষেত থেকে একটি লাশ উদ্ধার হলে এটি মোহাম্মদ আলী লাশ বলে সনাক্ত করেন তার পরিবার।
ভোরের আকাশ/ সু