নোয়াখালীর সদর উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পল্লী বিদ্যুতের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ১৪জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আহত সুধারাম থানার এএসআই আবদুর রব চৌধুরীসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সকালে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজারে এই ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত ১৪জনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পল্লী বিদ্যুতের দুটি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি মতিন। তিনি আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক বকসির ছেলে এবং স্থানীয় চৌরাস্তা বাজারের একজন ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চৌরাস্তা বাজার থেকে মতিনকে গ্রেপ্তার করে সুধারাম থানার এএসআই আবদুর রব চৌধুরী।
এরপর গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে থানায় নিয়ে আসার পথে স্থানীয় চৌরাস্তা বাজারে সাবেক চেয়ারম্যান বকসির অন্য ছেলেরা তাদের সদস্যদের নিয়ে পুলিশের সিএনজির গতিরোধ করে। একপর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মতিনকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়। পরবর্তীতে একই দিন বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত ১৪জনেক গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই সাথে সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল হক বকসিকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়।
নোয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন, পরোয়ানাভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করলে আসামির পরিবারের সদস্য ও সহযোগীরা হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ ১৪জনকে গ্রেপ্তার করে।
সাবেক চেয়ারম্যান বকসিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে ১৪জনকে আসামি করে মামলা নেওয়া হয়েছে।
ভোরের আকাশ/ সু