গাইবান্ধায় বেশ কয়েকদিন থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি আর উজানের ঢলে আবারো তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে জেলার প্রধান অন্য সব নদ-নদীর পানি কমছে। একসপ্তাহ আগে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। তবে এখন বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
শনিবার (২৯ জুন) দুপুর ৩টায় গাইবান্ধা পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তার পানি ১১সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ৩টা থেকে আজ শনিবার দুপুর ৩ টা পর্যন্ত এই পরিমাণ পানি কম-বাড়া হয়। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, উজানের ঢলে ও বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে করতোয়া, ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে শুরু করেছে। জেলার সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, হরিপুর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকেছে। নদীবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে হাজারো মানুষ পানি বন্ধি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে রংপুরর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ভোরের আকাশ/ সু