বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ কোটার দাবি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে এ দাবি জানান তারা।
এছাড়াও সরকারি চাকরিতে বা জীবনে একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবে কোটাধারী শিক্ষার্থীরা এমন দাবিও জানান তারা। এসময় এমন সব কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, হাইকোর্টের এ রায় বৈষম্যমূলক। কানাডায় কোনো কোটা পদ্ধতি নেই, মাত্র ৫% কোটা আছে পাশের দেশ চীন ও ভারতে। বাংলাদেশের এতো উন্নয়নশীল দেশ হয়েও ৫৬% কোটা দিচ্ছি যা চরম বৈষম্য। আমরা দ্রুত কোটা সংস্কার চাই। কোটা বাতিল হোক এমনটা আমরা চাই না। কারণ কোটার বিষয়ে সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শিক্ষার্থীরা কর্মসূচিতে অবস্থান নেয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন স্কীম প্রত্যয় প্রত্যাহার এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবন চত্বরে আয়োজিত ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচিতে এই দাবি জানান তারা।
এসময় শিক্ষকেরা বলেন, প্রত্যয় স্কিম একটি বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককের মধ্যেই বৈষম্য তৈরি হবে। ১ জুলাইয়ের পর যারা শিক্ষকতার কিংবা অন্য ব্যাংক-বিমা ও আধা সরকারি চাকরিতে ঢুকবেন তাদের জন্য আলাদা নিয়ম আর বাকিদের জন্য আলাদা নিয়ম। আমাদের পরবর্তী জেনারেশন এই বৈষম্যের শিকার হবে। আমরা এই বৈষম্য চাই না। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন কর্মসূচি চলমান থাকবে।
ভোরের আকাশ/ সু