logo
আপডেট : ২ জুলাই, ২০২৪ ১৭:৪৮
পাম্পে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় দিনে ১৫ ঘন্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

পাম্পে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় দিনে ১৫ ঘন্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে

ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে রোডের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি গ্যাস পাম্প

হাইওয়ে পুলিশের নির্দেশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড আশপাশ এলাকার ৪টি সিএনজি চালিত পাম্প থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে পাম্প মালিকেরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি আশীষ কুমার সান্যালের লিখিত নির্দেশে শনিবার থেকে পাম্প মালিকরা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এতে করে হাজার হাজার সিএনজি অটোরিকশার চালক চরম বিপাকে পড়েছেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশা'র চালকরা জানান, তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

পাম্প মালিকেরা জানান, শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি আশিষ কুমার সান্যাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সিএনজিচালিত অটোরিকসায় যেন দিনের বেলায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়, এমন নির্দেশনা দেয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দিনের বেলায় ফিলিং স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ মহাসড়কের উপর অবৈধভাবে পার্কিং করে গ্যাস সরবরাহ করে আসছে। ফলে মহাসড়কে প্রতিনিয়ত যানজট হচ্ছে।

সরকারি নির্দেশনায় রয়েছে যে, মহাসড়কের উপর অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করা এবং সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত থ্রী হুইলার টাইপের গাড়ি যেমন সিএনজিতে গ্যাস সরবরাহ করা সম্পূর্ন বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অবস্থায় মহাসড়কের উপর অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং না করার জন্য এবং সিএনজি গাড়িতে সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ না করার জন্য অনুরোধ রইল। বর্ণিত নির্দেশনার ব্যতয় ঘটলে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশের কাছ থেকে এমন নির্দেশনা পেয়ে দিনের বেলায় সব ধরনের সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেন পাম্প মালিকেরা।

এ ব্যাপারে বিশ্বরোড এলাকার গরিবে নেওয়াজ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মো. মোনায়েম মিয়া ও ফাহাদ ফিলিং স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা সঞ্জিব বর্মন জানান, হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে দিনের বেলায় (সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা) পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার নির্দেশনার কারণে আমরা সিএনজি অটোরিকশায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছি। পরবর্তী নির্দেশনা আসা পর্যন্ত আমরা এই সিদ্ধান্ত বহাল রাখবো।

তবে তিনি জানান, বন্ধ রাখার কারণে পাম্পের মালিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এদিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে হাজার হাজার অটো রিকশাচালক চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। অটোরিকশা চালকরা জানান, সারারাত জেগে গ্যাস নিতে হলে, পরের দিন গাড়ি চালাতে হবে চোখে ঘুম নিয়ে। এতে সিএনজি অটো চালকদের দূর্ঘটনার ঝুঁকি আরো বাড়বে।

এদিকে জেলা সিএনজি চালক ও মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আ: কুদ্দুস বলেন, 'কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ করে পুলিশ নির্দেশ দিয়েছেন, সিএনজিতে রাতে গ্যাস দেয়ার জন্য। এতে করে আমাদের চালকেরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। এই সিদ্ধান্ত পরির্বতন করা না হলে আমরা বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলব; পুরো জেলা অচল করে দেবো।'

এ বিষয়ে সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মিয়া জানান, শ্রমিকদের স্বার্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাইওয়ে পুলিশের এই সিদ্ধান্ত বদল না করলে মহাসড়ক বন্ধসহ বৃহৎ কর্মসূচী নেয়া হবে।

এ বিষয়ে খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের ওসি আশিষ কুমার সান্যাল বলেন, 'যানজট নিরসনের জন্যে হাইওয়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক তিনি সিএনজি পাম্প গুলোতে চিঠি দিয়েছেন। বিআরটিএ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এবং সিলেট-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে কমপক্ষে ১৬ হাজার নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চলাচল করে।'

 

ভোরের আকাশ/ সু