সিলেটের বিশ্বনাথে চারদিকের খাল বিলে থইথই করছে পানি। তাই নৌকার কদর বেড়েছে। এ কারণে জমে উঠেছে উপজেলার একমাত্র বৈরাগী বাজারের শতবর্ষী নৌকার হাট। সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার এই নৌকার হাটকে কেন্দ্র করে সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
সরেজমিনে নৌকার হাটে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের বৈরাগী বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মাকুন্দা নদীর চরে সারি সারি নৌকা সাজিয়ে বসে আছেন কারিগররা ও বিক্রেতারা। দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে দেখে শুনে ক্রেতারা কিনে নিয়ে যান পছন্দের নৌকা। পাশাপাশি নৌকা বাজারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রকমের আকর্ষণীয় বৈঠাও সাজিয়ে রেখেছেন তারা।
স্থানীয়দের মতে, নৌকার বাজার হিসেবে বৈরাগী বাজার সিলেট অঞ্চলের মানুষের কাছে বেশ পরিচিত। এ হাটটি প্রায় শত বছর কিংবা তারও অধিক বছরের পুরোনো হবে। তবে কেউই এর সঠিক ইতিহাস বলতে পারেননি।
বৈরাগী বাজারে নৌকা বিক্রেতা নিপেন্দ্র রায়ের বলেন, আমরা জারুল, কড়ই, রেন্টি, আম, জাম, চামবুল, শিমুল ও কৃষ্ণচূড়াসহ প্রায় সব কাঠ দিয়েই নৌকা তৈরি করে থাকি। কাঠের ব্যবহার ও আকারের ওপর প্রতিটি নৌকার দাম পড়ে ৮ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। জারুলের তৈরি নৌকা সর্বোচ্চ ও শিমুলের তৈরি নৌকা সর্বনিম্ন দামে বিক্রি হয়ে থাকে। তবে ৫০ হাজার টাকা দরের নৌকাও উঠে এই বাজারে।
বাজারের ইজারার দায়িত্বে থাকা খলিল মিয়া জানান, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নৌকার চাহিদা বাড়ে। তবে গত সপ্তাহে হঠাৎ করে বিশ্বনাথে বন্যা হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুণ। বৃহস্পতিবারে প্রায় আড়াইশ’র অধিক নৌকা বিক্রি হয়েছে।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান সুইট বলেন, বৈরাগী বাজারের নৌকার হাট অনেক পুরোনো। এটি উপজেলার একটি ঐতিহ্য। এই বাজারকে ধরে রাখতে উন্নয়নের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
ভোরের আকাশ/ সু