সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদ-নদীর পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। আজ বুধবার (৩ জুলাই) বিকাল তিনটায় সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার সমান রয়েছে বলে জানিয়েছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। যা গতকালও ছিল বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপরে। গত তিনদিন সুনামগঞ্জে ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার চারটি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়।
গতরাত থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও মধ্যনগর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে নদীতীরবর্তী ও জেলার নিন্মাঞ্চলে ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে রয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। তাছাড়া বিভিন্ন সড়কে ভাঙনসহ পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় জেলা সদরের সঙ্গে দোয়ারাবাজার ও তাহিরপুর উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জের ১৩০২টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিতদের জন্য ৫৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৭০০ বন্যা কবলিত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা সুনামগঞ্জে ভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবং ৫ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এতে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
ভোরের আকাশ/মি