logo
আপডেট : ৪ জুলাই, ২০২৪ ১৫:২৬
গাইবান্ধায় বন্যায় কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দী;নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধায় বন্যায় কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দী;নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

গাইবান্ধায় বেশ কয়েদিন থেকে বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সব নদ-নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। জেলার তিস্তা, যমুনা ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ঘাগোয়া ও ফুলছড়ি উপজেলার এরান্ডাবাড়ি , ফুলছড়ি ও ফজলুপুর এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, হরিপুর ইউনিয়ন ও সাঘাটা উপজেলা ভরতখালী ও হলদিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল গুলো প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথেই নতুন করে সদরের মোল্লার চর ও ফুলছড়ির ফজলুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গন শুরু দেখা দিয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (৪জুলাই) দুপুর ১২টায় গাইবান্ধা পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। একইভাবে ঘাঘটের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৫৬ সেন্টিমিটার , তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে করতোয়া গোবিন্দগঞ্জে চকরহিমাপুর পয়েন্টে ৭৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

বন্যার পানি বাড়ার কারনে জেলার চলাঞ্চলের রাস্তাঘাটসহ বাড়ি - ডুবে গেছে। অনেক ফসল পানি নিচে তলে গেছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এসব এলাকার পানিবন্দি মানুষরা গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন।

 

সদর উপজেলার কামারজানী ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ইউপি সদস্য নুরুন্নবী মিয়া ভোরের আকাশকে জানান, বন্যায় পারদিয়ারা এলাকার প্রায় অর্ধেক বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। সময় যত বাড়ছে ততই নতুন নতুন এলাকায় পানি ঢুকছে। অনেক বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। পানিবন্দি মানুষদের জন্য সরকার থেকে এখনো কোনো সহযোগিতা পাইনি।

 

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ভারী বর্ষণ ও উজনের ঢলে গাইবান্ধায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তবে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সব ধরনের ঝুঁকি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

 

ভোরের আকাশ/মি