বেশ কয়েদিন থেকে বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে গাইবান্ধার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় সদর, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ৬৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এর মধ্যে গাইবান্ধা সদরের ১৭টি, ফুলছড়িতে ১৪টি, সাঘাটায় ২১টি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম ভোরের আকাশকের প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গাইবান্ধা জেলার মোট ৭০টি বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। পাঠদান বন্ধ ৬৩টিতে, মোট আশ্রয়কেন্দ্র ১৫টিতে, নদীতে ভেঙ্গে গিয়েছে ৭টি, বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে ৪টিতে।
তিনি আরো বলেন, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জেলার চার উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেউই স্কুলে আসতে পারছেন না। এমন ৬৩ টি স্কুলের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্যার পানি কমার সাথে সাথে এসব স্কুলে পাঠদান শুরু করা হবে।
জানা গেছে, কয়েকদিন ধরেই নদ-নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে গাইবান্ধার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার পাট, বাদাম ও শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল। কাঁচা রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। পরিবারের শিশু-বৃদ্ধসহ গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৯টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি জেলার ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের চকরহিমাপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৪২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলায় ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৪.০০ মিলিমিটার।
ভোরের আকাশ/ সু