বাঁশ শিল্পের জাদুকর মহিদুল ইসলাম। ছাত্রজীবন থেকেই বাঁশ দিয়ে টুকটাক জিনিস পত্র তৈরী করতে আগ্রহী ছিলেন। সেই আগ্রহ আর ইচ্ছা শক্তি দিয়ে হয়ে উঠেন একজন সফল উদ্যোক্তা। বর্তমানে বাঁশ দিয়ে দৃষ্টিনন্দন পণ্যসামগ্রী তৈরি করে এলাকায় রীতিমতো সাড়া ফেলেছেন এই তরুণ উদ্যোক্তা। তার তৈরি জিনিস পত্র হোটেল, রিসোর্ট, বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে ঘর সাজাতে শৌখিনপ্রেমীদের মধ্যে এ হস্তশিল্পের কদর রয়েছে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের রামধন গ্রামের বাসিন্দার। তার নিজ বাড়িতেই গড়ে তুলেছেন স্বপ্নচূড়া বাঁশ শিল্প কর্নার নামে একটি হস্তশিল্পের ঘর।সেখানে তিনি নিজেই শিল্পকর্মের কারিগর হিসেবে কাজ করেন।
সেই ঘরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে মহিদুলের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় বাঁশের উপর খোদায় করা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি দৃষ্টিনন্দন ছবি। বাঁশের তৈরি বিভিন্ন শোপিস ওয়াইন গ্লাস,মগ, কেটলী, উপজাতীয় হুকা,কানের দুল, ফুলদানি, কলম দানি,স্ট্রে সহ বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র।
শুধু বাঁশের কাজেই নয়, বাড়ির গেটেই চোখে পড়লো দুই পাশে দুটো অপরাজিতা গাছের ফুলের গাছ। এই ফুল দিয়ে তৈরি চা খুবই টেস্টি। এই চা ডায়াবেটিসসহ নানা রোগের করে উপশম। আম,লিচু, কাঁঠাল, তাল, নারিকেলসহ নানা ধরনের কলম করা সব গাছ। রয়েছে চাহিদা মেটাতে পুষ্টি বাগান। গড়ে তুলেছেন হাজার খানেক চারার নারিকেল নার্সারী।
স্থানীয়রা বলছেন, দৃঢ়সংকল্প আর ইচ্ছাশক্তির মধ্য দিয়ে নিজের প্রতিভাকে বিকশিত করেছেন মহিদুল ইসলাম।তার এই শিল্প দেশের গন্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বেও আলোর মুখ দেখবে।
উদ্যোক্তা মহিদুল ইসলাম ভোরের আকাশকে বলেন, করোনাকালে ব্যবসায় লোকসান হলে, ব্যবসায় আর হাল না ধরে নিজ বাড়িতেই বাঁশ দিয়ে নানা ধরনের পণ্য তৈরি করাতে শুরু করি। বন বিভাগে চাকুরি করা বাবার কাছ থেকেই এ শিক্ষা ৷ আর সেটাই কাজে লাগিয়েছি আমি। এই শিল্পকে আরও বৃহৎ পরিসরে এগিয়ে নিতে চাই। এজন্য দরকার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে দিতে চাই নিজের তৈরি করা জাতির জনকের ছবি।
গাইবান্ধা জেলা বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রবীন চন্দ্র রায় ভোরের আকাশকে বলেন, তরুণ এই উদ্যোক্তার উৎপাদিত পণ্যে আমারা ইতি মধ্যেই দেখেছি। উদ্যোগ খুবই ভালো। তিনি বিসিকের কাছে তার বাঁশ শিল্পকে সম্প্রসারণ করার জন্য আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন আমরা সরকারী নিয়ম মোতাবেক সহযোগিতা করবো।
ভোরের আকাশ/ সু