ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে চুরির অপবাদে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে সালিসি সভায় এক নারীকে (২৫) অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগে দুই ইউপি সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
বিজয়নগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান জামিল খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটকৃত দু'জন হলেন- উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ইসহাক মোল্লা এবং একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার হোসেন মিয়া।
বিজয়নগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান জামিল খান জানান, কয়েকদিন আগে বিষ্ণুপুরের এক চৌকিদারের স্ত্রীকে চুরির অপবাদ দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামালের নির্দেশে বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন ওই নারীকে ব্যাপক মারধর করেন। চৌকিদারের স্ত্রীকে অমানুষিক নির্যাতনের ভিডিও শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে ভিডিও ফুটেজ দেখে সাবেক ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
এই ঘটনা লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
অভিযুক্ত বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ইসহাক মোল্লা জানান, একটি বাড়িতে স্বর্ণালংকার চুরি ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সালিসি সভা হয়। সালিসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই নারীকে মারধর করা হয়েছে। তবে এই মারধর করা আমাদের ভুল ছিল।
তবে আরেক অন্যতম অভিযুক্ত বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনের বক্তব্য নিতে নানাভাবে চেষ্টা করেও সম্ভবপর হয়ে উঠেনি।
ভোরের আকাশ/ সু