টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাত্রাকালে মাঝপথে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার তৎপরতায় অসহযোগিতার অভিযোগে কোস্ট গার্ডের সঙ্গে দ্বীপবাসীর সংঘাতের জের ধরে দ্বীপে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দ্বীপের সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। কোস্টগার্ড সদস্যরা দ্বীপে টহল জোরদার করেছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া স্থানীয়রা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বলেন, সাগরে তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজরা হলেন, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নুর মোহাম্মদ সাগর, আব্দুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ফাহাদ ও আজম আলীর ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল।
তিনি বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনায় উদ্ধার করতে গিয়ে আরেকটি স্পিড বোট ডুবির ঘটনা ঘটেছে। গেল বুধবার রাত ৮টার দিকে উম্মত আলী ও কালা মানিক সাঁতরে শাহপরীর দ্বীপের কূলে উঠতে পারলেও ফাহাদ ও ইসমাইল নিখোঁজ রয়েছেন।
এর আগে বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামের একটি ফিশিং ট্রলার ডুবে যায়। এসময় ট্রলারে থাকা ১২ জন জেলে ও যাত্রীর মধ্যে ১১ জনকে উদ্ধার করা হয়। জেলে ও বাসিন্দারা সেন্টমার্টিন ঘাট থেকে যাওয়া কয়েকটি ফিশিং ট্রলার, সার্ভিস বোট ও স্পিড বোটে করে গিয়ে এই উদ্ধার তৎপরতা চালায়। তবে এসময় একটি স্পিড বোটও ডুবে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ট্রলার ডুবির পর কোস্ট গার্ডকে অবহিত করা হলেও তারা উদ্ধার তৎপরতা চালায়নি। পরে দ্বীপবাসী সার্ভিস বোট ও ফিশিং ট্রলার নিয়ে উদ্ধারে যেতে চাইলে কোস্ট গার্ড সদস্যরা স্থানীয়দের বাধা দেন। তারপরও স্থানীয়রা জেলেদের উদ্ধারে সাগরে যান এবং ১১ জনকে উদ্ধার করেন। অপরজনের খোঁজ পাননি তারা। উদ্ধার ব্যক্তিদের নিয়ে ঘাটে ফিরলে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা তাদের সঙ্গে ছবি তোলার চেষ্টা করেন। তখন উদ্ধারে যাওয়া লোকজন ও স্থানীয়রা তাদের ছবি তুলতে বাধা দেন। একপর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন কোস্ট গার্ডের চৌকিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। কোস্ট গার্ড এসময় ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এতে দ্বীপের কোনাপাড়ার করিম উল্লাহর ছেলে হামিদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশ এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন।
ভোরের আকাশ/ সু