ভারী বৃষ্টিপাতে বান্দরবানের অন্যান্য উপজেলার মতো জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সাঙ্গু নদীর পানি বেড়ে শহরের ইসলামপুর এলাকাসহ কয়েকটি এলাকার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন লোকজন।
বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ির কয়েকটি এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলেও ঘুমধুম ও তমব্রু এলাকায় এখনো পানি সরেনি। এদিকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাতে নতুন করে রুমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তী জানান, শুক্রবার সাঙ্গু নদীর বান্দরবান শহর পয়েন্টে বিপৎসীমার খুব কাছাকাছি অবস্থান করছিল। সবশেষ সন্ধ্যা ৬টায় নেয়া রেকর্ড অনুযায়ী, ১৩ দশমিক ৭৮ এমএমএসএল উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যার বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৮০ এমএমএসএল।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলা সদরে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে মাত্র ৪৮ দশমিক ৭ মিলিমিটার।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলায় মোট ২১৪টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশ থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে এবং পানি বাড়লে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য সকাল থেকে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার কয়েকটি স্থানে ছোটখাটো পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহত বা বড় ধরনের সম্পদহানীর খবর পাওয়া যায়নি।
ভোরের আকাশ/মি