লক্ষ্মীপুরে কোটাবৈষম্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। রোববার বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে ও মাদাম ব্রিজ এলাকায় এ সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।
শহরের উত্তর তেমুহনীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং মাদাম ব্রিজ, ঝুমুর এলাকায় ছাত্রসহ আন্দোলনকারীরা লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। তারা পাল্টাপাল্টি শ্লোগান দিচ্ছেন। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে আওয়ামী লীগ ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শহরের ঝুমুর ও মাদাম ব্রিজ এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পিছু হটে শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় এসে অবস্থান নিয়েছে। আর শিক্ষার্থীরা মাদাম ব্রিজ থেকে ঝুমুর এলাকা পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে, সদর হাসপাতাল গিয়ে চারজনকে আহত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এরমধ্যে চারজনই ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। তারা হলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ হীরা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ফয়সাল ও লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান প্রিয়সহ চারজন।
খবর পাওয়া গেছে, বৈষম্বিরোধী আন্দোলনকারীদেরও ১০-১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। এরপরে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের লোকজন বাগবাড়ি দখলে নেয়। তখন লক্ষ্মীপুর ন্যাশনালা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভাঙচুর করে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা।
সাড়ে ১১টার দিকে মাদাম ব্রিজ এলাকার দিকে গেলে আওয়ামী লীগকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা বাধা দেয়। এতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। গোলাগুলি ও ইটপাটকেল ছোঁড়াছুঁড়ির ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ পিছু হটে চলে আসে। আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা শাহনেওয়াজ হীরা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে ঝুমুর অতিক্রম করছিলাম। এ সময় জামায়াত-শিবির ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। গুলিও করেছে। চাপাতি দিয়ে আমাদের অনেককে কুপিয়েছে।