রমনা কালী মন্দির ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত হিন্দু মন্দিরসমূহের মধ্যে অন্যতম, এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। এটি প্রায় এক হাজার বছরেরও পুরাতন প্রাচীন নিদর্শন বলে বিশ্বাস করা হয়, কিন্তু ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি আবার নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল । তার পর ১৯৯৯ ইং সালে এসে ততকালীন বিএনপি সরকার এই মন্দিরটি সংস্করণ করে এবং ২০২০ সালে মূল মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করা হয় ভারত বাংলাদেশের অর্থায়নে ।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রমনা পার্কের (যার বর্তমান নাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বহির্ভাগে অবস্থিত।বর্তমানে বাংলার সংস্কৃতিতে এ মন্দিরের উল্লেখ্য ভূমিকা আছে। মন্দিরের চূড়ার বর্তমান উচ্চতা ৯৭ ফুট।
এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি সকল ধর্ম বর্ণের লোকজনের প্রতিদিন সমাগমে মুখরিত থাকে এ মন্দির ও তার আসপাশের এলাকা।
এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝামাঝি হওয়ায় প্রতিদিন সাধারণ মানুষ জনের পাশাপাশি ছাত্র শিক্ষকদেরও একটি প্রিয় স্থান।
সম্প্রতি দেশে সৈরশাসন সরকারের পতনের পর যে গুঞ্জন শুনা যাচ্ছিলো, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনের উপরে সাম্প্রদায়িক ডাঙ্গা হাঙ্গামা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে এবং পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির জ্বালিয়ে দেয়ার যে গুজব ছড়ানো হয়েছিলো তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং গুজব ছিলো।
রমনা কালি মন্দিরের পুরোহিতের দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, এপযন্ত রমনা কালি মন্দিরে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবং আগামীতেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশংকা করছেননা, তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন খুব ভালো আছেন, এখানে সকল ধর্মের মানুষরা ভাতৃত্ব বন্দ্ধনে আবদ্ধ এবং একে অপরের প্রতি সম্মান করেন বলেই ধর্ম বর্ণের মানুষরা এক সাথে সুখে শান্তিতে বসবাস করছেন ।
ভোরের আকাশ/মি