সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি ভিডিও দেখিয়ে ইকবাল নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলছিলেন, ’গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করলে মরে একটা কিংবা আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।’
এভাবেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের গুলি করে হত্যা করা সম্পর্কে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো.আছাদুজ্জামান খান কামালকে জানাচ্ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্য ইকবাল।
এই কথার মাধ্যমে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন যে, বিক্ষোভকারীদের গুলি করেও রাজপথ থেকে বিতাড়িত করা যাচ্ছে না। একজন মারা গেলেও কিংবা অন্যজন গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে গেলেও সাহস নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে বাকিরা।
কামাল যার কাছ থেকে আপডেট নিচ্ছিলেন তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদস্য ইকবাল। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সদস্য সাবেক মন্ত্রীকে একটি ভিডিও দেখাচ্ছিলেন, যেখানে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের গুলি করার চিত্র দেখা যাচ্ছিল।
৪৩ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে পুলিশ সদস্য ইকবালকে বলতে শোনা যায়, ‘গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করে, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।’
উৎখাত হওয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনোযোগ দিয়ে সেই ভিডিও দেখছিলেন। কিছু একটা ভাবছিলেন। গুলি ও নিহতের দৃশ্য দেখে তার কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এ সময় তার পাশে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিওটি কবে, কোথায়, কে ধারণ করেছেন তা জানা যায়নি।
ভোরের আকাশ/ সু