১৫ বছর আগে বেলকুচি উপজেলা বিএনপিরকার্যালয় দখল করে নেয় সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। পরে সেখানে নির্মানকরা হয়েছে আওয়ামীলীগ কার্যালয় নামে বহুতল ভবন। এমনটি অভিযোগ করেছেন বিএনপিরনেতারা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকালে বেলকুচি প্রেসক্লাবে এক সংবাদসম্মেলনে এঅভিযোগ করেন, বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকমন্ডল।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রাজ্জাক বলেন,বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের জায়গাটি আমাদের পৈত্তিক সম্পত্তি। সেখানেবেলকুচি উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ছিলো। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলেসাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস জবর দখল করে বিএনপির অফিস ভেঙ্গেআওয়ামীলীগ অফিস নির্মান করেন। পরবর্তীতে আমরা এবিষয়ে মামলা দায়ের করি। হাইকোর্টথেকে আমরা মালিকানা প্রাপ্ত হই।
পরে সুপ্রিম কোর্টও হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখে(পিটিশন মামলা নং ২৫৮৪/১৯৯৭)। সে সময় আমরা জায়টি দখলে নেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু সাবেকমৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের প্রভাবের কারনে আমরা জায়গা দখলে নিতেপারিনি। আমরা আমাদের জায়গা ফেরত চাই এবং আওয়ামীলীগ কার্যালয় অপসারনের দাবীজানাই।সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা আব্দুররাজ্জাক আরো বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ছাত্র জনতা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের নামমুছে ফেলে এবং পুনরায় বিএনপির কার্যালয় হিসেবে সাইনবোর্ড লিখে দেয়। পরবর্তীতে কিছুপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে আওয়ামীলীগ কার্যালয় দখলে নিয়েছে বিএনপি নেতারা। এসংবাদমিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। কারন জায়গাটি আমাদের পৈত্তিক সম্পত্তি এবং সেখানে বিএনপিরকার্যালয় ছিলো। বরং আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে বিএনপির কার্যালয় দখল করে নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,কেন্দ্রীয় তাঁতী দলের যুগ্ম আহবায়ক গোলাম মওলা খান বাবলু, বেলকুচি উপজেলা বিএনপিরযুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান, যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুর রহমান আকন্দ, বেলকুচি পৌরবিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম, পৌর যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক সিরাজুলইসলাম, বেলকুচি বাজার বনিক সমিতির সাধারন সম্পাদক হেলাল উদ্দিন প্রামানিক প্রমুখ।
এ বিষয়ে সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বলেন, জায়গাটিতে ফ্লাট সেন্টার ছিলো। সরকারের সঙ্গে বিএনপিনেতা আব্দুর রাজ্জাক মন্ডলের বাবা ও চাচাদের মামলা ছিলো। পরে তারা মামলার রায় পায়।আমি রাজ্জাক মন্ডলের চাচা আব্দুল হাই মন্ডল ও স্থানীয় আক্তার কমিশনারের কাছ থেকে কিছুজায়গা কিনে নেয়। পরে সেখানে আওয়ামীলীগ কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেয় এবং ভবন নির্মাণ করি।
সাবেক মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি নেতারাজ্জাক মন্ডলের চাচা আব্দুল হাই মন্ডলের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিলো। যে কারনে তার কাছথেকে জমির দলিল সম্পাদন করলেও রেজিষ্ট্রি করতে পারিনি। যে কারনে আমার নামে খাজনাখারিজও করতে পারিনি। বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবগত করেছি।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মামলা দায়ের করবো।
ভোরের আকাশ/ সু