ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি চলমান রয়েছে জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি চলমান। মাঝখানে একটা বিরতি ছিল। অনেক জায়গায় মেয়র নেই। ডেঙ্গু বিশেষ করে ঢাকা সিটিতে ফোকাস থাকে, প্রোগ্রাম চলমান। যেহেতু এখন নতুন করে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সিটি করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসারকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যেখানে যা প্রয়োজন সেটা করবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ তিনটি বিষয় রয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে কাজে গতিশীলতা আনয়ন করা। দ্বিতীয়ত রেজাল্ট ওরিয়েন্টেড গতিশীলতা আনা।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে ডেঙ্গুর বিষয়ে যারা কাজ করছেন তাদের সঙ্গে বসবো, প্রিভেন্টিভ মেজার কি নেওয়া যায়, এখানে গণমাধ্যমের একটা বিশেষ অবদান রয়েছে। সিটি করপোরেশন থেকে না হয় বিভিন্ন ডোবা নালায় ওষুধ ছেটানো হলো, বাসা বাড়ির ছাদে, জানালার টবে যে পানি জমে সেখানে নাগরিক সচেতনতা প্রয়োজন। এই সচেতনতার জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, প্রিভেনটিভ মেজর শক্তিশালী হইলে যারা অসুস্থ আছেন তাদের চিকিৎসা সীমিত হয়ে আসবে। হেলথ সেক্টরের সাথে ক্লোজ কো-অর্ডিনেশন প্রয়োজন। এখন যেহেতু ডেঙ্গু সেই পর্যায়ে নেই, আমাদের যেন সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে না হয়।
উপদেষ্টা বলেন, কোভিডের সময় আমরা যে আস্ফালন শুনেছিলাম, আমাদের কাছে ৫০ কোটি মাথা ধরা ট্যাবলেট রয়েছে, যেটা দিয়ে আমরা করোনা মোকাবিলা করবো, সেই অবস্থা যেন আর না হয়। সেই বিষয়ে আমরা সচেতন রয়েছি। হেলথ সেক্টরের সঙ্গে আমরা কো-অর্ডিনেট করবো। ডেঙ্গু বিষয়ে সবাই উদ্বিগ্ন রয়েছে, এটা যে কারো হতে পারে।
ভোরের আকাশ/ সু