অন্তর্র্বতী সরকারের সদ্য সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (বর্তমান পাট ও বস্ত্র উপদেষ্টা) ব্রিগেডিয়ার (অব.) জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বিক্ষোভ চলাকালে এক হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্র্বতীকালীন সরকার। শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এ সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পান এম সাখাওয়াত। তবে (১৬ আগস্ট) উপদেষ্টাদের দায়িত্ব পুনঃবণ্টন করে তাকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মুঠোফোনে নর্থইস্ট নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নির্দেশে পুলিশ বাহিনীর প্রাণঘাতী অস্ত্রের গুলিতে ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় নিহত মানুষের বেশির ভাগই তরুণ ও শিক্ষার্থী।
দায়িত্ব গ্রহণের পর অসংখ্য পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের শান্ত করতে টানা পাঁচ ঘণ্টা তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়েছে। আমি তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম হাসিনার শাসনামলে কাদের হত্যা করা হয়েছে এবং কার নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড চলেছে। অফিসারদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা অনুশোচনায় ভুগছেন এবং অপরাধবোধের অংশ হিসেবে তাদের কেউ কেউ আমাকে আলিঙ্গনও করেন।
পুলিশ বাহিনীকে কীভাবে পরিচালনা করা হবে সেটি ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন ঠিক করবে জানিয়ে সাখাওয়াত বলেন, ‘কাজটি কঠিন, তবে বেশ কিছু অফিসারকে এরইমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই কর্মকর্তারা মাদক ব্যবসায় লিপ্ত এবং বদলি-পোস্টিং র্যাকেট চালিয়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করত। তদন্ত শেষ হলে তাদের কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের আশপাশে অনেক ষড়যন্ত্রকারী এবং শত্রু লুকিয়ে আছে উল্লেখ করে সদ্য পাট ও বস্ত্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়া সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ভারত সরকারের প্রতি আমার বার্তা হলো-আপনারা কি ঢাকায় বন্ধুত্বপূর্ণ না শত্রু সরকার চান? কারণ যে দেশ পরাশক্তি হতে চায়, তাকে বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। আমরা কেউ টুকরে টুকরে গ্যাং নই।’
ভোরের আকাশ/মি