logo
আপডেট : ২০ আগস্ট, ২০২৪ ১১:১৬
সড়ক পরিবহন সেক্টরে দখলের মহোৎসব
আশীষ কুমার দে

সড়ক পরিবহন সেক্টরে দখলের মহোৎসব

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সড়ক পরিবহন সেক্টরে ওলটপালট শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত রাজনৈতিক দলের নেতাদের দখলে থাকা সারাদেশের পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব দ্রুত বদল হয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন টার্মিনাল ও রুটের নেতৃত্বেও বদল আসছে। এমনকি পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে পরিবহন কোম্পানিগুলোর মালিকানায়ও। অনেক রুটে আওয়ামী লীগ নেতাদের মালিকানাধীন কোম্পানির গাড়ি চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সবকিছুই হচ্ছে বিনাবাধায় ও রক্তপাতহীনভাবে। সাবেক সরকার সমর্থিত পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতারা ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় শুরু হয়েছে এই দখলদারীত্ব। যদিও স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সময় গঠিত চারটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কখনো দখল-পাল্টা দখলের ঘটনা ঘটেনি।

তবে বিএনপি সমর্থিত পরিবহন নেতাদের গায়ে দখলের কালিমা লেপন করা হলেও এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে আওয়ামী লীগপন্থী নেতারাও আছেন। অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনেক কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা কয়েকজন নেতা রাতারাতি ভোল পাল্টে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত পরিবহন নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। সুবিধাবাদী এসব নেতাই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনালগুলোতে মালিক ও শ্রমিক সংগঠন কার্যালয় দখলে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন।

দখলের অভিযোগ উঠলেও বিএনপিপন্থী পরিবহন নেতারা বলছেন, তাঁরা কোনো সংগঠন, কার্যালয় বা টার্মিনাল দখল করেননি। দায়িত্বে থাকা নেতারা কেউ কার্যালয়ে না আসায় সড়ক সেক্টরে বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছিল। অনেক পরিবহন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ হচ্ছিল। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে সাধারণ মালিকদের অনুরোধে অস্থায়ী কমিটি গঠন করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সারাদেশের বাস মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতি এবং ঢাকার মালিকদের সংগঠন ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির কার্যালয়ের দখল নিয়েছেন বিএনপি সমর্থক পরিবহন নেতারা। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এই দুটি সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই ছিল। তবে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর দশম সংসদ নির্বাচনের পর সংগঠন দুটি দখল করেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন মহাজোট সমর্থিত পরিবহন নেতারা। তাদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি হলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা এবং মহাসচিব হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। আর ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আবুল কালাম ও খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। অর্থাৎ এনায়েত উল্যাহ দুটি সংগঠনেরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই দুই সংগঠন রাজধানীর সকল পরিবহন কোম্পানি থেকে শুরু করে নগরীর সবক’টি টার্মিনালসহ দেশের বেশিরভাগ রুটের পরিবহন ব্যবসা ও কমিটি নিয়ন্ত্রণ করতো। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর থেকে মসিউর রহমান রাঙ্গা লাপাত্তা। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। আর চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। এই সুযোগে রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতি ও ঢাকা সড়ক সমিতির কার্যালয় দখল হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপি সমর্থক পরিবহন নেতা সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া; যিনি ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে আওয়ামী লীগ বা মহাজোট ক্ষমতায় আসার আগপর্যন্ত বাস মালিকদের প্রধান সংগঠন ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এই পরিবহন মালিক নেতার বাড়ি কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জে এবং ইলিয়টগঞ্জ এক্সপ্রেস নামে একটি বাস কোম্পানির মালিক তিনি। তাঁর সঙ্গে আরো আছেন, একই সংগঠনের সাবেক কার্যকরী সভাপতি আবদুল বাতেন।

সূত্র মতে, মসিউর রহমান রাঙ্গা ও খন্দকার এনায়েত উল্যাহর নেতৃত্বাধীন দুটি কমিটি বহাল থাকা অবস্থায় নতুন অস্থায়ী কমিটি গঠন করে সংগঠন দুটি দখল করা হয়েছে। গত ১৪ আগস্ট ৩১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। একাধিক পরিবহন নেতা জানিয়েছেন, ১৪ আগস্ট সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ঢাকার বিভিন্ন বাস কোম্পানির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে তাকে আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে ঢাকাসহ সারাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করবে। শুধু ঢাকায় নয়- বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পরিবহন সেক্টরের নেতৃত্ব ঢেলে সাজানো হচ্ছে। সূত্র আরো জানায়, ইতোমধ্যে খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও রংপুরে নেতৃত্ব ঠিক করা হয়েছে। যেকোনো দিন এসব জায়গায় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক বাস মালিক সমিতির নেতা জানান, নতুন কমিটি ঢাকা মহানগরসহ শহরতলীর বাস মালিকদের নতুন সব কমিটি অনুমোদন দেবে।

সড়ক পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলোর কার্যালয়ও দখল হয়ে যাচ্ছে। রাজধানীর দিলকুশায় অবস্থিত পরিবহন শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের অধিকাংশ নেতা আত্মগোপনে আছেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান এই ফেডারেশনের সভাপতি। তিনি কোথায় আছেন, তা কেউ বলতে পারছেন না। ৫ আগস্টের পর থেকে তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। তাই ফেডারেশন কার্যালয়ও যেকোনো সময় দখল হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। পরিবহন ব্যবসা সংশ্লিষ্ট বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।

সারাদেশে সড়ক পরিবহন সেক্টরে নানা নামে গঠিত শ্রমিক সংগঠনগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। এর সভাপতি শাজাহান খান আত্মগোপনে থাকলেও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা ওসমান আলীকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে। তিনি জানান, তাঁদের কার্যালয় এখনো দখল হয়নি। তবে যেকোনো সময় দখল হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। ওসমানি আরো জানান, ঢাকার সায়েদাবাদ, গাবতলী ও ফুলবাড়িয়ার পাশাপাশি জামালপুর, রাজশাহীসহ ১০টিরও বেশি জেলায় শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয় দখল হয়ে গেছে।

ইতোমধ্যে দখল হয়ে গেছে গাবতলী টার্মিনালের পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়। মহাখালী টার্মিনালের কার্যালয়ও যেকোনো সময় দখল হতে পারে। মহাখালী আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি ছিলেন আবুল কালাম। অভিযোগ উঠেছে, তিনি সরকার পরিবর্তনের পর ভোল পাল্টে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। এই কমিটির সভাপতি পদে পরিবর্তন না আসলেও অন্যান্য পদে আসছে। মহাখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের সমিতি দখল হয়নি। সবকিছু ঠিকঠাক আছে।

সায়েদাবাদ টার্মিনালে পরিবহন সেক্টরের নেতৃত্ব নিতে উঠে পড়ে লেগেছে বিএনপির দুই গ্রুপ। এর একটি বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সালাহ উদ্দিনের অংশ। অপরটি মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা নবিউল্লাহ নবীর অংশ। এ নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে টার্মিনালে থাকা ঢাকা মহানগর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয় ইতোমধ্যে রহিম সুন্সি নামে একজন বিএনপিপন্থী শ্রমিক নেতা দখল করেছেন। ইতোমধ্যে ওই কার্যালয় ভাঙচুরসহ সেখানে থাকা পুরনো কাপজপত্র পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এই শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন মোহাম্মদ আলী শোভা ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম সরওয়ার। ৫ আগস্টের পর থেকে তারা দু’জনই পলাতক রয়েছেন।

এছাড়া বিএনপি আমলের বাস মালিক নেতা জাহিদ আল লতিফ খোকা তাঁর অনুসারীদের নিয়ে সম্প্রতি সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল মালিক সমিতি কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন। গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সবুর আহমেদ। আর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আবুল কালাম আজাদ। এরপর থেকে তারা পলাতক। এই সুযোগে দখল হয়েছে টার্মিনাল মালিক সমিতি কার্যালয়। সায়েদাবাদের মতো গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল মালিক সমিতি কার্যালয়ও যেকোনো সময় দখল হওয়ার আশঙ্কা করছেন সাধারণ মালিকরা।

পরিবহন মালিক সমিতির শীর্ষ নেতা এনায়েত উল্যাহর মালিকানাধীন বাস কোম্পানির নাম ‘এনা পরিবহন’। ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে এই কোম্পানির সবচেয়ে বেশি বাস পরিচালনা করা হয়। ৫ আগস্টের পর থেকে এই রুটে এনার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। মহাখালী টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, এনা কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে এবং চালকসহ বাস শ্রমিকদের উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। এই কোম্পানির একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ময়মনসিংহ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছানু মিয়া ময়মনসিংহের মাসকান্দা টার্মিনালে এনা পরিবহনের কাউন্টারে গিয়ে বলেছেন, বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে এনা পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। এরপর এই রুটের সব বাস ঢাকায় এনে রাখা হয়েছে। তবে অন্যান্য জেলায় সীমিত পরিসরে চলছে এনার বাস। দেশের ৩০টি জেলায় এই কোম্পানির বাস চলাচল করে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে এনা পরিবহনের অন্যতম অংশীদার ময়মনসিংহ জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল হক শামীম; যিনি শামীম পরিবহনের মালিক। জানা গেছে, খন্দকার এনায়েত উল্যাহর বাস বাদ দিয়ে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে বাস পরিচালনার প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সকল বাস থেকে এনার নাম মুছে ফেলা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে আমিনুল হক শামীমের মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে এনা কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন কোম্পানিতে তাদের বাস পরিচালনা করলে আপত্তি নেই। এতে নিয়মিত ঋণের কিস্তি পরিশোধে সহায়ক হবে। তেমনি তিন হাজার শ্রমিককে বেকার হয়ে পথে বসতে হবে না।

পরিবহন নেতারা জানান, মালিক ও শ্রমিক সংগঠন এবং টার্মিনাল ও রুটের নেতৃত্বে পরিবর্তনের পাশাপাশি রাজধানীর ৮০ শতাংশ বাস কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদেও পরিবর্তন এসেছে। ইতোমধ্যে পরিবর্তন এসেছে তুরাগ, রাইদা, লাভলী, শিকড়, ভিক্টর ক্লাসিক, অনাবিল, প্রজাপতি, আট নম্বর, বনানী ট্রান্সপোর্ট, গাজীপুর পরিবহন, বলাকা, লাব্বাইক, মালঞ্চ, তরঙ্গ, আলিফ, অভিনন্দন, বিকাল, মেঘলা, ভিআইপি পরিবহন, মিডলাইন, রমজান, স্বপ্ন, ভূঁইয়া, স্বাধীন, দেওয়ান ও গাবতলী পরিবহনসহ চার শতাধিক বাস কোম্পানিতে। পরিবহন সেক্টরের বিএনপিপন্থী বর্তমান ও সাবেক নেতারা নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে কয়েকটিতে আওয়ামী লীগের সময় দায়িত্ব পালন করা নেতাদেরও রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে বলাকা পরিবহনের নতুন দায়িত্ব নেওয়া নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন সরদার বলেন, ‘অনেক রুটে কমিটি পরিচালনার লোক নেই। সে ক্ষেত্রে মালিক ও শ্রমিকদের সমস্যা দেখবে কারা। কোম্পানি তো অভিভাবক ছাড়া চলতে পারে না। তাই সবার চাওয়া থেকে আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। সদরঘাট থেকে আব্দুল্লাহপুর রুটে চলা ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের দায়িত্ব নিয়েছেন বাড্ডা এলাকার বিএনপি নেতা শাহীন।

তবে এভাবে সংগঠন কার্যালয় দখল ও কমিটি গঠনকে অগঠনতান্ত্রিক বলছেন আওয়ামী লীগপন্থী পরিবহন নেতারা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দাকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসরণ না করে অবৈধভাবে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে; যা আইনসিদ্ধ নয়।

তবে এনায়েত উল্যাহর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির নতুন কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, সারাদেশে নতুন কমিটি করতে সময় লাগবে। আমরা চেষ্টা করছি। গত ১৪ আগস্ট ঢাকা সড়কের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এই কমিটি দায়িত্ব পালন করবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো কমিটি অগঠনতান্ত্রিকভাবে দখল করিনি। গঠনতন্ত্র মেনে তলবি সভা ডেকে সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে পুরনো কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। মূলত সড়ক পরিবহন সেক্টর অরক্ষিত ছিল। আমরা দায়িত্ব নিয়ে সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছি।

 

ভোরের আকাশ/মি