কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। নতুন অন্তর্বর্তী সরকার সর্বত্রই সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছে। সে অনুযায়ী কার্যক্রম চলছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ অনেক পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরিবর্তন আনা হয়েছে সর্বোচ্চ বিচারালয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রশাসনের শীর্ষ পদ, বাংলাদেশ ব্যাংক, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বিভিন্ন ব্যাংক, বিভিন্ন দপ্তর-পরিদপ্তরের শীর্ষ পদে আগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসনের শীর্ষ কয়েকটি পদেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ১৫ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে যারা সুবিধাভোগী ছিলেন তাদের বাদ দিয়ে বঞ্চিতদের মধ্য থেকে প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কর্মকর্তাদের আমলনামা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
পট পরিবর্তনের এ সময়ে নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে বঞ্চিতরা অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে দৌড়ঝাঁপ করছেন। পিছিয়ে নেই অবসরে যাওয়া আমলারাও। অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অবসরে যাওয়া ৫ জনকে সচিব করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পর অন্যরাও আশাবাদী হয়েছেন। অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিব হিসেবে অবসের যাওয়া কর্মকর্তারা প্রতিদিনই সচিবালয়ে ভিড় করছেন। আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে তাদের বঞ্চনার তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরছেন।
বঞ্চিতদের অভিযোগ, পতিত সরকারের অন্যায় আদেশে সম্মতি না দেওয়ার কারণে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে তারা পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন। তবে এবার যখন দল নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পদোন্নতি দেওয়া শুরু করেছে সেখানেও ‘আওয়ামী লীগের দলবাজ’ কিছু লোকজন পদোন্নতি পেয়ে যাচ্ছে। আবার ন্যায্য দাবির কারণে প্রশাসনের শীর্ষপদে থাকা আওয়ামী লীগের সুবিধা পাওয়া সচিবদের রোষানলে পড়তে হচ্ছে এতদিনের বঞ্চিতদের।
বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের অনেকের অভিযোগ, এতদিন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রশাসনে বঞ্চিত হয়েছেন এমন অনেকেই নতুন প্রশাসনে এসে মূল্যায়ন পাচ্ছেন না। ফলে চলমান পদোন্নতি প্রক্রিয়া ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তাদের আবারও বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ক্ষমতার পালাবদলে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়েও; দীর্ঘদিনের পদোন্নতি বঞ্চিতদের ভিড়ে মিছিল-সমাবেশের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে। দীর্ঘদিন কোনঠাসা কর্মকর্তারা ভালো পদায়নের প্রত্যাশায় ধর্ণাও দিতে শুরু করেছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে প্রথম দিন অফিস চালুর পর থেকেই সচিবালয়ে সবার আলোচনার কেন্দ্রেও বদলি ও পদোন্নতির বিষয়টি। পুরো সপ্তাহজুড়েই জনপ্রশাসন ভবনের বারান্দায় দেখা গেছে কর্মকর্তাদের জটলা, যা ক্রমেই বেড়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারর পতনের পর থেকে জনপ্রশাসন বিভাগের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগে দিনকে দিন কর্মকর্তাদের ভিড় বেড়েছে।
প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০০টি পদোন্নতির আবেদন জমা পড়ছে বলে জানিয়েছেন অনুবিভাগের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
গত সোমবারও সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের আমলে তৈরি করা ডিসি ফিটলিস্ট বাতিলের দাবিতে সমবেত হন প্রশাসন ক্যাডারের ২৪,২৫ ও ২৭ ব্যাচের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা। সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর দপ্তরে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান তারা।
অভিযোগ করে তারা বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সব জায়গাতেই পরিবর্তন হচ্ছে। কিন্তু নতুন করে যাদের ডিসি হিসেবে নিয়োগের প্রস্তুতি চলছে তাদের ফিটলিস্ট আওয়ামী দুঃশাসনের আমলে তৈরি। তাই আমরা এ তালিকা বাতিল করে এতদিনের পদবঞ্চিত কর্মকর্তাদের ডিসি হিসেবে নিয়োগের দাবি জানান অভিযোগকারীরা।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অধীন দপ্তরসমূহ এবং দৈনিক ভোরের আকাশের সংবাদদাতাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ অগাস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর পরই মন্ত্রী, এমপি এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের পাশাপাশি দলীয় আশীর্বাদপুষ্ট প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারাও আত্মগোপনে চলে যান। সরকারবিহীন তিনদিনে সৃষ্ট অরাজকতায় বিদায়ী সরকারের সুবিধাভোগী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পলায়নের প্রবণতা বেড়ে যায়। গত ৮ অগাস্ট রাতে সরকার গঠনের পর অফিস খুলে গেলেও কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন রেকর্ড সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এদিকে, বিদায়ী সরকারের আমলে সুবিধাভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর চড়াও হন পদ ও সুবিধাবঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অফিসে অফিসে চলে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনা। মিছিলে মিছিলে কম্পিত হয়ে উঠে সরকারি অফিস প্রাঙ্গণ। বঞ্চিতদের দাবি আদায়ের আন্দোলনের পাশাপাশি শুরু হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বদলি, পদায়ন ও নতুন নিয়োগ কার্যক্রম। পুরনো কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিজেদের পছন্দের কর্মকর্তাদের তালিকা তুলে ধরছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। প্রকাশ্যে শারীরিক হামলার ঘটনাও ঘটছে। বলপ্রয়োগে চেয়ার থেকে উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রশাসনে বিরাজ করছে হ-য-ব-র-ল অবস্থা।
সচিবালয় থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা প্রশাসনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হানাহানি, মারামারি, সহিংসতা, প্রতিশোধ, পদ-দখল, লুটতরাজ থেকে বাদ যায়নি প্রশাসনও। যোগ্যতা থাক আর না থাক, মনের মতো পদ না পাওয়া সচিব থেকে শুরু করে ঝাড়ুদার-সুইপার পর্যন্ত সবাই এখন আগের সরকারের ‘বৈষম্যের স্বীকার’ বলে দাবি করছেন। নিজের কাজ বাদ দেয়ে ঊর্ধ্বতন পদে বিদ্যমানদের সরিয়ে নিজেদের পদায়নের দাবি করছেন তারা। এসব দাবি ও বিক্ষোভের মুখে অনেকেই পদ ছেড়ে দিয়ে চলে গেছেন স্বেচ্ছায়, আবার কাউকে কাউকে পদ ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হয়েছে ভয়ভীতি দেখিয়ে। যারা আছেন তারা ভুগছেন নানা ধরনের শঙ্কায়, কখন বুঝি তাদের সরিয়ে দেয় বা সরে যেতে হয়।
ইতোমধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকেও দাবি তোলা হয়েছে, বিগত সরকারের সময় যারা প্রশাসনের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন বা যাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের সরিয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের।
ছাত্রদের দাবির মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন দেশের প্র্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতি। এর আগেই পদত্যাগ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের পর সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের আইজি, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকে। পদত্যাগ করেছেন বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ অনেকেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের একদল কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাবির মুখে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। এর আগে পদত্যাগ করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চার ডেপুটি গভর্নর।
সম্প্রতি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন থেকেই তাদের পদত্যাগের দাবিতে সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে নিজের কাজ বাদ দিয়ে বিক্ষোভে নেমেছিল এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিক্ষোভের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগরসহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, ঢাকা সিটি কলেজের অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদ থেকে সরে যাচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৪ অগাস্ট জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে চাকরি থেকে অবসরে পাঠনো হয়েছে। ১৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহম্মদ সালাহ উদিনকে ওএসডি বা বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে।
এদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ১৭ অগাস্ট প্রথমবারের মতো অবসরে চলে যাওয়া পাঁচ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে বলে জানা গেছে। অবসরে যাওয়ার সময় তারা অতিরিক্ত সচিব ছিলেন। ড. শেখ আবদুর রশিদ পেয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। জননিরাপত্তা বিভাগে ড. মোহম্মদ মোমেন, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগে এহছানুল হক, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে ড. নাসিমুল গনি ও রেলপথ বিভাগে এম এ আকমল হোসেন সচিব পদ পেয়েছেন।
এরইমধ্যে ১১তম থেকে ২৯তম বিসিএস পরীক্ষায় নিয়োগ পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদায় আটকে থাকা ১১৭ জনকে উপ-সচিব হিসেবে ভূতাপেক্ষভাবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
এরপর ২৮তম থেকে ৪২তম বিসিএসে নিয়োগ বঞ্চিত ২৫৯ জনকে নিয়োগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখা থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদেরকে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। গত রোববার ২০১ কর্মকর্তাকে উপ-সচিব থেকে যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এভাবে বিভিন্ন সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে পদত্যাগ, রদবদল ও পরিবর্তনের মিছিল গত কয়েক দিন ধরে ক্রমশ লম্বা হচ্ছে।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরোপুরি দলীয়করণের কারণেই প্রশাসন ও সরকারে একটি অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তখন যদি যোগ্য ও মেধাবীরা এসব পদে থাকত তা হলে হয়তো তাদের সরে যেতে হতো না। তাই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগদানের কারণে সরকার পরিবর্তনের পর সে সব প্রতিষ্ঠানে সংস্কার করতে হচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে। তবে প্রশাসনে সংস্কারের ক্ষেত্রে আবারও ‘আরেকটি দলীয়করণ’ যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান সাংবাদিকদের বলেন, এতদিন যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দিয়েছিলেন। পটপরিবর্তনের কারণে ওইসব পদে থাকা ব্যক্তিরা স্বেচ্ছায় সরে যাচ্ছেন। গত এক সপ্তাহে সরকার ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা প্রধানদেরও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের পদ থেকে। তিনি বলেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগগুলো দেখে দেখে বাছাই করা হয়, যারা সরকারের সবচেয়ে বেশি পারপাস সার্ভ করেছে তারাই এমন নিয়োগ পেয়েছেন বিগত সরকারের সময়। স্বাভাবিক নিয়মে প্রশাসনের কোনো পদ খালি হওয়ার পর আরেকজন কর্মকর্তা বসেন সেই পদে। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কারণে অনেকেই মনে করেন তারা পদবঞ্চিত হয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, যখন সরকার পরিবর্তন হয়, তখন আরেকটু জরুরিভিত্তিতে পরিবর্তন দরকার হয়। দায়িত্বে থেকে এখন যারা সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না, সে সব জাতীয় জায়গায় দ্রুত পরিবর্তন আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিশেষ বিবেচনায় অনেক জায়গায় চুক্তিভিত্তিকভাবে নিয়োগ পেয়েছিল অনেকে। আমরা সেগুলোকে বাছাই করে যাদের প্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে না তাদের বাদ দিয়ে নতুন লোক নিয়োগ দিচ্ছি।
ভোরের আকাশ/মি