logo
আপডেট : ২২ আগস্ট, ২০২৪ ২৩:৩৪
আশুলিয়ায় ৫ আগস্ট তিন পুলিশ হত্যার ঘটনায় ২ মামলা
সাভার ঢাকা

আশুলিয়ায় ৫ আগস্ট তিন পুলিশ হত্যার ঘটনায় ২ মামলা

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাভারের আশুলিয়ায় গত ৫ আগস্ট পুলিশের তিন সদস্যকে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে পৃথক দুটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) আশুলিয়া থানায় এ দুটি মামলা করা হয়। এরমধ্যে একটি মামলার বাদি নিহত পুলিশ সদস্য মো. সোহেল রানার স্ত্রী মোছা. রেশমা পারভীন। এতে অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আরেকটি মামলার বাদি মো. রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রাব্বি আক্তার। এটিতেও অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। মোছা. রেশমা পারভীনের দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে অজ্ঞাত একদল দুষ্কৃতকারী আশুলিয়া থানা ঘেরাওয়ের চেষ্টা করে। এএসআই সোহেল সেসময় বাইপাইল মোড় এলাকায় অবস্থান করছিলেন।

পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় তিনি নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পার্শ্ববর্তী ধামসোনা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আফসার মন্ডলের বাড়িতে নিজের ভাড়া বাসায় চলে যান। বিকেল ৪টার দিকে নিরাপত্তার জন্য থানার এএসআই মো. রাজু আহমেদ, কনস্টেবল নাজমুল হক ও কনস্টেবল আতোয়ার হোসেনও ওই একই বাসায় আশ্রয় নেন। এদিকে দুষ্কৃতকারীরা থানায় তাণ্ডবের পরে তারা আশপাশে পুলিশ সদস্যের অবস্থান খুঁজতে থাকে। বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে প্রায় ১০০-১৫০ দুষ্কৃতকারীরা ওই ভাড়া বাসায় হামলা চালায়।

তারা বাসার ভেতরে ঢুকে বাসায় অবস্থানকারী পুলিশ সদস্যদের কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় দুষ্কৃতকারীরা এএসআই সোহেল মারা গেছে ভেবে তার মরদেহ টেনে বাসার নিচে নামিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে কনস্টেবল নাজমুল ও কনস্টেবল আতোয়ার সেখান থেকে কৌশলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আর এএসআই রাজু আহমেদের মরদেহ বাসায় পড়ে থাকে। এজহারে আরও বলা হয়েছে, বিকেল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে দুষ্কৃতকারীরা ফের ঘটনাস্থলে এসে এএসআই সোহেলের মরদেহ পুড়িয়ে দেয় ও এএসআই রাজু আহমেদের মরদেহ বের করে নিয়ে থানার পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ফুট ওভার ব্রিজে ঝুলিয়ে রাখে।

এক দিন পর পরিবারের সদস্যরা সোহেলের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। রাব্বি আক্তারের দায়ের করা মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট বিকেল ৪ টার পর থেকে নিহত মো. রফিকুল ইসলামের কোন খোঁজ পাচ্ছিলেননা তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পরদিন তারা জানতে পারেন আশুলিয়া থানা এলাকায় ফুট ওভার ব্রিজের সঙ্গে দুইজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখাা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন দেখতে রফিকুল ইসলামের মতো।

পরে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রফিকুলের মরদেহ শনাক্ত করেন। এজহারে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, পরে খোঁজ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন রফিকুল ইসলাম ৫ আগস্ট বিকেলে থেকে ৬ আগস্ট সকালের যেকোন একসময় ওই ফুট ওভার ব্রিজের কাছে পৌছালে অজ্ঞাতনামা উত্তেজিত জনতা রফিকুলের মুঠোফোন, ম্যানিব্যাগ চেক করে পুলিশের পরিচয় পত্র পেয়ে তাকে এলাপাথারি মারধর করে হত্যা করে পায়ে রশি বেঁধে ফুট ওভার ব্রীজে ঝুলিয়ে রাখে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, বুধবার আশুলিয়া থানায় ৫ আগস্টের ঘটনায় পৃথকভাবে দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/সু/মি