ছাত্র-জনতার গণভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এবং নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের তথ্য সংগ্রহের জন্য ওয়েবসাইটে সম্পূর্ণ নতুনভাবে একটি তথ্য সংগ্রহ সিস্টেম তৈরি করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটি।
গতকাল রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কমিটির প্রতিনিধিরা।
সংবাদ সম্মেলনে একটি গ্রহণযোগ্য তালিকা প্রণয়ন করে অতি দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গণবিজ্ঞপ্তি ও প্রজ্ঞাপন জারি করে সর্বসাধারণের কাছে তথ্য পৌঁছানো হবে বলে জানান তারা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (এমআইএস) পরিচালক প্রফেসর ড. মিজানুর রহমানের সাথে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য উপ-কমিটির প্রতিনিধি দলের পক্ষে সদস্য সচিব তারেকুল ইসলাম ও সদস্য আবদুল্লাহ ইবনে হানিফ আরিয়ান বৈঠক করে এ পদ্ধতি চালু করেন।
লিখিত বক্তব্যে স্বাস্থ্য উপ-কমিটির সদস্য সচিব তারেকুল ইসলাম বলেন, প্রফেসর ড. মিজানুর রহমানের সাথে বৈঠকে আহত এবং নিহতদের তথ্য সংগ্রহে গঠিত ওয়েবসাইটের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা হয়। এতে প্রায় সম্পূর্ণ নতুনভাবে তৈরি একটি তথ্য সংগ্রহের সিস্টেম প্রদর্শন করা হয়, যাতে হাসপাতালগুলো আহত এবং নিহতদের তথ্য আপলোড করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল ছাড়াও আহত এবং নিহতদের তথ্য সংগ্রহে আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদেরও তথ্য ইনপুট দেওয়ার ব্যবস্থা রাখার জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। যাতে যারা হাসপাতালের লিস্টে নেই তারাও তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এছাড়া নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালেও প্রমাণ প্রদর্শনপূর্বক তথ্য দেওয়া যাবে, তবে তা ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি উপজেলা ও সরকারি হাসপাতাল কেন্দ্রিক ভলান্টিয়ার টিম দেওয়া হবে যারা কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে।
উপজেলা পর্যায়ে কাজ সম্পর্কে তারেকুল বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছে আমাদের বার্তা অতি দ্রুত পৌঁছাতে আমরা লাইন ডিরেক্টর (উপজেলা হেলথ কেয়ার) সোহেল মাহমুদের সাথে সরাসরি বৈঠক করেছি। বৈঠকে এমআইএস-এর ডেভলপকৃত ওয়েবসাইটে তথ্য সংগ্রহের প্ল্যানিং তুলে ধরা হয়।
ভোরের আকাশ/মি