logo
আপডেট : ২৫ আগস্ট, ২০২৪ ১৪:১৬
দুর্গত জনপদে বাঁচার লড়াই
১১ জেলায় বন্যার আঘাত
ভোরের আকাশ প্রতিবেদক

দুর্গত জনপদে বাঁচার লড়াই

  • বাড়ছে মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি
  • লাখো মানুষ পানিবন্দি
  • বের হচ্ছে ক্ষত চিহ্ন
  • সারাদেশে উৎকণ্ঠা


টানা প্রবল বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় দেশের ১১ জেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখনো বিপুল মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকায় ফেনীর অর্ধেক জায়গায় যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ফলে তাদের স্বজনরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। ত্রাণের জন্য চলছে হাহাকার। সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে ব্যাপক ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। কিন্তু তারা সব জায়গায় পৌঁছতে পারছে না। এদিকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতেও পর্যাপ্ত খাবার মিলছে না। ধারণ ক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি মানুষ থাকায় তারা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এদিকে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় কমতে শুরু করেছে পানি। সেই সঙ্গে বের হচ্ছে ক্ষত চিহ্ন। এই বন্যায় অনেকেই সর্বস্ব খুঁইয়েছেন। দুর্গত এলাকার লোকজন এখন বাঁচার জন্য প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। বন্যায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত ১৮ জন মারা যাওয়ার তথ্য জানিয়েছে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।

সূত্র বলছে, মাসের শুরুতে পূর্বাভাস থাকার পরও দেশের ১১টি জেলায় ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ বন্যার আঘাতে বিপর্যয়ের চিত্র ধারণা চেয়েও বেশি। এ নিয়ে উপদ্রুত অঞ্চলের পাশাপাশি সারা দেশের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। বহু ঘরবাড়ি-অবকাঠামো ধসে যাওয়া, বিস্তৃর্ণ অঞ্চলের ফসলের ক্ষতি এবং ভৌত ও ভার্চুয়াল যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ার মধ্যে পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষের কষ্ট ও হাহাকারের তথ্য আসছে।

কিছু এলাকায় পানি নামা শুরু হলেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন করে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিরও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার রাতে সর্বশেষ সার্বিক প্রতিবেদনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বলেছে, শুক্রবার নতুন করে লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার ও সিলেট জেলা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস থেকেও মিলছে না ‘সুখবর’, তারা জানাচ্ছে নতুন করে ভারী বা অতিভারী বৃষ্টিপাত না হলেও আপাতত চলমান ধারার ‘বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা নেই’। এ অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ, রাজনৈতিক দল, বেসরকারি সংস্থা ও সংগঠন বন্যা উপদ্রুত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে।

ঘরবাড়ি থেকে ফসলের ক্ষেতÑ সর্বত্র বন্যার আঘাত, দিশেহারা শত শত গ্রামের মানুষ, উৎকণ্ঠায় কৃষক ও বর্গা চাষি। জীবন বাঁচানোর লড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তাও তাদের ভাবাচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্র, উঁচু রাস্তা ও অবকাঠামাতে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগির সঙ্গে ‘দলা পাঁকিয়ে’ বসবাস করতে হচ্ছে বন্যাকবলিত অঞ্চলের মানুষের। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সুযোগও নেই। চারদিকে থই থই পানি অথচ সুপেয় পানির তীব্র সংকটে ভুগছে বানভাসি মানুষ।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাগাদি সোবহানপুর এলাকার কৃষক জাহাঙ্গীর বলেন, সেচ প্রকল্প এলাকায় অনেক কৃষক বর্গা চাষি। অন্যের জমি চাষ করে তাদের সংসার চলে। টানা বৃষ্টিতে রোপা আমন পানির নীচে। পানি অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেকে বীজ রোপণ করতে পারেননি। এমন ক্ষতি আমরা ধারণাও করতে পারিনি। এদিকে, বুধবার মধ্যরাতে হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে পানির তোড়ে ঘরবাড়ি ভেসে যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা নারগিস আক্তারের। ক্ষয়ক্ষতির এমন ভয়াবহ অবস্থা নিয়ে কোনো ধারণা ছিল নাগিস আক্তারের। তিনি বলেন, কোনো জিনিসপত্রই রক্ষা করতে পারিনি। অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। পানিতে ঘরের জায়গার মাটি সরে যাওয়ায় নতুন করে এখন ঘরও বানাতে পারব না। ঘরে বানের পানি ওঠায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া মো. আব্দুল হাই বলেন, বাড়িঘরে পানি ওঠার পাশাপাশি আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখন অসহায়ের মতো দিন কাটাচ্ছি।

অন্যদিকে, মুহুরী নদীর বানে ফেনী জেলা যে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে, ইতিহাসে এমন নজির আর নেই। সম্পদহানির সঙ্গে ফেনীর চার উপজেলার চার লাখের বেশি মানুষ এখন প্রাণ বাঁচানো নিয়ে লড়াই করছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বলছে, বন্যা উপদ্রুত জেলাগুলো হচ্ছে ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার। এর মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত জেলা হলো সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার।

প্রায় সাড়ে ৩ লাখ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি : বন্যা আক্রান্ত জেলাগুলোর পাশাপাশি বন্যার পানি ঢুকে পড়া অন্যান্য জেলা মিলে মোট ২৪টি জেলার ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯২২ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৪২১ হেক্টর অর্জিত ফসলি জমির মধ্যে বর্তমানে ‘মাঠে দণ্ডায়মান’ ফসলি জমির পরিমাণ ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫৬ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির মধ্যে রয়েছে আউশ ৬৮ হাজার ৫১১, রোপা আপন আবাদ ২ লাখ ৩৪ হাজার ২৯৩, বোনা আমন ১ হাজার ৬৩৭, রোপা আমনের বীজতলা ১৮ হাজার ৯৫২, শাক-সবজি ১৪ হাজার ১১১, আদা ১৪৭, হলুদ ১৯৮, আখ ৬১৮, পান ৪৫৬, কলা ১৬৭৬ হেক্টর।

এখনও অচল দেড় হাজার টাওয়ার : বন্যার কারণে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ দেশের ১০টি জেলায় প্রায় দেড় হাজার মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে পড়ার তথ্য দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি। শুক্রবার বিকালে বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বেলা ৩টা পর্যন্ত বন্যা আক্রান্ত ১০টি জেলার ১৩ হাজার ৪৯১টি সাইট বা টাওয়ারের মধ্যে ১১ হাজার ৮১২টি সাইট সচল আছে। আর অচল হয়ে পড়েছে ১ হাজার ৪২৮টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ার রয়েছে ফেনীতে; এই জেলায় ৯৪ শতাংশের বেশি টাওয়ার এখন অচল। জেলাটির ৬৫৩টি টাওয়ারের মধ্যে ৬১৬টিই অচল হয়ে গেছে, বলেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। নোয়াখালীতে ২২৬, লক্ষ্মীপুরে ৫৬, কুমিল্লায় ৩৪৮, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০, চট্টগ্রামে ৯১, খাগড়াছড়িতে ৩৬, হবিগঞ্জে ১, মৌলভীবাজারে ৩৬ ও সিলেটে ৮টি টাওয়ার কাজ করছে না বলে বিটিআরসি তথ্য দিয়েছে।

গোমতী বাঁধের ভাঙন বাড়ছেই : ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কুমিল্লায় গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে তলিয়ে বুড়িচং উপজেলা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট না থাকায় পরিবারের সদস্যদের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনরা। রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে ও ভেঙে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠেছে। এ অবস্থায় পানিবন্দিদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মীসহ সমাজিক সংগঠনগুলো কাজ করছেন। গতকাল শনিবার বুড়িচংয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।

বিকাল পৌনে ৪টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে গোমতী বাঁধের বুড়বুড়িয়া এলাকায় ৩০ ফুট ভেঙে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। এখন সেই ভাঙন দেড়শ মিটারের (প্রায় ৫০০ ফুট) বেশি। এতে তীব্র স্রোতে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। নদীর পানি না কমলে এই বাঁধ মেরামত করা সম্ভব না। নদীর পানি যতদিন না কমবে ততদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে থাকবে।

তিনি বলেন, শনিবার বিকাল পর্যন্ত গোমতীর পানি বিপৎসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর শুক্রবার ১০৯ সেন্টিমিটার এবং বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ বিপৎসীমার ১৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। সে হিসাবে পানি কিছুটা কমেছে। আমরা চেষ্টা করছি, অন্য কোথাও যেন বাঁধ না ভাঙে সেদিকে লক্ষ্য রাখার।

স্থানীয়রা জানান, বুড়িচংয়ের বন্যার পানিতে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার একাংশ, ব্রাহ্মণপাড়া ও দেবিদ্বার উপজেলাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুড়বুড়িয়া এলাকার গোমতী বাঁধ ধসে পড়ার পর থেকে বুড়িচংয়ের পাশাপাশি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায়ও প্রতিনিয়ত প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। দিশেহারা হয়ে পড়েছে দুই উপজেলার মানুষ।

দুপুরে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাহিদা আক্তার বলেন, পুরো উপজেলায় এখনো পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৭৫০। এ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৭৫ হাজার। এরই মধ্যে শনিবার সকাল পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন তিন হাজার পুরুষ, সাড়ে তিন হাজার নারী, চার হাজার শিশু, প্রতিবন্ধী মানুষ ৪৫ এবং ৬০০ গবাদিপশু। প্রতিনিয়ত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটে যাচ্ছেন। আমরাও বিভিন্নভাবে আটকেপড়া মানুষদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার চেষ্টা করছি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকার কারণে অধিকাংশ এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সড়ক তলিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বলা চলে, সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে বুড়িচংয়ে। মাঝে মাঝে তলিয়ে যাওয়া সড়কে ত্রাণ এবং নৌকাবাহী দুই-একটি ট্রাক চলতে দেখা গেছে। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক সমস্যা পরিস্থিতিকে আরো তীব্র করে তুলেছে।

কারণ সঠিক তথ্য না জানায় উদ্ধার তৎপরতায় এবং ত্রাণ বিতরণে সমস্যা হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ না পেয়ে হাহাকার করছে বানভাসী মানুষ। নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের অসুস্থ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুরো বুড়িচং পানির নীচে। বিদ্যুতের বেশিরভাগ মিটার পানিতে ভাসছে। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎসংযোগ সচল করলেই দুর্ঘটনা ঘটবে। কয়েকটা মোবাইল অপারেটর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমরা বলেছি, পানি কমা ছাড়া বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব নয়। ত্রাণের নৌকাগুলো বিদ্যুতের তারের ওপর দিয়ে যায়। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা সাহায্যকারীদের এমন বিপদে ফেলতে পারি না। পানি কমলেই আমরা সংযোগ দিয়ে দেব।

এদিকে, জেলার চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জসহ অন্তত ১২টি উপজেলায় বন্যার পানি কিছুটা কমলেও শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মিলছে না পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা। প্রতিটি এলাকাকে গুরুত্ব দিয়ে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, জেলার বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোর দুর্গত এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষের জন্য শুকনা খাবার, স্যালাইন ও ওষুধ মজুত আছে। ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত আছে। আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছি। যারা আটকে পড়েছেন তাদেরকে উদ্ধারে কাজ চলছে।

জেলার ত্রাণ কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, জেলার ১৭ উপজেলার মধ্যে ১৪ উপজেলা বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় সাত লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। যদিও স্থানীয় তথ্যে এ সংখ্যা ১১ লাখের বেশি।

ভোরের আকাশ/ সু