সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম উৎসব শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথী শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আমি দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পৃথিবীর সকল ধর্মের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সমাজে মানুষের অধিকার ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মাবতার শ্রীকৃষ্ণ সমাজে ভ্রাতৃত্ব ও সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। সর্বদা মানবতা ও সত্যের পতাকা বহনকারী শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই ন্যায় প্রতিষ্ঠায় স্বমহিমায় আবির্ভূত হয়েছেন। সৃষ্টিকর্তার বন্দনা ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় শ্রীকৃষ্ণের দর্শন ও মূল্যবোধ সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ সকলকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নিদর্শন উল্লেখ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর বাণীতে বলেন, আবহমানকাল থেকে এদেশের বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়ের প্রেক্ষিতে দেশের ১৮ কোটি মানুষের আশা, আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য নিয়ে আমরা সরকার পরিচালনা করছি। তাই দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা সবাই একই পরিবারের মানুষ। ধর্মের কারণে কেউ কাউকে শত্রু মনে করি না। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধর্মকে ব্যবহার করে কিংবা অপপ্রচার করে সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা ও ভ্রাতৃত্ববোধকে যেন কেউ নষ্ট করতে না পারে সেজন্য আমি সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাই।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা এদেশের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে- এই প্রত্যাশা করি। আসুন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা গড়ে তুলি অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ। আমি শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘জন্মাষ্টমী’ উৎসবের সাফল্য এবং দেশের সকল নাগরিকের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করি।’
ভোরের আকাশ/মি