logo
আপডেট : ২৯ আগস্ট, ২০২৪ ১৩:২৪
নেপালে ভয়াবহ বন্যায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
নেপাল প্রতিনিধি

নেপালে ভয়াবহ বন্যায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

নেপালে মঙ্গলবার রাত থেকে এখন পযন্ত একটানা অবিরাম বৃষ্টির কারণে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। রামেছাপ জেলার দোরাম্বা শৈলুং গ্রাম-৩-এ অবস্থিত লেখার্কের ভূমিধসে নিখোঁজদের সন্ধান করছে স্থানীয়রা, নেপাল পুলিশ এবং নেপালি সেনাবাহিনী। ওই স্থানে ভূমিধসে ৩টি ঘর ভেসে গেছে এবং একটি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

ভূমিধসে একই পরিবারের মা ও ছেলেসহ ছয়জন মারা গেছেন, একজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কাঠমান্ডুতে পাঠানো হয়েছে এবং চারজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। রামেছাপ/রাসাসদেশে বর্ষাজনিত দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা ৩০৮ এ পৌঁছেছে।

নেপাল পুলিশ ১০ জুন থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত এই ধরনের প্রাণহানির সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও কাঠমান্ডু উপত্যকায় তিনজন, কোশি প্রদেশে ২৯ জন, মাধেশ প্রদেশে আটজন এবং বাগমতি প্রদেশে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। একইভাবে, গন্ডাকি প্রদেশে ৫৬ জন, লুম্বিনি প্রদেশে ৩৭ জন, কর্নালি প্রদেশ ১৪জন এবং সুদুরপাশ্চিম প্রদেশ ১৬ জন নিহত হয়েছে, নেপাল পুলিশের ডিআইজি এবং মুখপাত্র দান বাহাদুর কারকি শেয়ার করেছেন।

কার্কি আরও জানান, এই সময়ের মধ্যে ভূমিধস ও বন্যায় ২৭১ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে, শুধুমাত্র কাঠমান্ডু উপত্যকায় ১৩ জন, কোশি প্রদেশে ৪২ জন, মাধেশ প্রদেশে ১২ জন, বাগমতি প্রদেশে ৩১ জন আহত হয়েছেন।

এছাড়াও, গন্ডাকি প্রদেশ থেকে ৪৭ জন, লুম্বিনি প্রদেশ থেকে ২৫ জন, কর্নালি প্রদেশ থেকে ৬৭ জন এবং সুদুরপশ্চিম প্রদেশ থেকে ৩৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই বছর বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে নিরাপত্তা সংস্থাগুলির দ্বারা পরিচালিত উদ্ধার অভিযান বিভিন্ন স্থান থেকে ২১৫ জন ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তির জীবন রক্ষা করেছে।

তবে, ১৫৩ জন এখনও নিখোঁজ এবং অনুসন্ধান অভিযান চলছে জানিয়েছেন ডিআইজি কার্কি।

পুলিশ জানায়, দুর্যোগের ফলে প্লাবিত হয়েছে এবং ৩৬৫ টি বাড়ি, ১২৬ টি গোয়ালঘর, ৫২টি সেতু, ছয়টি স্কুল এবং দুটি সরকারি অফিস ভবন সহ বেশ কয়েকটি অবকাঠামো ছাড়াও আরো অনেক জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে বন্যা ও ভূমিধসে ৯৭২টি গবাদিপশু হারিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বিপর্যয় গত দুই মাসে ৬৪৮৯টি পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করেছে।এবং বন্যা ও ভারি বৃষ্টির কারণে সড়ক পথে অসংখ্য দূর্ঘটনা ঘটছে প্রায় প্রতিদিন।

ভোরের আকাশ/ সু