চীন, পাকিস্তান, মিসর থেকে আসা টনে টনে পেঁয়াজে সয়লাব চট্টগ্রাম বন্দর। জুলাই-আগস্ট দুমাসে সেখানে নেমেছে ৪ হাজার ৭০০ টন পেঁয়াজ। যা গত বছরের চেয়ে বেশি। আর এসব পেঁয়াজ খালাস হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করা হয় সাড়ে তিনশ টন পেঁয়াজ। আগের দিন বুধবার করা হয় ৪০৫ টন পেঁয়াজ।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরে জুলাই-আগস্ট দুমাসে নেমেছে ৪ হাজার ৭০০ টন। যা গত বছর বন্দর দিয়ে আসা পেঁয়াজের চেয়ে বেশি। ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে পেঁয়াজ এসেছিল ৩ হাজার ২০০ টন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহ আলম ভোরের আকাশকে বলেন, পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। পাইপলাইনে আমদানির আরও পেঁয়াজ আছে। আমদানিকারকরা নতুন নতুন দেশ থেকে পেঁয়াজ আনার অনুমতি নিচ্ছেন।
এদিকে চট্টগ্রাম নগরের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জেও বেড়েছে পেঁয়াজের সরবরাহ।
সরেজমিনে খাতুনগঞ্জ ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন আড়তে দেশি, ভারত, চীন, পাকিস্তান, মিসর, থাইল্যান্ডের পেঁয়াজ বস্তায় বস্তায় স্তুপ করে রাখা হয়েছে। তবে চীনা পেঁয়াজে সয়লাব বাজার।
পাইকার ব্যবসায়ীরা জানান, বন্যা ও সীমান্তে নানা জটিলতার কারণে পেঁয়াজের বাজারে সংকট তৈরি হয়েছিল। বর্তমানে চীন থেকে আনা পেঁয়াজের সববরাহ বেড়েছে খাতুনগঞ্জে। খুচরা ব্যবসায়ীরা এখান থেকে কিনে নিচ্ছেন।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, পাইকারিতে ভালোমানের দেশি পেঁয়াজ ১০৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০৪ টাকা, পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৮৫ টাকা, চীনা পেঁয়াজ ৭৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। সররবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের তেমন সংকট নেই। প্রতিদিনই ঢুকছে পেঁয়াজ।
ভোরের আকাশ/মি