গাইবান্ধায় দীর্ঘদিন থেকে ঘাঘট নদীর (নতুন ব্রিজ সংলগ্ন) ডান তীর এবং বাম তীর ঘেষে বালু ব্যবসায়ী ও বোলগেট মালিকরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) এর অধিগ্রহণকৃত জায়গা নিজেদের দখলে নিয়ে রমরমা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
এসব বালু ব্রহ্মপুত্র নদীর চর কেটে বড় নৌকা ও বোলগেটের করে নিয়ে আসে। পরে তা স্তুপ করে রাখা হয় শহরের নতুন ব্রিজ সংলগ্ন ঘাঘট নদীর তীর ঘেষে পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) এর অধিগ্রহণকৃত জায়গায়। প্রতিনিয়ত বালু বোঝাই মাহিন্দ্র টাক্ট্রর, ড্রাম ট্রাক ও ট্রলির অবাধে চলাচল করায় শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল।
স্থানীয় পথচারী তপন চন্দ্র দাস বলেন, যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। মাস্ক পড়েও ধূলাবালি আটকানো সম্ভব হয় না।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, স্তুপ থেকে বালু উড়ে এসে আমাদের নাক-মুখ দিয়ে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে। এতে আমাদের কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগ সৃষ্টির হচ্ছে। আমারা এসবের থেকে প্রতিকার চাই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকেই অবৈধভাবে এসব বালু বহ্মপুত্র নদী থেকে উত্তোলন করে বোলগেট ও বড় নৌকাযোগে নিয়ে আসে ঘাঘট নদীতে। পরে তা নতুন ব্রিজ সংলগ্ন বাঁধের জায়গা দখল করে বালুর স্তুপ গড়ে তোলেন। নির্বিঘ্নে দিনরাত দাপটের সঙ্গে লাখ লাখ টাকার লেনদেন করে আসছে অসাধু বালু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ও বোলগেট মালিকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, কুড়িগ্রামের চিলমারি উপজেলার বালু মহাল থেকে এসব বালু না নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে চোরাইভাবে নকল রশিদ মূলে নিয়ে আসেন সিন্ডেকেটরা। এছাড়া বালু সরকারের আদায়কৃত ঘাটে নেয় না তারা। এর ফলে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছেন সরকার। ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
ভোরের আকাশ/মি