logo
আপডেট : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১১:১৩
জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের মুক্তি কী বার্তা দিচ্ছে
গোলাম মুজতবা ধ্রুব ও হেলাল সাজওয়াল

জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের মুক্তি কী বার্তা দিচ্ছে

  • এক মাসে ৬ জন কারামুক্ত
  • বিদেশ থেকে ফিরছেন অনেকে
  • আইনশৃঙ্খলা অবনতির শঙ্কা
  • আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা
  • নজরদারির পরামর্শ



বহু বছর কারাগারে থাকা এক সময়ের আলোচিত অন্তত ৬ জন ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ জামিন পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তারা জামিন পেলেন। তাদের বিরুদ্ধে এক সময় খুন, চাঁদাবাজিসহ দখলদারিত্বের গুরুতর অভিযোগ ছিল। কারাগারে বসেই তারা অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন; এটা ছিল ওপেন সিক্রেট। তাদের মুক্তির পর এখন অপরাধ জগতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চলছে নতুন মেরুকরণ। নতুন রংয়ে সাজছে অপরাধ জগৎ। পাশাপাশি গত এক মাসে ‘জঙ্গি’ নেতারাও কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আবার কেউ কেউ রয়েছেন মুক্তির অপেক্ষায়। কারাগার ভেঙে পলাতক অন্তত ৫ তালিকাভুক্ত জঙ্গিসহ অনেককেই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া দেশের বাইরে পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসীরাও দেশে ফিরছেন বলে জানা গেছে। একদিকে চলমান যৌথ অভিযানে অবৈধ অস্ত্র, দুর্নীতিবাজ, গডফাদারসহ জেল থেকে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন। অন্যদিকে জঙ্গি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মুক্তির বিষয়টি জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, এসব জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের মুক্তি আসলে কী বার্তা দিচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জামিনে মুক্তি পেলেও তাদের নজরদারিতে রাখতে হবে।

জানা গেছে, সরকার পতনের পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন অন্তত ৬ জন ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’। এদের প্রায় সবাই খুন, চাঁদাবাজি, ভাংচুর ও দখলবাজির অভিযোগে অন্তত ১৫-২০ বছর ধরে কারাবন্দি ছিলেন। যাদের সবার বিরুদ্ধেই ছিল ৭ থেকে ১৫টি মামলা। সব মামলায় জামিন পেয়ে এখন তারা একে একে কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান রাজধানীর পূর্ব রাজা বাজার এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী বলে পরিচিত শেখ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম।

কারা কর্মকর্তারা জানান, ১৯৯৭ সালে সুইডেন আসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ২২টি মামলা ছিল। এর মধ্যে তেজগাঁও এলাকায় গালিব হত্যাসহ ৯টি হত্যা মামলা রয়েছে। ‘শীর্ষ সন্ত্রাসীদের’ মধ্যে আরো ৫ জন গত এক মাসে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তারা হলেন সানজিদুল ইসলাম ইমন, আব্বাস উদ্দিন ওরফে কিলার আব্বাস, টিটন, পিচ্চি হেলাল ও ফ্রিডম রাসু।

গত ১৪ আগস্ট ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ইমন মুক্তি পান। একই সময়ে ইমনের প্রধান সহযোগী মামুনও জামিনে মুক্তি পান। এর আগে ১২ আগস্ট একই কারাগার থেকে মুক্তি পান ফ্রিডম রাসু ও পিচ্চি হেলাল। রাসুর বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যাসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। ২০০১ সালের ২৬ ডিসেম্বর ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসী তালিকা প্রকাশের আগেই পিচ্চি হেলাল মোহাম্মদপুর থেকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। তার বিরুদ্ধে চারটি হত্যা মামলাসহ ৮টি মামলা রয়েছে। ২৩ ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’র তালিকার ২ নম্বরে টিটনের নাম। ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকার একটি বাসা থেকে ডিবি অবৈধ পিস্তলসহ তাকে গ্রেপ্তার করে। গত ১২ আগস্ট কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান টিটন। ১৩ আগস্ট কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান আব্বাস উদ্দিন ওরফে কিলার আব্বাস। রাজধানীর কাফরুল, কচুক্ষেত ও ইব্রাহিমপুর এলাকার অপরাধ জগতের ডন ছিলেন আব্বাস। তার বিরুদ্ধে ৬টি হত্যা মামলাসহ ১০টি মামলা বিচারাধীন। তবে এই ১০ টি মামলায় একে একে তিনি জামিন পান।

এদিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) প্রধান মুফতি জসিম উদ্দীন রাহমানী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। গত রোববার দুপুরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে জসিম উদ্দীন রাহমানীকে মুক্তি দেওয়া হয়। তিনি ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। সেই সাজা ভোগ করা হয়ে গেছে। এছাড়া আরো পাঁচটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সেগুলোতে তিনি জামিন পেয়েছেন। ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট বরগুনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাহমানীকে। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে ছিলেন। জঙ্গি তৎপরতা, সরকার ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে জসিম উদ্দিন রাহমানীর বিরুদ্ধে আরো পাঁচটি মামলা বিচারাধীন। সেগুলোতেও ইতিমধ্যে তিনি জামিন পেয়েছেন।

অন্যদিকে গত ৭ আগস্ট গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বিক্ষোভের সময় কারারক্ষীদের জিম্মি করে ২০৯ জন বন্দি পালিয়ে যান। বন্দি পালানো ঠেকাতে গুলি ছোঁড়েন কারারক্ষীরা। এতে ছয়জন নিহত হন। তাদের মধ্যে তিন জঙ্গিও ছিল। যারা গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জিম্মি করে হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। পলাতকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন জঙ্গি সদস্য রয়েছে বলে কারাগার সূত্রে জানা গেছে।

এছাড়া গত ২০ জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ৯ জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাদের সহযোদ্ধারা। এদের মধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ৫ জন এখনো পলাতক। ওই সময় কারাগার থেকে বেশ কিছু অস্ত্র লুট হয়, পালিয়ে যায় প্রায় ৯ শতাধিক আসামি। লুট হওয়া ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ২০টি চায়না রাইফেল, ১৫টি রাইফেল এবং ১০টি শটগানসহ ৪৫টি অস্ত্র, এক হাজার ৯১টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ১৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের সহায়তায় পালিয়ে যাওয়া ৪৮১ জন কয়েদি আত্মসমর্পণ করেছেন। এখনো পলাতক রয়েছেন বিভিন্ন মামলার দুই শতাধিক আসামি।

সরকার পতনের পর সারা দেশের বিভিন্ন থানা, ফাঁড়িতে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন জানায়, সারা দেশের ৬৩৯টি থানার মধ্যে অন্তত ৪৫০টি কমবেশি ‘আক্রান্ত’ হয়েছিল। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, ওই সময় সর্বমোট পাঁচ হাজার ৮১৭টি আগ্নেয়াস্ত্র খোয়া যায় ১৮শ ৯০টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এছাড়া ক্ষমতার পালাবদলের সময় গণভবনের দায়িত্বে থাকা এসএসএফ সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার জন্য অল্প সময় পেয়েছিলেন। এতে তাদের সব অস্ত্র ও গোলাবারুদ তারা নিতে পারেননি। বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্টিক্যাল গিয়ার, অস্ত্র, গোলাবারুদ, সাজসরঞ্জাম, বেতার যোগাযোগ ও অপারেশনাল সরঞ্জামাদির মজুত ছিল এসএসএফের। কিন্তু হাতে সময় একদমই না থাকায় সেসব ফেলে শুধু নিজেদের সঙ্গে থাকা ছোট আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিভিন্নভাবে গণভবন থেকে সংসদ ভবনে গিয়ে প্রাণরক্ষার চেষ্টা করেন তারা। জনতা যখন সংসদ ভবনেও ঢুকে পড়ে, তখন এসএসএফ সদস্যরা দ্রুত নিজেদের অস্ত্র ও পোশাক খুলে সংসদ ভবনের ভল্টে রেখে সাধারণ পোশাকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে প্রাণরক্ষা করেন বলে দায়িত্বশীল সূত্রে খবর পাওয়া যায়। পরবর্তীতে গণভবন ও সংসদ ভবনে থাকা ভল্টগুলো আর পাওয়া যায়নি; যা আন্দোলনকারীদের বেশে দুষ্কৃতকারীরা নিয়ে গেছে বলে মনে করছে এসএসএফ কর্মকর্তারা।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০০৯ সাল থেকে এ বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক লোকদের মধ্যে যারা অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছিলেন সেগুলো স্থগিত করে। পাশাপাশি ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেগুলো জমা না দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানায় পুলিশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্তত ৫০ হাজার বেসামরিক লোকের হাতে অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল; যার মধ্যে অন্তত ১০ হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী দলীয় বিবেচনায় পেয়েছেন। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে যারা এখনো অস্ত্র জমা দেননি তাদের অস্ত্রও অবৈধ বলে বিবেচিত হচ্ছে। তারাও আসবেন আইনের আওতায়।

চলমান পরিস্থিতিতে আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও জঙ্গি নেতাদের মুক্তির বিষয়টি নতুন করে অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছে। অপরাধীরা যদি মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে না ফিরে; তাহলে বড় বিপত্তি ঘটতে পারে। এই আশঙ্কায় অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। মিরপুর এলাকার এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মুক্তির খবরে আমরা ভয়ে আছি। মিরপুরের অনেক ব্যবসায়ী ও ঠিকাদাররা ভাবনায় পড়ে গেছেন। ভাবছি স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা করতে পারবো কিনা। একই সূরে কথা বলেছেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ঠিকাদার ও ভবন নির্মাণে জড়িতরা।

‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’দের জামিনে মুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ গণমাধ্যমকে বলেন, একজন মানুষ তো সারাজীবন কারাগারে থাকতে পারে না। আদালত যদি জামিন দেয়, তাহলে মুক্তিতে সমস্যা কী? জোর করে তো আর তাকে কারাগারে আটকে রাখা যাবে না। তবে, হ্যাঁ, কারাগার থেকে বের হওয়ার পর তার দিকে নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি যদি অপরাধ জগৎ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন তো ভালো কথা। কিন্তু তিনি যদি আবারও অপরাধ জগতে ফিরে যান, তাহলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আবারও তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবের আহমেদ চেীধুরী ভোরের আকাশকে বলেন, ঢালাওভাবে সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দেওয়া উচিত হচ্ছে বলে মনে হয় না। যেহেতু বিভিন্ন সময় জানতে পেরেছি যে তারা জেলে বসেই তাদের নিজ নিজ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আধিপত্য বজায় রেখেছে। এখন তারা ছাড়া পেয়ে আবারও তাদের আধিপত্য বিস্তারে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে। এসব সন্ত্রাসী একসময় রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করেছে। যে কারণে বিগত সরকার তাদেরকে আটকে রেখেছিল। এখন সরকার পতনের সুযোগে তাদের সমর্থিত দল তাদেরকে বাইরে নিয়ে আসছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার।

লুট হওয়া অনেক অস্ত্র ও গোলাবারুদ এখনো উদ্ধারের অপেক্ষায় এমন এক সময়ে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের কারামুক্তি নিরাপত্তা সংকট বাড়াতে পারে কিনা জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান বলেন, জেল ভেঙে যে জঙ্গিরা পালিয়েছে তারা তো অবশ্যই নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এমনকি বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ এখন যে উদ্ধার হয়নি সেটাও তো উদ্বেগের। এছাড়া গণভবন ও সংসদ ভবন থেকে এসএসএফের যে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়েছে, সেগুলো তো কোনোভাবেই সাধারণ নাগরিকের কাছে, এমনকি পুলিশের কাছেও থাকা উচিত নয়। এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাইরে থাকলে যে কোনো সময় আইন-শৃঙ্খলা পারিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা থেকে যায়।

আগ্নেয়াস্ত্র সাধারণ মানুষের কাছে থাকা নিরাপদ কিনা জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নুরুল হুদা বলেন, অবৈধ কোনো আগ্নেয়াস্ত্র সাধারণ মানুষের কাছে থাকা ঠিক না। এর কারণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে কোনো সময় অবনতি হতে পারে। এই মুহূর্তে সরকারের কাজ হবে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে মনোযোগ দেওয়া। পাশাপাশি যেসব সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরা পালিয়ে গেছেন, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করা।

লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে পুলিশের সার্বিক উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাইনুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের জন্য যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সেগুলো উদ্ধার করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে আমরা চেষ্টা করছি। সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের কারামুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, আদালতের জামিন নিয়ে যারা কারাগার থেকে বের হয়েছেন, তাদের উপর আমরা নজর রাখছি। আবারও যদি তারা অপরাধকর্মে যুক্ত হন, তাহলে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে। অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আমাদের মিডিয়ার সহযোগিতা প্রয়োজন।

ভোরের আকাশ/ সু