রিপন ও মিজানুর তাদের বয়স আনুমানিক ৮ থেকে ৯ বছর দুইটি শিশু এ সময় স্কুলে থাকার কথা অথচ শিশু দুইটিকে দেখা গেল একটি বিলের মাঝে শাপলা কুড়াতে। রিপন নামে একটি শিশু বলল হোটেল বন্ধ তাই শাপলা কুড়াই।
কিন্তু কেন ? এমন প্রশ্নে সে জানায়- বাবা মার সাথে মারামারি ও কথা কাটাকাটি হইছে তাই বাবা-মাকে তালাক দিয়ে অন্য আরেকটা বিয়ে করে রংপুরে আছে। মা আমাকে নিয়ে বিক্রমপুরের বালি গাঁও ইসলামপুরে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে। আমি হোটেলে কাজ করতাম। এখন বন্ধ হয়ে গেছে তাই এখন শাপলা কুড়াই। মা বাসা বাড়িতে কাজ করে আর আমি শাপলা কুড়াই। বিক্রি করে এক হইতে দেড়শ টাকা পাই। এই টাকা মাকে নিয়ে দেই ।
শিশুটি আরো বলে, এখন আমরা কি কইরা খামু হোটেল বন্ধ তাই শাপলা কুড়াই। আমরা গরীব মানুষ, আমি ছোট তাই সবাই আমাকে কামে নিতে চায় না । তাই বিলের মাঝে শাপলা কুড়াই, শাপলা বিক্রি করে যা পাই মাকে নিয়ে দেই। আগে স্কুলে যাইতাম, এখন যাই না।
অন্য শিশু মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা। সে একসময় স্কুলে যেত বাবা-মা বিক্রমপুর মুন্সিগঞ্জ চলে আসাতে সে আর এখন স্কুলে যেতে পারে না। তাকে তার বাবা মার সাথে থাকতে হয়। তার বাবা দিনমজুরের কাজ করে, তার মা বাসা বাড়িতে কাজ করে।
মিজানুর বলে, অভাবের সংসার তাই মাঝে মাঝে বিলে শাপলা কুড়াতে আসি। এক হইতে দেড়শ টাকা শাপলা বিক্রি করে মার হাতে দেই। আবার যদি সুযোগ পাই তাহলে স্কুলে যাব।
ভোরের আকাশ/ সু