শেরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই মহল্লার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে দুই জন নিহত ও আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০ জন। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শেরপুর শহরের গৌরিপুর ও খোয়ারপাড় দুই মহল্লার মধ্যে এই ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় কয়েকটি দোকানে ভাংচুর লুটপাট হয়েছে।
নিহতরা হলেন- গৌরীপুর এলাকার মৃত মৌলভী আজাহার আলীর ছেলে মিজানুর রহমান মিজান (৩৫)। তিনি পেশায় ট্রলি চালক। আরেকজন ওই এলাকার দেলোয়ার হোসেন মিন্টুর ছেলে আরিফুল ইসলাম শ্রাবণ। তিনি শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, গৌরীপুর মহল্লার ও খোয়ারপাড় এলাকার শাপলা চত্বরে দুই দল কিশোর পোলাপানের মধ্যে কথা কাটাকাটির একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই মহল্লার লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুই মহল্লার বাসিন্দারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় গৌরীপুর মহল্লার ট্রলি চালক মিজানকে খোয়ারারপাড় শাপলা চত্বর এলাকার লোকজন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি দল তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে আনলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করে। আরেকজন গুরুতর আহত হলে চিকিৎসক ময়মনসিংহ রেফার্ড করে। আজ ভোরে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে শ্রাবণের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সেনাবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ টহলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও রাতভর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা যায়।
তবে নিহতের ঘটনায় দুই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। আতঙ্কে রয়েছে হাজারো মানুষ।
ভোরের আকাশ/ সু