logo
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:১০
দিল্লি-ঢাকা-দিল্লি
ডোনাল্ড লুর দৌড়ঝাঁপ 
নিখিল মানখিন

ডোনাল্ড লুর দৌড়ঝাঁপ 

ভারতের নয়াদিল্লি হয়ে তিনি ঢাকায় এলেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন। বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দিলেন মার্কিন সহায়তার প্রতিশ্রুতি। দুদিনের ঢাকা সফর শেষে আবারও নয়াদিল্লি গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। সেখানে ভারতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন। মার্কিন এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লি-ঢাকা-দিল্লি দৌড়ঝাঁপ নিয়ে আলোচনা চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর তিন দিন পর নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আর ডোনাল্ড লু ঢাকা এলেন সরকার পতনের এক মাস ৯ দিন পর।

লুর এই সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন কূটনীতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা তার পতনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ি করেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র তা নাকচ করে দিয়েছে। এর মধ্যেই লুর দিল্লি-ঢাকা-দিল্লি সফর অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। এতে করে বাংলাদেশের জনসাধারণও ভারতের ওপর ক্ষুব্ধ। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক ভালো নয়। জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদানের ফাঁকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রস্তাব দিলেও দিল্লি এখনও কিছু জানায়নি। এর মধ্যেই গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে বিরক্ত না করতে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে বার্তা দিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে লুর এই দৌড়ঝাঁপ বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ। ঢাকা ও দিল্লির সম্পর্কোন্নয়নে হয়ত লু একটি বড় ভূমিকা নেবেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বক্তব্যেও এর ইঙ্গিত মিলেছে। সব মিলিয়ে শেখ হাসিনাকে অতীত ধরে নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ইঙ্গিত দিয়েছেন জয়শঙ্কর।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ফরিদুল আলম বলেন, ‘ডোনাল্ড লু নিশ্চই কোনো ম্যাসেজ দিল্লি থেকে নিয়ে এসেছেন বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের কোনো ম্যাসেজ তিনি নিশ্চই দিল্লির কাছে পৌঁছে দেবেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি চাচ্ছেন বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কটা স্বাভাবিক থাকুক। এই সম্পর্ক যদি স্বাভাবিক না থাকে তাহলে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আমেরিকার যে পলিসি সেটা প্রসিড করা আমেরিকার জন্য বেশ ডিফিকাল্ট হবে।’

অধ্যাপক ফরিদুল আলম আরও বলেন, ‘দুই সরকার প্রধানের মধ্যে যদি তারা সম্পর্কটা তৈরি করে দিতে পারে এবং সেই জায়গায় আমার কাছে মনে হচ্ছে আমেরিকা অনেকটাই মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছে।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থিতিশীলতার স্বার্থেই ঢাকা-দিল্লির সুসম্পর্ক চায় আমেরিকা। সে জন্যই বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দুই দেশের মধ্যে যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে দুতিয়ালি করছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য ওয়াশিংটন যে ঘোষণা দিয়েছে তার মূল লক্ষ্য ইন্দো-প্যাসিফিকে চীনের প্রভাব ঠেকানো। ৩০ বছর ধরে এ অঞ্চল ঘিরে কূটনৈতিক কৌশল সাজাচ্ছে দেশটি। আর এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতকে সমানভাবে পাশে চায় আমেরিকা। তাই ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ককে গুরুত্ব দিচ্ছে ওয়াশিংটন।

দুই দিনের সফর শেষে গতকাল রোববার ঢাকা থেকে আবার দিল্লি গেলেন আমেরিকার দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। দিল্লিতে ইতোমধ্যেই তিনি ভারত সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই বৈঠকে ইউক্রেনে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা ছাড়াও আলোচনা হয়েছে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, জ্বালানি সহযোগিতা ও মহাকাশ ইস্যুতে। স্থানীয় সময় গত সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

‘ইউএস-ইন্ডিয়া ২+২ ইন্টারসেশনাল ডায়ালগ’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অষ্টম ইউএস-ইন্ডিয়া ২+২ ইন্টারসেশনাল ডায়ালগের সময় সহযোগিতা প্রসারিত করার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করতে মার্কিন ও ভারতীয় কর্মকর্তারা ১৬ সেপ্টেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে একত্রিত হয়েছেন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব নাগরাজ নাইডু এবং ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতার যুগ্ম-সচিব বিশ্বেশ নেগির সঙ্গে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু এবং ইন্দো-প্যাসিফিক সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্সের প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব ডিফেন্স জেডিদিয়া পি. রয়েল সহ-সভাপতিত্ব করেন।

এতে বলা হয়েছে, ২+২ ইন্টারসেশনাল ডায়ালগে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, মহাকাশ ও বেসামরিক বিমান চালনার সহযোগিতা, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি সহযোগিতা এবং শিল্প ও লজিস্টিক সমন্বয়সহ অভিন্ন অগ্রাধিকারগুলোকে এগিয়ে নিয়েছে।

ইউক্রেনের ন্যায়সঙ্গত টেকসই শান্তির জন্য সমর্থনের পাশাপাশি কর্মকর্তারা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলসহ বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠা, সেই সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তায় সমর্থনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন। সহকারী সেক্রেটারি লু এবং প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রয়েল চলমান অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

ইন্টারসেসনাল এই ডায়ালগ পরবর্তী ২+২ মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপের ভিত্তি স্থাপন করেছে। অন্যতম প্রধান এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত তাদের বিস্তৃত বৈশ্বিক এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

তবে কূটনীতির সূত্রগুলো বলছে, পর্দার আড়ালে হয়ত বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলেছেন লু। কারণ পট পরিবর্তনের পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের একধরনের বৈরি সম্পর্ক চলছে। লু হয়ত সেটির কমিয়ে আনার অনুঘটক হিসেবে কাজ করছেন। এ কারণে তিনি ঢাকায় আসার আগে দিল্লি হয়ে এসেছেন। সেখান থেকে বার্তা এনে ঢাকায় দিয়েছেন। আবার ঢাকার বার্তা নিয়ে দিল্লি গেছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর যা জানাল

বাংলাদেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করার বিষয়ে কথা বলতেই যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকায় এসেছিলেন। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এমনটা জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশে সফর সম্পর্কে এক সাংবাদিক প্রশ্নে করেন, বাংলাদেশে ডোনাল্ড লুর বৈঠক সম্পর্কে কী আপনার জানা আছে? আরও বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বোঝাপড়া এবং বাংলাদেশ যেদিকে যাচ্ছেÑ তা যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে মূল্যায়ন করে। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘোষণা আছে তারা বাংলাদেশে সাহায্য করবে, সে বিষয়ে আপনাদের লক্ষ্য কী? জবাবে মিলার বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা, সুশাসন এবং উন্নয়নের প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে তাদেরকে সহযোগিতা করতে পারে, এ বিষয়ে লু অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। তিনি সেখানে একজন মার্কিন সহায়তাকারী প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত আছেন। বাংলাদেশের জনগণের জন্য উজ্জ্বল এবং সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে এবং সেখানে সুশাসন ও বাণিজ্য প্রসারিত করতে ২০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে অর্থবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত শনিবার ঢাকায় আসে। সেদিন বিকেলে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে তিনি ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দিল্লি থেকে ঢাকায় পৌঁছান। ডোনাল্ড লুকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হেলেন লাফেভ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিফ অব প্রটোকল ও মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।

সফরের দ্বিতীয় দিনে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। এসময় বাংলাদেশ পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান ড. মুহাম্মদ ইউনুস। একই সঙ্গে দেশটিতে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়েও আলোচনা করেন।

এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র ও অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে মার্কিন প্রতিনিধিরা। এসময় সুশাসন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সক্ষমতা বাড়াতে ২০ কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ইউএসএআইডির মাধ্যমে দেওয়া হবে এই অর্থ ছাড়।

এরপর পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ঢাকা-ওয়াশিংটনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। এ আলোচনায় গুরুত্ব পায় রাষ্ট্র সংস্কার, শ্রম, নিরাপত্তাসহ নানা ইস্যু। পরে এক ব্রিফিংয়ে সচিব জানান, এ বৈঠকে নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে কোনো কথা হয়নি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব জানান, ভারত ইস্যুতে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয় নি।

গত ৪ মাসের মাথায় এটি ছিল তার দ্বিতীয় দফায় ঢাকা সফর। সবশেষ তিনি যখন ঢাকা সফরে আসেন তখন দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছিল।

ভূ-রাজনীতির কঠিন বেড়াজালে থাকা বাংলাদেশের ওপর বিশ্ব মোড়লদের বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের প্রভাব পড়ছে। এই মুহূর্তে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে কিছু বিষয়ে বাংলাদেশের টানাপড়েন চলছে। কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় স্নায়ু যুদ্ধে রয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথমেই ভাবতে হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের কথা। ইন্দো-প্যাসিফিকে ভারতকে সঙ্গে নিয়েই চলতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সুনির্দিষ্ট হয়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে এখনও শক্ত অবস্থানে ভারত। সরকার পতনের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন। আর যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানকে দায়ী করেছেন তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়। ভারত ও চীনের স্নায়ুযুদ্ধ দীর্ঘদিনের। চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক সব সময়ই সাংঘর্ষিক। প্রভাবশালী রাষ্ট্র চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই বাংলাদেশের ওপর প্রভূত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আবার প্রতিবেশি বড় রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের ওপর অন্য দেশের কর্তৃত্ব মেনে নিতে নারাজ ভারত। ফলে ভারত ও বাংলাদেশকে একই মেরুতে আনতে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাইড লাইন বৈঠক নিয়ে ঢাকার প্রস্তাবে এখনও সাড়া দেয়নি দিল্লি। বিশ্লেষকরা বলছেন, দুদেশের সেতুবন্ধনের কাজটি করতে পারে বাইডেন প্রশাসন।

ভোরের আকাশ/ সু