logo
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:৪৬
তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার সড়ক অবরোধ
ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার সড়ক অবরোধ

হামলা, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার প্রতিবাদে এবং দোষীদের বিচারের দাবিতে ৭২ ঘণ্টা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে। এর মধ্যে রাঙামাটিতে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

শুক্রবার ‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র–জনতার’ ব্যানারে ৭২ ঘণ্টার এই অবরোধের ডাক দেওয়া হয়।

এদিকে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে অবরোধ শুরু হয়েছে। তিন জেলায় দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলছে না। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এসব শহরের ভেতরও যানবাহন চলাচল সীমিত রয়েছে।

শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সমর্থন দিয়েছে সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন নামে একটি সংগঠন। এছাড়া পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টও (ইউপিডিএফ) অবরোধে সমর্থন জানায়।

এদিকে একইদিন ঢাকার একটি সমাবেশ থেকে সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে অবরোধ পালনের ঘোষণা দেয় ইউপিডিএফ।

অন্যদিকে রাঙামাটিতে আজ সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় মালিক সমিতি। শুক্রবার রাঙামাটিতে বাস, ট্রাক ও অটোরিকশা পুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে রাতে এক জরুরি সভায় এ ঘোষণা দেন জেলা পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা।

জানা যায়, গত বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরে চুরির অভিযোগে মো. মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। ওই দিন পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর সংঘাতের রেশ রাঙামাটিতে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ-সহিংসতায় পার্বত্য এই দুই জেলায় ৪ জন নিহত এবং অন্তত ৮০ জন আহত হয়।

পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই জেলায় শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। এরপর থেকে সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই শান্ত রয়েছে।

বর্তমানে দুই জেলায় সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ মোতায়েন এবং টহল জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে আজ (শনিবার) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল দুই জেলা পরিদর্শনের কথা রয়েছে।

ভোরের আকাশ/ সু