logo
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:৪৭
যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে
২১৬ অস্ত্র উদ্ধার
হেলাল সাজওয়াল

যৌথবাহিনীর অভিযান
অব্যাহত থাকবে

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং অস্ত্র উদ্ধারে শুরু হওয়া যৌথবাহিনীর অভিযান চলবে। সরকার যতদিন প্রয়োজন মনে করবে; ততদিনই এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। রাজধানীসহ সারা দেশে ৪ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে শুরু হওয়া অভিযানে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২১৬টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন ৯২ জন। গতকাল বুধবাার এ তথ্য জানা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার এ অভিযান শেষ হওয়ার কথা ছিল।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিন ও পরদিন (৫ ও ৬ আগস্ট) দেশের বিভিন্ন থানা থেকে ১১ ধরনের ৫ হাজার ৮২৯টি অস্ত্র লুট হয়। এর মধ্যে যৌথ অভিযান শুরু হওয়ার আগে পুলিশের অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ৩ হাজার ১৭৪টি অস্ত্র। লুট হওয়া আরও ২ হাজার ৭৫৫টি অস্ত্রের হদিস পাওয়া যায়নি ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর আগে বারবার এ অস্ত্র জমা দেওয়ার অনুরোধ করেছিল সরকার। বলা হয়েছিল এ অস্ত্র জমা না হলে অভিযান শুরু করা হবে।

এমতাবস্থায় গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ৫ আগস্ট-২০২৪ পর্যন্ত বেসামরিক আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়। ওই সময় যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাদের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়। একই সঙ্গে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ সদর দপ্তর। অস্ত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষে সশস্ত্র বাহিনী (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী), পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসারের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান শুরু হয়।

৪ সেপ্টেম্বর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে রিভলবার ১১টি, পিস্তল ৬২টি, রাইফেল ১৩টি, শটগান ২৮টি, পাইপগান ৬টি, শ্যুটারগান ২৩টি, এলজি ২০টি, বন্দুক ৩১টি, একে-৪৭ রাইফেল ১টি, গ্যাসগান ২টি, চাইনিজ রাইফেল ১টি, এয়ারগান ৪টি, এসবিবিএল ৫টি, এসএমজি ৫টি, টিয়ার গ্যাস লঞ্চার ২টি ও ২টি থ্রি-কোয়াটার উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা গেছে, পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার; লাইসেন্স স্থগিতকৃত কিন্তু জমা দেয়া হয়নি- এমন অস্ত্র জব্দ; এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ এর কারবারি ও ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মিডিয়া ইনামুল হক সাগর ভোরের আকাশকে বলেন, যৌথ অভিযানে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে থানাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা থেকে লুট হওয়া ও লাইসেন্স স্থগিত করা আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। তবে যৌথ অভিযানে কাক্সিক্ষত অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। অস্ত্র উদ্ধার এবং আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সরকার যতদিন চাইবে ততদিন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

ভোরের আকাশ/মি