logo
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:৫৪
বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃসীমান্ত নদী পানি কূটনীতিতে পিছিয়ে বাংলাদেশ
আশীষ কুমার দে

বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃসীমান্ত নদী
পানি কূটনীতিতে পিছিয়ে বাংলাদেশ

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও অকাল বৃষ্টি কিংবা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিহীনতা দেখা দিচ্ছে। তীব্র ক্ষরার পাশাপাশি অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে যায় তাপমাত্রা। আবার অসময়ে প্রবল বর্ষণে দেশের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক বন্যার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। বিশেষ করে বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃসীমান্ত নদী পরিবেষ্টিত দেশের উত্তরাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দেখা দিচ্ছে এই ক্ষরা পরিস্থিতি ও বন্যার প্রাদুর্ভাব। এর মাত্রা প্রতিবছরই বেড়ে চলেছে। অতি বন্যা এবং অতি ক্ষরা কিংবা তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি যাই হোক না কেন, এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলেই ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের ‘পানির ন্যায্য হিস্যা’ আদায় কিংবা বাংলাদেশ-ভারত সুষম পানিবণ্টন চুক্তির প্রসঙ্গটি সর্বাগ্রে আলোচিত হয়।

রাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের একাংশের অভিমত, ভারতের সঙ্গে সুষম পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছে না বাংলাদেশ। ভারত শুকনো মৌসুমে অভিন্ন একাধিক অভিন্ন নদীর পানি আটকে রেখে বাংলাদেশে মরুময়তা সৃষ্টি হয়। অন্য দিকে, বর্ষা মৌসুমে বেশি মাত্রায় পানি ছেড়ে দেওয়ায় বন্যার কবলে পড়ে দেশ। এর জন্য দায়ী করা হয় বাংলাদেশের দুর্বল পানি কূটনীতিকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক পানিপ্রবাহ কনভেনশনে অনুস্বাক্ষর না করায় পানির ন্যায্যতা দাবিতে আইনের দ্বারস্থ হতে পারছে না বাংলাদেশ। আর এই সুযোগে অভিন্ন নদীগুলোর পানির স্বেচ্ছাচার ব্যবহার করছে ভারত।

তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কার্যকর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, পানির ন্যায্য অধিকার ও হিস্যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনার জন্য শিগগিরই উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদী রয়েছে। ১৯৭২ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন। এই কমিশন গঠনের ২৫ বছর পর ১৯৯৬ সালে শুধু গঙ্গার (পদ্মা) পানিবণ্টন চুক্তি হয়েছে। এর বাইরে অন্য কোনো নদীর পানি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টন চুক্তি গত ৫২ বছরেও সম্পন্ন হয়নি। ফলে উজানের দেশ প্রতিবেশি ভারতের সঙ্গে ভাটির দেশ কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের জটিল একটি সমস্যা রয়ে গেছে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, পানি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষর না করা ‘পানি কূটনীতি’তে বাংলাদেশের একটি বড় দুর্বলতা। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘ ‘আন্তর্জাতিক পানিপ্রবাহ কনভেনশন’ অনুমোদনের সময় এর পক্ষে বাংলাদেশ ভোট দেয়। তবে ওই কনভেনশনে আজও অনুস্বাক্ষর করেনি। এ কারণে আন্তঃসীমান্ত কোনো নদীর পানি নিয়ে ভারতের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হলে তা মীমাংসার জন্য আইনের আশ্রয় নিতে পারছে না বাংলাদেশ।

পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞসহ এ সংক্রান্ত আইনজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পানিপ্রবাহ কনভেনশনে অনুস্বাক্ষর করলে উজানের দেশ হিসেবে ভারত ইচ্ছামতো পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করতে পারতো না। আইন লঙ্ঘন করে তা করলেও বাংলাদেশকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকতো ভারত।

বিশে^র তৃতীয় বৃহত্তম গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা (জিবিএম) অববাহিকায় পাঁচটি স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ, ভারত, চীন, ভুটান ও নেপাল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে ভাটিতে। গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র হিমালয় থেকে এবং মেঘনা বরাক থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের কৃষি ও সেচ খাত মূলত এসব নদীর ওপরই নির্ভরশীল। এজন্য স্বাধীনতার পরই ভারতের সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনা ও পানিবণ্টন ইস্যুটি গুরুত্ব পায় এবং ১৯৭২ সালে দুই দেশের উদ্যোগে গঠিত হয় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন। কিন্তু ৫২ বছরে গঙ্গা (পদ্মা) ছাড়া অন্য কোনো নদীর পানিবণ্টন নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই দেশ।

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদীর মধ্যে শুধু গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি হলেও আরো ৯টি নদীর পানিবণ্টন নিয়ে কমিশন কাজ করেছে। এ তালিকায় রয়েছেÑ তিস্তা, ফেনী, ধরলা, দুধকুমার, মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী ও কুশিয়ারা। সব মিলিয়ে নদী কমিশন গত ৫২ বছরে ১০টি নদীর পানিবণ্টন নিয়ে কাজ করেছে। বাকি ৪৪টি নদীর পানিবণ্টন নিয়ে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেই।

মূলত বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত ঘটে ফারাক্কা বাঁধকে ঘিরে। ১৯৬১ সালে গঙ্গা নদীর ওপর এ বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়। তবে নির্মাণকাজ শুরুর ১০ বছর আগে ১৯৫১ সালে ভারতের এ পরিকল্পনা চূড়ান্তকরণের সময়ই উদ্বেগ জানিয়েছিল তৎকালীন অবিভক্ত পাকিস্তান। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ-ভারতের আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর ব্যবস্থাপনা ও পানিবণ্টনের জন্য গঠিত হয় যৌথ নদী কমিশন। তবে বাংলাদেশ ও ভারতে বারবার রাজনৈতিক পটপরিবর্তনসহ নানা কারণে এ কমিশন নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করতে পারেনি।

ভারতের সঙ্গে নদী নিয়ে যেসব বিরোধ রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে গঙ্গার পানিবণ্টনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। ১৯৭৪ সালে ফারাক্কা বাঁধটির নির্মাণ যখন প্রায় শেষ পর্যায়ে, তখন উভয় দেশের সরকারপ্রধানদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, গঙ্গার পানি ভাগাভাগির প্রশ্নে দুই দেশের ঐকমত্য ও চুক্তির আগে ফারাক্কা বাঁধ চালু হবে না। এরপর ১৯৭৫ সালে ফারাক্কা বাঁধের ফিডার ক্যানাল পরীক্ষার জন্য ভারতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাময়িকভাবে বাঁধ চালুতে সম্মত হয় বাংলাদেশ। তবে এরপর পানিবণ্টন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কায় ১৯৭৬ সালে বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের শরণাপন্ন হয়েছিল বাংলাদেশ।

জাতিসংঘ বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পরামর্শ দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশ ১৯৭৭ সালে প্রথমবার পাঁচ বছর মেয়াদি একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে। মেয়াদ শেষে অনেক বছর এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি ছিল না। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি আবার সামনে আসে। ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া নয়াদিল্লিতে ৩০ বছরের এক চুক্তি স্বাক্ষর করেন; যার মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হচ্ছে।

গঙ্গা চুক্তি অনুযায়ী, বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ফারাক্কা থেকে দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টন হতে থাকে। পূর্ববর্তী ৪০ বছরের গড় অনুযায়ী ভারত গঙ্গার পানির ভাগ পেতে থাকে। চুক্তিতে, যেকোনো সংকটে বাংলাদেশকে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি সরবরাহের নিশ্চয়তাও দেওয়া হয়। এছাড়া চুক্তির ৯ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত নদীর পানিবণ্টনের বিষয়েও দুই দেশ ভবিষ্যতে চুক্তি করবে।

তিস্তা নদীর পানি নিয়েও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বহু বছর যাবৎ আলোচনা চলছে। ১৯৭২ সালে যৌথ নদী কমিশনের দ্বিতীয় সভায়ই তিস্তার পানি নিয়ে আলোচনা হয়। ১৯৮৩ সালে অন্তর্বর্তীকালীন একটি চুক্তিও হয়। সে অনুযায়ী, বাংলাদেশের ছিল ৩৬ শতাংশ, ভারতের ৩৯ শতাংশ আর ২৫ শতাংশ পানি ছিল নদীর নাব্য বজায় রাখার জন্য। ১৯৮৫ সালে সেই অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। ১৯৮৭ সালে মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়ানো হয়। এরপর আর কোনো চুক্তি হয়নি।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ২১ মে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভায় জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক পানিপ্রবাহ কনভেনশন গৃহীত হয়। ১০৩টি দেশ কনভেনশনের পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত থাকে ভারত ও পাকিস্তান। কনভেনশনের বিরোধিতা করে তিনটি দেশ চীন, তুরস্ক ও বুরুন্ডি। কনভেনশনটি আইনে পরিণত করার জন্য ৩৫টি দেশের অনুস্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ভিয়েতনামের অনুস্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে কনভেনশনটি আইনে পরিণত হয়। কিন্তু বাংলাদেশ অজ্ঞাত কারণে আজ পর্যন্ত এ কনভেনশনে অনুস্বাক্ষর করেনি। তবে বাংলাদেশের জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি ছিল বলে মনে করেন পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞরা।

জানতে চাইলে পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা ও নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক বলেন, ‘আমাদের দেশে নদী কমিশনের ভূূমিকা অনেকটাই শিথিল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনসহ নানা কারণে তারা স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ পায়নি। এছাড়া এ ধরনের বিষয় সমাধানে দুই দেশের পক্ষ থেকেই আন্তরিকতা ও পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। কিন্তু ভারতের দিক থেকে তেমনটা পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের সমস্যাগুলো ও বাংলাদেশের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে এগোয়নি ভারত। ফলে গঙ্গা চুক্তির পর আমরা আর কোনো নদীর পানিবণ্টন চুক্তি করতে পারিনি।’

বিশিষ্ট পরিবেশবিদ প্রকৌশলী ম. ইনামুল আরো বলেন, ‘এসব বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইনে সুরক্ষার কথা বলা আছে; কিন্তু বাংলাদেশ জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭-এ অনুস্বাক্ষর না করায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারছে না। বাংলাদেশ যদি কনভেনশনে স্বাক্ষর করতো, তাহলে ভারত উজানের দেশ হিসেবে চাইলেই ইচ্ছামতো পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করতে পারতো না। আর এমন কিছু করলেও ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হতো ভারত।’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পানিসম্পদ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর পানিবণ্টনের জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি দুই দেশের সুসম্পর্ক। যেখানে উভয় দেশই পরস্পরকে সম্মান করবে এবং ন্যায্য অধিকারের বিষয়ে সচেতন থাকবে। এছাড়া এক্ষেত্রে আমাদের একটি বড় সহায়ক শক্তি হতে পারে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক পানিপ্রবাহ কনভেনশন। বাংলাদেশ যেহেতু ভাটির দেশ, আমরা এর মাধ্যমে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারবো।

বুয়েটের এই অধ্যাপক আরো বলেন, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক যেমনই হোক, তারা কিন্তু সিন্ধু চুক্তির শর্তগুলো মেনে চলছে। এর অন্যতম কারণ আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এ কনভেনশন নদীবিষয়ক জটিলতা সমাধান করে দেবে। এর আগে আমাদের সমুদ্রসীমা নিয়েও কিন্তু জটিলতা ছিল। সেটিও আমরা আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে সমাধান পেয়েছিলাম। এ ক্ষেত্রেও তেমন। এখন যেমন তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে প্রায়ই জটিলতা হচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বারবার উদ্যোগ নিলেও চুক্তি হচ্ছে না। তখন এমন সুযোগ থাকবে না।

তবে এ ক্ষেত্রে আশার বাণী শুনিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, পানির ন্যায্য অধিকার ও হিস্যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনার জন্য শিগগিরই উদ্যোগ নেওয়া হবে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে ‘অভিন্ন নদীতে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা।

 

ভোরের আকাশ/মি