logo
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৬:২২
শাহপরান (র) তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই আজিজ এর বদলিতে চোরাচালান ব্যবসায়ীদের স্বস্তি
সিলেট ব্যুরো

শাহপরান (র) তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই আজিজ এর বদলিতে চোরাচালান ব্যবসায়ীদের স্বস্তি

সিলেটের জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট উপজেলার ভারতীয় অবৈধ পন্যের নিরাপদ রুট হিসেবে তামাবিল মহাসড়ক কে ব্যবহার করা হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। এই রুটে নিরাপদে ভারতীয় অবৈধ চিনি, প্রসাধনী সামগ্রী সহ ভারতীয় বিভিন্ন মাদক অনায়াসে প্রবেশ করে সিলেট শহরে। শাহপরান (র) থানার আওতাধীন বটেশ্বর থেকে শহরের নির্ধারিত গন্তব্য পৌছাতে চোরাচালান ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করেন পুলিশের কিছু অসাধু সদস্য, কিছু রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা কর্মী ও কিছু অসাধু গণমাধ্যম কর্মী নামধারী ব্যক্তি। দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক হারে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চোরাচালান ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।

কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাসে এসএমপির আওতাধীন শাহপরান (রঃ) তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ হিসেবে এস এই আব্দুল আজিজ এর যোগ দেওয়ার পর থেকে বিপাকে পড়েন চোরাচালানী ব্যবসায়ী ও তাদের সহযোগী সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা। বিগত ৩ মাসে অন্তত ৩ কোটি টাকার বেশি পরিমানের চিনি সহ ভারতীয় অবৈধ পন্যে আটক করেন এস আই আজিজ।

ভোরের আকাশ এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তত্ত্ব। এস আই আব্দুল আজিজ শাহপরান (রঃ) তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বে আসার পর থেকে উক্ত তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্য সহ চোরাচালান ব্যবসায় সহযোগী ব্যক্তিদের কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখেন। বন্ধ হয়ে যায় কিছু অসাধু পুলিশ সদস্যর ঘুষ বানিজ্য সহ সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের আর্থিক সুযোগ সুবিধা । এস আই আজিজের উপর ক্ষিপ্ত হতে থাকেন চোরাচালান ব্যবসায়ী ও এদের থেকে সুবিধাভোগী অনেকে।

কিন্তু শাহপরান (রঃ) তদন্ত কেন্দ্রে থেকে এস আই আজিজের বদলিতে আবারও স্বস্তি ফিরেছে চোরাচালান ব্যবসায়ী ও তাদের সহযোগীদের। আবারও সিলেট বটেশ্বর থেকে সিলেট শহর পর্যন্ত রাত ২ টার পর থেকে নিরাপদে ভারতীয় অবৈধ পন্যে পরিবহনের ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছে।

এসকল অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা এ বিষয়ে গভীর উদ্ধেগ প্রকাশ করেছেন।

 

ভোরের আকাশ/মি