logo
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৪:২৪
চট্টগ্রামে ২৯২ মণ্ডপে দুর্গাপূজা, রং-তুলিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা
এনএস কাঞ্চন, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ২৯২ মণ্ডপে দুর্গাপূজা, রং-তুলিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা একেবারেই সন্নিকটে। আগামী ২ অক্টোবর (বুধবার) শুভ মহালয়া। মহালয়ার দিন থেকে শুরু হয় পূজার ক্ষণগণনা। এরপর ৯ অক্টোবর (বুধবার) ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। ১৩ অক্টোবর (রোববার) বিজয়া দশমীতে শেষ হবে শারদীয় এই উৎসব।

এদিকে শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছে মৃৎশিল্পীরা। যেন দম ফেলার ফুসরত নেই।

নগরীর সদরঘাট এলাকার নটরাজ শিল্পালয়, স্বর্গীয় দুলাল পাল প্রতিমালয় ও লোকনাথ শিল্পালয় ঘুরে দেখা গেছে, রং-তুলির আছড়ে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। প্রতিমাকে নানা রংয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সাজে।

মৃৎশিল্পীরা জানান, ইতিমধ্যে প্রতিমার প্রায় ৮০ ভাগ কাজ প্রায় শেষ। ২০ ভাগ কাজ মহালয়ার পরেই শেষ হয়ে যাবে। তবে এবার অর্ডার গতবারের চেয়ে কিছুটা কমেছে। যেসব প্রতিমা বানিয়েছেন তার সবগুলোই অর্ডার হয়েছে।

এ বিষয়ে নটরাজ শিল্পালয়ের স্বত্বাধিকারী মহাদেব পাল বলেন, এবার ১৮টি প্রতিমার সবগুলোই অর্ডার হয়েছে। গতবার ২৫টি তৈরি করেছিলাম। আমার তৈরি করা সব প্রতিমাই মাটির শাড়ি পড়ানো হয়েছে। কারণ অনেক পূজা কমিটির এবারের বাজেটও কম।

স্বর্গীয় দুলাল পাল প্রতিমালয়ের স্বত্বাধিকারী সুজন পাল বলেন, গতবার প্রায় ৪০টি প্রতিমা তৈরি করেছিলাম। এবার ৩০টি করেছি। প্রায় ৮০ ভাগ শেষ আমাদের। এখন রংয়ের কাজ চলছে। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে দিন-রাত কাজ করছি।

অন্যদিকে দেবী দুর্গাকে বরণে চট্টগ্রাম নগরীর পূজামণ্ডপগুলো চলছে জোরেশোরে সাজ-সজ্জার কাজ।

এবারের দুর্গাপূজায় পরিপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং যদি কেউ বিশৃঙ্খলা করতে চায় তাকে তাকে কঠোর আইনের আওতায় নিয়ে আসার কথা জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

মহানগর পূজা পরিষদ জানায়, এবার চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৪টি পূজা মণ্ডপের সংখ্যা কমেছে। এবার ২৯২ মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। যা গতবার ছিল ২৯৬টি।

চট্টগ্রাম নগরীর সব মণ্ডপকেই ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৯২ মণ্ডপের সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছি। ১৬ থানার সব পূজামণ্ডপের তালিকা প্রশাসনের কাছে দিয়েছি। প্রশাসন আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। গতবছরও জেএম সেন হল পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটেছিল।

চট্টগ্রাম মহানগর পূজা পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য বলেন, বিশ্বের সর্বোচ্চ সংস্থা ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া এই শারদীয় দুর্গোৎসব এখন বাঙালির উৎসবে পরিণত হয়েছে। সকল রাজনৈতিক দল যদি আন্তরিকতাভাবে অসম্প্রদায়িক চেতনায় এই উৎসবকে সম্পন্ন করতে চাই তাহলে কোনো অপশক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ পারবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

ভোরের আকাশ/ সু