logo
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:৩৫
যে কারণে আলোচনায় দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা
নিখিল মানখিন

যে কারণে আলোচনায় দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা

দেশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা যুক্ত করার দাবি জোরালো হচ্ছে। সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও সংবিধানে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট সংযুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন। অনেক আইনবিদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং বুদ্ধিজীবীরাও একই সুরে কথা বলছেন। এরপর থেকেই বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। তারা বলছেন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা একটি দেশের সুশাসন, জবাবদিহিতা ও গণতন্ত্র সুসংহত করে।

তবে কেউ কেউ বাংলাদেশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার বিরোধী। তাদের যুক্তি, প্রতিবেশি দেশ ভারতসহ যেসব দেশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার প্রচলন রয়েছে, সেসব দেশ বাংলাদেশের তুলনায় আয়তনের দিক থেকে অনেক অনেক বড়। ওইসব দেশে প্রাদেশিক সরকার রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ আয়তনের দিক থেকে ছোট একটি দেশ। এখানে প্রাদেশিক ব্যবস্থা নেই। প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য ভৌগলিকভাবে ৮টি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। বিশ্বের ৮০টির বেশি দেশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট কার্যকর রয়েছে। ২০২২-এর হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের জাতীয় আইনসভার প্রায় ৪০ শতাংশ দ্বিকক্ষ এবং ৬০ শতাংশ এককক্ষ। শুধু তাই নয়, বিশ্ব নেতৃত্বাদানকারী প্রায় সব দেশে চলছে দ্বিকক্ষ আইনসভা।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা করার জন্য বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি সাবেকমন্ত্রী আ স ম আব্দুর রব গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার দাবি জানিয়ে আসছেন। হালে তার এই দাবি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। যার প্রমান দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ বিভিন্ন মহল থেকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার দাবি তোলা। এই দাবির স্বপক্ষের আরও একটি শক্তিশালী যুক্তি হচ্ছে, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা করা গেলে দেশের আইনসভায় সুশিলসমাজের প্রতিনিধিদের রাখা যাবে। আর দলীয় একাধিক ব্যক্তিকে জনপ্রতিনিধি হিসেবেও মনোনিত করার সুযোগ সৃস্টি হবে।

আইনবিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার দ্বিতীয় চেম্বারগুলি (কক্ষ) প্রথম চেম্বারের ক্ষমতা পরীক্ষা করে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ শাসনের অপব্যবহার প্রতিরোধ করে। আর দ্বিকক্ষ কার্যকরভাবে নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা পরীক্ষা করে। কারণ সরকারের ব্যর্থতা প্রকাশ করার জন্য দুটি কক্ষ রয়েছে। এককক্ষ পার্লামেন্ট বা এক কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট একটা সিঙ্গেল বডি যেটা একটা দেশের সরকারের সকল সিদ্ধান্ত গ্রহন করে থাকে। সাধারণত ছোট দেশে এ ধরনের পার্লামেন্ট সিস্টেম দেখা যায়। একটা হাউজ থাকে। যেমন বাংলাদেশের পার্লামেন্ট সিস্টেম এক কক্ষ বিশিষ্ট। এ ধরনের পার্লামেন্ট সিস্টেম একটি সরকার থাকে।

আর দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট এর দুইটি চেম্বার বা কক্ষ থাকে। যেখানে একটি উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ হিসাবে পরিচিত। এখানে উভয় কক্ষের মধ্যে ক্ষমতার ভাগ থাকে। যেমন ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। এখানে রাজ্য ভিত্তিক একাধিক সরকার থাকে এবং পুরো দেশের জন্য যে সরকার হয় তাকে ফেডারেল সরকার বলে। অনেক সময় এই দুই কক্ষের সদস্যদের পৃথকভাবে নির্বাচিত বা মনোনীত করা হয়, যা এখতিয়ারভেদে ভিন্ন হতে পারে। ফলে দুই কক্ষের সদস্য সংখ্যা অনেক সময় ভিন্ন হয়।

আইনবিদরা আরও বলছেন, সংসদগুলি বিভিন্ন উপায়ে সংগঠিত হতে পারে, যদিও দুটি রূপ আধুনিক গণতান্ত্রিক নকশায় প্রাধান্য পায়। সংসদ এককক্ষ বিশিষ্ট বা দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট। একটি এককক্ষ বিশিষ্ট সংসদে সংসদের সকল সদস্য একই কক্ষে বসে প্রধান নীতিগত সিদ্ধান্তে ভোট দেন। একটি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ সদস্যরা দুটি পৃথক কক্ষে মিলিত হন এবং ভোট দেন, সাধারণত নিম্নকক্ষ এবং উচ্চকক্ষ বলা হয়। নিম্নকক্ষ সাধারণত জনসংখ্যার আনুপাতিক ভিত্তিতে হয়, প্রতিটি সদস্য প্রতিটি জেলা বা অঞ্চলে একই সংখ্যক নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করে। উত্তরাধিকার, বিভিন্ন সংস্থার নিয়োগ এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্বাচন সহ সদস্যদের নির্বাচন করার পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ আরও বিস্তৃতভাবে পরিবর্তিত হয়। অধিকন্তু উচ্চকক্ষ জাতিগত, ধর্মীয় বা আঞ্চলিক গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।

নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষের বিষয়ে আইনবিদরা বলেন, নিম্ন ও উচ্চতর আইনসভার বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন মাত্রায় ভিন্ন ভিন্ন। আকার, অফিসের মেয়াদ, টার্নওভার, সদস্যপদ, প্রতিনিধিত্ব এবং প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতার ক্ষেত্রেও ভিন্নতা রয়েছে। প্রথম পার্থক্য হল দুটি ঘর সমান বা অসম ক্ষমতার কিনা। যখন ঘরগুলির শক্তি খুব অসম হয়, তখন দুর্বল দ্বিকক্ষতা বিদ্যমান থাকে। আর যখন শক্তি প্রায় সমান হয়, তখন শক্তিশালী দ্বিকক্ষতা বিদ্যমান থাকে। দ্বিতীয় পার্থক্য হল দুটি ঘর প্রকৃতি বা গঠনে একই বা ভিন্ন। যদি উভয় হাউস নির্বাচিত হয় তবে তারা একই প্রকৃতির হয় এবং যদি উভয় হাউস একমত নির্বাচনী ব্যবস্থার সাথে নির্বাচিত হয় তবে তারা গঠনে একই রকম হতে পারে।

উচ্চকক্ষে নির্বাচনের তিনটি প্রধান নীতি রয়েছে: প্রত্যক্ষ নির্বাচন (২০০৪ সালের হিসাবে ষাটটি উচ্চ কক্ষের মধ্যে ২৭টিতে ব্যবহৃত হয়), পরোক্ষ নির্বাচন (একুশটি দ্বারা ব্যবহৃত হয়) এবং তৃতীয় পদ্ধতি হল বংশগতি, যা বর্তমান সময়ে বিরল। যুক্তরাজ্যে এই উপাদানটি এখনও বিদ্যমান।

উচ্চকক্ষের সদস্যপদ নির্বাচনের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পদ্ধতি হল দেশের নাগরিকদের দ্বারা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে সরাসরি নির্বাচন। সংসদীয় দ্বিকক্ষীয় দেশগুলিতে এই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, উদাহরণস্বরূপ, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, ইতালি এবং জাপানে। পরোক্ষ নির্বাচন বেশ সাধারণ এবং অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ডের মতো দেশে ঘটে। অবশেষে, কানাডা এবং জার্মানির মতো দেশগুলিতে সম্পূর্ণ বা আংশিক অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে একটি নিবন্ধ লিখেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) এম. সাখাওয়াত হোসেন। যেটি গত ৮ সেপ্টেম্বর একটি দৈনিকে ছাপা হয়েছে। নিবন্ধে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে অষ্টম বৃহত্তম দেশ। জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি। ছোট দেশ হলেও এত বিরাট জনগোষ্ঠীর কাছে সরকারকে নিয়ে যেতে হলে বাংলাদেশকে ন্যূনতম পাঁচটি প্রদেশে ভাগ করে একটি ফেডারেল কাঠামোর রাষ্ট্র করা যেতে পারে। পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলে দুটি করে চারটি প্রদেশ ও বৃহত্তর ঢাকা নিয়ে আরেকটি প্রদেশ।’ ‘মেট্রোপলিটন ঢাকা কেন্দ্রশাসিত থাকবে। কেন্দ্রের হাতে প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, সীমান্ত ও সমুদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ ও বৈদেশিক সাহায্য-সহযোগিতার মতো বিষয়গুলো থাকবে। বাকি বিষয়গুলোতে কেন্দ্রের তত্ত্বাবধান থাকলেও প্রদেশগুলো ব্যবস্থাপনায় থাকবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণও হবে প্রাদেশিক সরকারের কাঠামোতে,’ বলেন এম সাখাওয়াত।

বাংলাদেশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থা প্রচলনের জন্য অনেক আগে থেকেই দাবি জানিয়ে আসছে রাজনৈতিক দল এবং চিন্তাবিদরা। এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা তার নিবন্ধে বলেন, ‘এটি শুধু সময়ের দাবিই নয়, আধুনিক রাষ্ট্র পরিচালনা ও সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির জন্য অত্যাবশ্যক। উপমহাদেশ ও সার্ক দেশগুলোকেও যদি আমরা বিবেচনায় নিই তাহলে দেখব, একমাত্র মালদ্বীপ ছাড়া অন্য সব দেশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ বিদ্যমান।’ গত ১২ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের করা বিভিন্ন সংস্কার কমিশন নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান বলেন, এক ব্যক্তির দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট শাসন ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের প্রস্তাব সময়োপযোগী। প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ বিচারকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য বিচার বিভাগের সংস্কার জরুরি। এদিকে, জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি আগামীতে জাতীয় সরকার ব্যবস্থায় দেশ পরিচালনা ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট সংবিধানে সংযুক্ত দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা বিভাগে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ আরও অনেকে।

পূর্বসূরীরা রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে একটা স্বাধীন দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘এই যুদ্ধ জয়ের মূল শক্তি ছিল- প্রশ্নহীন জাতীয় ঐক্য। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, স্বাধীনতার পর আমরা সেই ঐক্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারিনি। অত্যাবশ্যকীয় একটা জাতীয় সরকারের পরিবর্তে আওয়ামী লীগের দলীয় সরকার ক্ষমতায় আসায় দেশ বিভক্ত হয়ে পড়েছে প্রথম দিন থেকেই। ফলে একটা বিরাট অংশ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দেশ গঠন কোনো অবদান রাখতে পারেনি।’

স্বাধীনতার পরপর জাতীয় ঐক্যের শক্তিকে ব্যবহার না করে যে সুযোগ সেদিন হাতছাড়া হয়েছে, তা আগামীতে পুনরাবৃত্তি করতে চান বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি আগামীতে জাতীয় সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা দেখতে চায়।’ এদেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্র আর ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে যারা অংশ নিয়েছেন, তারা সবাই আগামীতে দেশ পরিচালনায়ও থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেন তারেক রহমান।

দেশের সংস্কার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার পরিকল্পনার কথা দেশবাসীকে জানানো প্রয়োজন মনে করছি। দেশে প্রথাগত রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন কিন্তু দেশ গঠন, উন্নয়ন ও পরিচালনায় অংশ নিতে চান- এমন অসংখ্য জ্ঞানী, গুণী শিক্ষক, শিল্পী-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, গবেষক, চিকিৎসক, কারিগরি বিশেষজ্ঞ, মানবতাকর্মী রয়েছেন। কিন্তু বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোতে তাদের পক্ষে সংসদে সদস্য হিসেবে অবদান রাখার সুযোগ নেই। তাদের সেবা আর অবদান দেশের কাজে লাগাতে বিএনপি পৃথিবীর অনেক দেশের মতো আমাদের দেশেও উচ্চ কক্ষসহ দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থা সংবিধানে সংযুক্ত দেখতে চায়।’

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট রাষ্ট্রসমূহ :

বিশ্বে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় চলে এমন দেশের মধ্যে রয়েছে (যথাক্রমে উচ্চ ও নিম্নকক্ষের আসন উল্লেখসহ) যুক্তরাজ্য নিম্নকক্ষ ৬৫০ ও উচ্চকক্ষ ৭৯৩, ইতালি ৬৩০ ও ৩২১, ফ্রান্স ৫৭৭ ও ৩৪৮, ভারত ৫৪৫ ও ২৪৫, জার্মানী ৭০৯ ও ৬৯, জাপান ৪৬৫ ও ২৪২, ইন্দোনেশিয়া ৫৬০ ও ১৩২, মরক্কো ৩৯৫ ও নিম্ন ২৭০, মিয়ানমার ৪৪০ ও ২২৪, ইথিওপিয়া ৫৪৭ ও ১০৮, থাইল্যান্ড ৫০০ ও ১৫০, মেক্সিকো ৫০০ ও ১২৮, রাশিয়া ৪৫০ ও ১৬৬, স্পেন ৩৫০ ও ২৫৭, আলজেরিয়া ৪৬২ ও ১৪৪, ব্রাজিল ৫১৩ ও ৮১, পোল্যান্ড ৪৬০ ও ১০০, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৪৩৫ ও ১০০, সুদান ৪৫০ ও ্ন ৫০, দক্ষিণ আফ্রিকা ৪০০ ও ৯০, নাইজেরিয়া ৩৬০ ও ১০৯, রোমানিয়া ৩২৯ ও ১৩৬, পাকিস্তান ৩৪২ ও ১০৪, কেনিয়া ৩৪৯ ও নিম্ন ৬৭, কানাডা ৩৩৮ ও ১০৫, ইয়েমেন ৩০১ ও ১১১, দক্ষিণ সুদান ৩৩২ ও ৫০, আইবরি কোস্ট ২৫৫ ও ৯৯, আফগানিস্তান ২৫০ ও ১০২, জিম্বাবুয়ে ২৭০ ও ৮০, নেপাল ২৭৫ ও ৫৯, আর্জেন্টিনা ২৫৭ ও ৭২, সোমালিয়া ২৭৫ ও ৫৪, মালয়েশিয়া ২২২ ও ৭০, চেক প্রজাতন্ত্র ২০০ ও ৮১, ক্যামেরুন ১৮০ ও ১০০, কলম্বিয়া ১৬৬ ও ১০২, উজবেকিতান ১৫০ ও ১০০, সুইজারল্যান্ড ২০০ ও ৪৬, অস্ট্রিয়া ১৮৩ ও ৬২, অস্ট্রেলিয়া ১৫০ ও ৭৬, আয়ারল্যান্ড ১৬৬ ও ৬০, নেদারল্যান্ড ১৫০ ও ৭৫, গ্যাবন ১২০ ও ১০২, বেলজিয়াম ১৫০ ও ৬০, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র ১৮৩ ও ৩২, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ১৩৯ ও ৭২, জর্দানে ১৫০টি উচ্চকক্ষ ও ৬০টি নিম্নকক্ষ আসন রয়েছে।

ভোরের আকাশ/ সু