যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির কেনেডি সেন্টারে মঞ্চস্থ হলো নাটক ‘হাছনজানের রাজা’।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী শৌখিন নাট্যকর্মীদের অভিনয় শনিবার হলভর্তি দর্শকরা দেখেন মুগ্ধ হয়ে। ভার্জিনিয়াভিত্তিক বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘একতারা’ নাটকটি মঞ্চায়ন করে।
এর আগে গত বছরের জুন ও অক্টোবরে ভার্জিনিয়া ও নিউ ইয়র্কে নাটকটির দুটি প্রদর্শনী হয়েছিল। শাকুর মজিদের লেখা এ নাটক নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ মওলা মিলন।
নাট্যকার শাকুর মজিদ বলেন, ওয়াশিংটন ডিসির মর্যাদাপূর্ণ কেনেডি সেন্টারে মূলত আমেরিকার মূলধারার অপেরা, সঙ্গীতানুষ্ঠান নিয়মিত হয়ে থাকে। সেখানে এই নাটকের মঞ্চায়ন অবশ্যই আনন্দের। নাটকের টিকেট মূল্য ছিল ৬০, ৭৫ ও ১১৫ ডলার। প্রদর্শনীর প্রায় ৫০০ টিকেটই মাসখানেক আগে বিক্রি হয়ে যায় বলে জানান শাকুর মজিদ। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের সংস্কৃতির ঐতিহ্য এবং আমেরিকানদের কাছে বাংলাদেশের লোকসাহিত্যকে পরিচয় করিয়ে দিতে এ নাটক মঞ্চে আনা হয়েছে বলে জানান নাটকটির প্রযোজনা সংশ্লিষ্টরা। কেনেডি সেন্টারে ‘হাছনজানের রাজা’ দেখেছেন ম্যারিল্যান্ডের বাসিন্দা ও আগামী ইন কর্পোরেশনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান পারভেজ। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি সেন্টারে এই নাটকের প্রদর্শনী বাংলা নাটকের পালকে নতুন মাত্রা যোগ করল। নাটকটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। হাছন রাজাকে নিয়ে এ নাটক আমেরিকার বুকে বাংলাদেশকেই তুলে ধরেছে। এ নাটকে যারা অভিনয় করেছেন, তারা ভীষণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তাদের অভিনয় মুগ্ধ করেছে। মিলনায়তন ছিল দর্শক পূর্ণ।’ ২০১১ সালে ‘একতারা’ মঞ্চে এনেছিল শাকুর মজিদের লেখা ‘মহাজনের নাও’। শাহ আবদুল করিমের জীবনীভিত্তিক নাটকটি প্রশংসিত হয়েছিল। এবার মঞ্চে আনলো হাছন রাজাকে নিয়ে নাটক ‘হাছনজানের রাজা’।
নাটক দেখে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন ম্যারিল্যান্ডের বাসিন্দা আশা আক্তার। তিনি বলেন, কেনেডি সেন্টারে বাংলা নাটকের মঞ্চায়ন ভীষণ গর্বের ব্যাপার। এত বড় মিলনায়তনে হাউজফুল শো হয়েছে। এর আগে কেনেডি সেন্টারে বাংলাদেশি কোনো নাটকের শো হয়েছে বলে আমার জানা নেই। ফলে এটি বাংলা নাট্যচর্চার জন্য নতুন এক ইতিহাসের সূচনা হল। নাট্যনির্দেশক ও একতারা’র দলনেতা শেখ মাওলা মিলন বলেন, আমরা এই নাটকের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাটককে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। এ নাটকের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সবাই শৌখিন নাট্যকর্মী; যারা ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া এবং ম্যারিল্যান্ডে বসবাস করছেন। ‘হাছনজানের রাজা’ নাটকটি এর আগে গীতিনাট্য হিসাবে ‘নৃত্যশৈলী সিলেট’ মঞ্চে এনেছে। এছাড়া ঢাকার নাট্যদল ‘প্রাঙ্গণেমোর’ও নাটকটি নিয়মিত মঞ্চায়ন করছে বলেও জানান তিনি।
ভোরের আকাশ/রন