logo
আপডেট : ১ অক্টোবর, ২০২৪ ১৯:২৩
সুনামগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় রহস্যের জট
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় রহস্যের জট

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় একটি আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘরে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী, চার সন্তানসহ ৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের আদর্শ গ্রাম শিমেরখাল আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, শিমেরখাল গ্রামের দিনমজুর এমারুল মিয়া(৫৫),স্ত্রী পলি আক্তার (৪৫), শিশু সন্তান পলাশ (৯),ফরহাদ (৭),ফাতেমা বেগম(৫),ওমর ফারুক (৩)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধর্মপাশা থানার ওসি এনামুল হক।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত ১২ টার পরে শিমেরখাল আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় ঘরে অবস্থান করছিলেন দিনমজুন এমারুল ও তাঁর স্ত্রী ও চার সন্তান। ঘরের ভেতর থেকে দরজা তালাবদ্ধ অবস্থায় আটকানো ছিলো। পাশের ঘরের লোকজন আগুনের ধোঁয়া দেখে ডাকচিৎকার করলেও ঘরের ভেতর থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ও স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ওই পরিবারের স্বামী-স্ত্রীসহ চার সন্তানকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এতে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘর তালাবদ্ধ থাকায় নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আত্মহত্যা হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। তবে নিশ্চিত করে ঘটনার কারণ বলতে পারছেন না নিহতের স্বজনরা।

নিহত পলি আক্তারের বাবা চেরাগ আলী বলেন, আমিও আমার পরিবার নিয়ে আশ্রায়ণ প্রকল্পের একটি বাড়িতে বসবাস করছি। গতকাল আমার মেয়ে আর মেয়ের জামাইকে দাওয়াত করছিলো। তখনও তাদের মধ্যে কোনো সমস্যা দেখিনি। রাতে যখন আগুন লাগে ঘরে এসে দেখি দরজা ভেতর থেকে তালা ঝুলানো। ঘরে ঘুমালে ভেতর থেকে তালা লাগাবে কেনো? কোনো কিছু বুঝতে পারছি না।

অপরদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নানা প্রশ্নের জন্ম দিলেও প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে আলামত সংগ্রহ করার কথা জানিয়ে সহকারি পুলিশ সুপার (ধর্মপাশা সার্কেল) আলী ফরিদ আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ঘরে মৃত দেহগুলো অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই। ঘরের দরজায় তালা ঝুলানো ছিলো। চাবি নিচে পড়ে ছিল। ঘরের বিভিন্ন আলামতসহ মরদেহের সুরতহাল শেষে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। সিআইডি ও সিবিআইয়ের ক্রাইম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে রহস্য উদঘাটনের কাজ করবে বলে জানান তিনি।