দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ আর কোটায় ৩২ বছর
- বিশ্বের ১৬২ দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর, কোনো কোনো দেশে এটি উন্মুক্ত প্রতিবেশী অন্তত ৮ দেশে এ বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৪৫ বছর, সুইডেন ও কানাডায় ৪৭ বছর, যুক্তরাষ্ট্র ৫৯ বছর
- বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার জন। প্রতিবছর ৪ থেকে ৫ লাখ শিক্ষার্থী পড়ালেখা শেষ হয় আর সরকারি চাকরি পান ৪ থেকে ৫ হাজার জন। আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে আরও ২ থেকে ৩ হাজার কর্মসংস্থান হয়। আর বছরে ৮ থেকে ৯ লাখ শিক্ষিত বেকার যুক্ত হয়।
- সরকারি চাকরিতে পদ ফাঁকা ৫ লাখ ৩ হাজার ৩৩৩টি
দেশে গত কয়েক বছরে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, সড়ক-মহাসড়কের পাশাপাশি গড়ে উঠেছে চোখ ধাঁধানো বড় বড় স্থাপনা। গড় আয়ু, মাথাপিছু আয়সহ সার্বিক সূচকের অগ্রগতি এসেছে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা যে হারে বেড়েছে সে হারে বাড়েনি কর্মসংস্থান। দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ বেকার। তারা দেশের জন্য সম্পদ না হয়ে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোটা আন্দোলন কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। তাদের প্রত্যাশা ছিল, শেখ হাসিনার সরকার গত ১৫ বছর তাদেও যে দাবি পূরণ হয়নি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই দাবি পূরণ করবেন। কিন্তু দাবি জানাতে গিয়ে তারা প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ঘেরাও করেন। এতে করে আগের মতোই টিয়ারশেল, জলকামান মারপিটের শিকার হয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। তবে সরকার তাৎক্ষণিক তাদের দাবি আমলে নিয়ে কমিটি গঠন করেছেন। ওই কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এরপরই তাদের বিষয়টি ফয়সালা হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্বের অনেক দেশেই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর থেকে ৪৭ বছরের বেশি রয়েছে। কোনো কোনো দেশে আবার এটি উন্মুক্ত। তাই বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমার প্রয়োজনীয়তার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। তাদের অভিমত, পড়াশোনায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাপানসহ উন্নত বিশ্বেও দেশগুলোকে অনুসরণ করা হলে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সেটি কেন করা হবে না? লাখ লাখ শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে বেকার রেখে দেশের উন্নয়ন কোনো কাজে আসবে না। বেকারত্ব দূর করার জন্য প্রথমে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রত্যাশীরা প্রথমে শাহবাগে এবং পরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন। সেখানে তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরিবেশ হয়ে ওঠে উত্থাল। তারা ওই দিন রাত ৮টা পর্যন্ত যমুনার সামনে অবস্থান। পরে আলোচনার আশ্বাসে যমুনা ত্যাগ করে শাহবাগে অবস্থান নেন। সরকারের পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দিলে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়। ওইদিন সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান জানান, সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি বিবেচনার জন্য একজন সাবেক সচিবকে প্রধান করে কমিটি গঠন করে দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার বিষয়ে আন্দোলন ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একটি কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে সাবেক সচিব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে, যিনি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান। কমিটির সদস্যসচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। এই কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে পরামর্শ দেবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে সর্বোচ্চ ৩০ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে সাধারণ কোটায় আবেদন করা যায়। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ অন্যান্য কোটার ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা ৩২ বছর। বিভিন্ন সময় চাকরি প্রার্থীদের এ বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করতে দেখা গেছে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ নামে একটি সংগঠন ২০১২ সাল থেকে আন্দোলন করছে। কিন্তু সরকার সব সময় তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির যৌক্তিকতা আছে: কমিটি আহ্বায়ক
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির দাবিতে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। গতকাল বুধবার তিনি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির যৌক্তিকতা আছে এবং এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন। সচিবালয়ে চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ বছর প্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এই কমিটির প্রধানত একটাই ফোকাস, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে অনেকদিন ধরে একটি আন্দোলন চলছে। বয়স বৃদ্ধির দাবিতে যারা আন্দোলন করছে তাদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। সরকারের বর্তমান নীতিমালা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে সবকিছু চিন্তা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
কী যৌক্তিকতা আছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কোভিড, সেশনজটে অনেকের সমস্যা হয়েছে। এখনকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো উচিত।
দেশে দেশে পরিস্থিতি যা বলছে
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানদণ্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ১৬২টি দেশে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর। কোনো কোনো দেশে এটি উন্মুক্ত। প্রতিবেশী অন্তত ৮ দেশে এ বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৪৫ বছর। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও তাইওয়ানে ৩৫ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে আবেদন করার নিয়ম রয়েছে। আফগানিস্তানে বয়সসীমা ৩৫ বছর। আর মালদ্বীপে সর্বোচ্চ ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত সরকারি চাকরির আবেদন করা যায়।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে রাজ্যভেদে ও চাকরির ধরন অনুযায়ী আবেদনের বয়সসীমা ৩২ থেকে ৪২ বছর পর্যন্ত। দেশটিতে প্রশাসনিক সরকারি চাকরিতে আবেদন করতে হলে ন্যূনতম ২১ থেকে ৩২ বছর বয়স হতে হয়। তবে কোটায় ৪২ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন কর যায়। অনগ্রসর শ্রেণির জনগণ ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করতে পারেন। আর দলিতরা ৩৭ বছর পর্যন্ত আবেদন করতে পারেন।
নেপালে গেজেটেড ও নন গেজেটেড পদে আবেদন করার ক্ষেত্রে পুরুষের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। তবে নারী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ৪০ বছর পর্যন্ত আবেদন করতে পারেন। গেজেটেড পদ শাখা কর্মকর্তা, উপ-সচিব এবং যুগ্ম সচিব বা এ ধরনের পদে ন্যূনতম ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩৫ বছর পর্যন্ত আবেদন করা যায়। এ পদে মহিলা ও প্রতিবন্ধীরা ৪০ বছর পর্যন্ত আবেদন করতে পারেন।
এভাবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা শ্রীলঙ্কায় ৩৫ থেকে ৪৫ বছর, তাইওয়ানে ৩৫ বছর, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৫ বছর, কাতারে ৩৫ বছর, সুইডেনে ৪৭ বছর, ফ্রান্সে ৪০ বছর, ইতালীতে ৩৫ বছর, যুক্তরাষ্ট্র ৫৯ বছর এবং কানাডায় ৪৭ বছর।
দেশের পরিস্থিতি
পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রতিবছর ৪ থেকে ৫ লাখ শিক্ষার্থী পড়ালেখা শেষ করে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতায় নামে। যেখানে প্রতিবছর সরকারি চাকরিতে কর্মসংস্থান হয় ৪ থেকে ৫ হাজার প্রার্থীর। এছাড়া সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে আরও ২ থেকে ৩ হাজার কর্মসংস্থান হয়। এ ধরনের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। এরপর আর সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করার সুযোগ থাকে না। অবশ্য মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, উপজাতি কোটা থেকে যারা সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করে, তাদের জন্য বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৩২ বছর। সেবিকার চাকরির ক্ষেত্রে তা ৩৬ বছর এবং বিভাগীয় প্রার্থীর কোটায় ৩৫ বছর। সরকারে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদের বিপরীতে ৫ লাখ ৩ হাজার ৩৩৩টি শূন্য রয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গত ৭ মে শ্রমশক্তির যে জরিপ প্রকাশ করেছে, সে অনুসারে গত মার্চ মাস পর্যন্ত দেশে বেকার ছিল ২৫ লাখ ৯০ হাজার জন। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়েছে। এতে ৩ হাজার ১৪০টি আসনের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৩৮ হাজার।
সরকারি দপ্তরের শূন্য পদের সংখ্যা জানা গেলেও বেসরকারি খাতের চাকরির বাজার ঠিক কত বড়, তাতে ঠিক কতজন চাকরি করছে, কত পদ ফাঁকা আছেÑ তার সঠিক কোনো হিসাবে পাওয়া যায় না। সব মিলে বছরে নতুন শিক্ষিত বেকার যোগ হয় ৮ থেকে ৯ লাখ।
বয়সসীমা বাড়ানো যৌক্তিক, মত বিশেষজ্ঞদের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান মনে করেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো খুবই যৌক্তিক। অন্তত দুই থেকে তিন বছর হলেও বাড়ানো উচিত। তিনি বলেন, ‘১৯৯১ সালে চাকরির বয়সসীমা ৩০ বছর করা হয়। এরপর কিন্তু অবসরের বয়স বেড়েছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। তাহলে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়বে না কেন? এটা নিয়ে আমি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, অনেক লেখালেখিও করেছি। আমি মনে করি, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বয়স বাড়ানো উচিত।’
বয়সসীমা বাড়ানো হলে কর্মক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমার মনে হয় না তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে হ্যাঁ, শুধু বয়স বাড়ালে হবে না। সঙ্গে গ্র্যাজুয়েটদের দক্ষতা, সফট স্কিলস, ল্যাঙ্গুয়েজ স্কিল বাড়াতে হবে। অদক্ষ, মাথাভারী করা কর্মী দিয়ে তো কোনো কাজই হবে না। সরকারের লক্ষ্য যেহেতু কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকার কমানো, সেক্ষেত্রে জনশক্তি উদ্ভাবনমুখীও করতে উদ্যোগ নিতে হবে।’
অর্থনীতি ও উন্নয়নবিদ হিসেবে সুপরিচিত হলেও শিক্ষা ও কর্মসংস্থান নিয়েও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। তিনিও বয়সসীমা কিছুটা বাড়ানোর পক্ষে। তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরির চাহিদা ব্যাপক। সেই অর্থে সুযোগ কম। চাকরি পাওয়া যায় না। অনেক শিক্ষিত বেকার রয়েছেন। তাদের বয়স বাড়ছে, কাজ তো পাচ্ছেন না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি মনে করি বয়স বাড়ালে বাড়ানো যায়।’
সেশনজট, চাকরির নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতার কারণে বয়স বাড়ানো যৌক্তিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখানে অশিক্ষিত তো কাউকে বলা যাবে না। বেকার তো প্রায় সবই শিক্ষিত গোষ্ঠীর মধ্যে। পড়ালেখা ঠিকমতো শেষ করতেই অনেক ক্ষেত্রে বয়স পার হয়ে যায়। মাস্টার্স পাস করতে করতেই ২৩ থেকে ২৪ বছর হয়ে যায়। ৫ থেকে ৬ বছর এখানে-ওখানে দরখাস্ত করতে থাকে। কিন্তু চাকরি মেলে না। আমি তো দেখেছি, ব্যাংকে ৩০০ জন নিয়োগ দেবে, অথচ আবেদন করেন কয়েক লাখ প্রার্থী। সে জন্য বয়সটা আরেকটু বাড়িয়ে দিলে তরুণ-যুবকদের জন্য ভালো হতো বলে মনে করেন কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনরতদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন ঢাকাই সিনেমার নন্দিত নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর দ্রুত দাবি মেনে নেওয়ার জন্য তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন দেশ গড়ার পরও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ৩৫ দাবিতে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে এমনটা আশা করিনি। প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা ৩৫ করার দাবি মেনে নিন। আমি মনে করি এখানে বয়স মূল বিষয় না, একজন ছাত্র তার মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে তার চাকরি অর্জন করবে। তারা তো চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছে না, তারা কারো কাছে কোনো সহানুভূতি চায় না। তারা চায় শুধুমাত্র তাদের অধিকার।’
ভোরের আকাশ/রন