শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে মহারশি নদীর বাঁধের চারটি স্থান ভেঙে কমপক্ষে ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ভোর থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৪টি স্থান ভেঙে লোকালয়ে পানি আসা শুরু হলে পানি বন্দী হয়ে পড়ে হাজার হাজার মানুষ।
স্থানীয়রা জানায়, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে গতকাল থেকেই মহারশি নদীতে পানি বাড়ছিলো। গভীর রাত থেকেই বেশ কয়েকটি স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। এরপর পানি ঢুকে প্রবেশ করে ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায়। এতে ঝিনাইগাতি সদর, ধানশাইল, মালিঝিকান্দা ও হাতীবান্ধা ইউনিয়নের অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এছাড়া উপজেলা পরিষদ কার্যালয়, কৃষি অফিসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ও বাড়িঘরেও ঢুকে পড়েছে পানি। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করাই ভোগান্তি পড়েছে হাজারো মানুষ। এছাড়া ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ। পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বিস্তীর্ণ ৪ হাজার ২শ হেক্টর আমনের জমি।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার ভোরের আকাশকে জানান, এ পর্যন্ত ৪ হাজার ২শ হেক্টর জমির আমন আবাদ ঢলের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া ১হাজার হেক্টর সবজি আবাদ পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল ভোরের আকাশকে বলেন, আমরা পানবন্দী এলাকা পরিদর্শন করছি। যারা নদীর তীরবর্তী এলাকায় আটকে পড়েছে তাদের উদ্ধার করা হচ্ছে। এছাড়া শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পানি কমে গেলে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা হবে।
ভোরের আকাশ/মি