প্রায় তিনমাসের অধিক সময় পর সচল হতে চলছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ধাপে ধাপে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে উপাচার্যসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদগুলোতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে পাঠ কার্যক্রমও। প্রাণচাঞ্চল্য ফিরছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। আশা জাগানিয়া একটি চিত্র। জুলাই-অগাস্ট অভ্যুত্থানের প্রাণকেন্দ্রে ছিল শিক্ষার্থীরা। রাজপথে মিছিলে-স্লোগানে সক্রিয় ছিল, বুলেটের সামনে দ্ব্যর্থহীনভাবে বুক পেতে দিয়েছিল, পুরো জাতিকে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্নে তুমুল আন্দোলিত করেছিল যে শিক্ষার্থীরা তারা আবার তাদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ফিরছে স্বরূপে। শিক্ষার্থীরা ফিরে আসছে গবেষণাগারে। তারা ফিরছে সহজাত আড্ডায়-বন্ধুত্বে। আসলে এটাই তো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বাভাবিক চিত্র।
বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি স্থান যেখানে এসে পৃথিবীর সকল আলো মিলিত হয়। একটি দেশের সবচেয়ে প্রতিভাবান, জ্ঞানে-গৌরবে সমীহ যাদের করা হয় তাদের স্থান হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই কদিন আগেও আমরা দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে একটি জাতিকে নতুন পথের দিশা বাতলে দিতে পারে। বস্তুতপক্ষে, একটি দেশ কিংবা জাতি যখন গভীর সংকটে নিমজ্জিত হয়, সেদেশের বিশ্ববিদ্যালয় তখন এগিয়ে আসে মুক্তির বার্তা নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় মানে শুধুই কিছু অবকাঠামো নয়, বিশ্ববিদ্যালয় একটি জাতির মননশীলতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের সবচেয়ে পবিত্র স্থান।
তবে দেশের ওই গৌরবদৃপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বাভাবিক হতে না হতেই তৈরি হচ্ছে অযুত শঙ্কাও। শঙ্কাগুলো নানা রঙা। কিছুটা পাঠকেন্দ্রিক, কিছুটা পাঠের বাইরে। এত বড় একটি অভ্যুত্থান, এত মৃত্যু, ভয়াবহতা, বিভীষিকার স্মৃতি ভুলে শিক্ষার্থীরা কীভাবে পাঠে মনোনিবেশ করবে— তা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তদুপরি, আন্দোলনের পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সহপাঠী-সহপাঠী, সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্কগুলো নিয়ে গভীরভাবে ভাববার বিষয় আছে। আছে সেশনজটের সমূহ সম্ভাবনাও। যেহেতু আগেই বলেছি একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে গণমানুষের প্রত্যাশা থাকে আকাশসম, ফলে হতাশাও জন্ম নেয় যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায়। ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটো হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শুরু হয়েছে হলে সিট নিয়ে নানা বিরোধ। র্যাগিংও ফিরেছে কোথাও কোথাও।
জুলাই-অগাস্টের রক্তাক্ত দিনগুলোর স্মৃতি মুছতে না মুছতেই এমন ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেবে— এটাই স্বাভাবিক। এসব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি মনুষত্ব্যের শিক্ষা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নীতি, মানবিকতা ও উদারতার শিক্ষা নিয়ে কথা উঠেছে। অন্যদিকে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক কর্তৃক শপথ পাঠের ঘটনাটিও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ শুভবুদ্ধির সকল মানুষ, আগামী দিনগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের আধিপত্য নিয়েও আছে শঙ্কায়। আবার কদিন আগেই বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ঘটা করে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রচারণা বাসি হতে না হতেই আত্মগোপনে থাকা ছাত্রনেতাদের প্রকাশ্য হওয়ার খবরে তৈরি হচ্ছে নতুন শঙ্কা।
কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানার ছাড়াই ‘ছাত্র-জনতার’ ব্যানারে পুরো আন্দোলন পরিচালিত হওয়ার পর খোদ আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সমন্বয়করা রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রবণতায় এক নীরব হতাশার জন্ম দিচ্ছে আপামর ছাত্র-জনতার মধ্যে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়কদের মধ্যে বিভাজন এবং আধিপত্য বিস্তারের ঘটনা মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। আবার ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য নিয়োগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আধিপত্য এবং নিয়োগপ্রাপ্ত অনেকেরই রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে রহস্য শঙ্কার আগুনে ঘি ঢালছে। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল, দীর্ঘদিন ধরে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চালু রয়েছে, তার পরিবর্তন ঘটবে। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো ওই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না। পাশাপাশি মানুষের ভেতর ওই শঙ্কাও তৈরি হচ্ছে যে, ক্রমেই রাজনৈতিক লড়াইয়ের মূল চাবিকাঠিতে পরিণত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জিজ্ঞাসা ছড়িয়ে পড়ছে, আমরা তবে কোথায় যাচ্ছি? আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি তবে পুরনো রূপেই ফিরছে শুধু খোলস পালটে? এত ছাত্র-জনতার আত্মদান কি তবে কিছুই শেখাল না আমাদের? কেন সমাজের মানুষের মধ্যে ‘যা খুশি তাই’ করে ফেলার এক অদ্ভুত মানসিকতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে?
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা যে দিন দিনই পিছিয়ে পড়ছে সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মনে রাখতে হবে, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। এটা ভেঙ্গে পড়লে সেই জাতির আর রক্ষা নেই। বিগত সরকারগুলোর আমলে শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন নতুন কারিকুলাম চালু করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছেন বলে অবস্থাদৃষ্টে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। চলমান শিক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ খুবই চিন্তিত। তারা সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে শুধু হতাশাগ্রস্ত বললে কম বলা হবে। তারা উদ্বিগ্ন ও উৎকন্ঠিত অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। তাই শিক্ষা ব্যবস্থার উপর জোরালো পদক্ষেপ নেয়া খুবই জরুরি বলে আমরা মনে করি। আমরা জানি, যে জাতি যত শিক্ষিত সেই জাতি তত উন্নত। বিশ্বের দিকে তাকালে সেই নজিরই আমরা দেখতে পাই। অথচ আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে ধবংসের পথে ঠেলে দিয়েছে সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কাজেই প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন করে সাজাতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্ব মানের করতে হবে। এটা করা সম্ভব হলে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের বিদেশ বিভূইয়ে চড়া মূল্য দিয়ে লেখাপড়া করতে যাওয়ার প্ররণতা কমে আসবে। সাশ্রয় হবে আমাদের অনেক টাকা। এটা করা সম্ভব হলে বিশ্বমানের শিক্ষা দেশেই পাবে শিক্ষার্থীরা। একই সাথে টেকনিকেল শিক্ষা ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন ১৫ হাজার ২৩৬। তাদের মধ্যে অধ্যাপক রয়েছে ৪ হাজার ৬৬১ জন। তাদের পরামর্শ নিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের তরুণ সমাজ সেটা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
দেশে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে আমাদের দেশে দীর্ঘ দিনের মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা থেকে জাতি আজ অনেক দূরে সরে গেছে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সর্বক্ষেত্রে সীমাহীন নৈরাজ্য চলছে। দীর্ঘদিনেও তা বন্ধে নেয়া হয়নি জোরালো কোনো পদক্ষেপ। ফলে এসব সমস্যা দিন দিনই প্রকট হয়ে উঠেছে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে হলে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প আছে বলে আমরা মনে করি না। এসব সমস্যার মূলোৎপাটনে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ সমাসন্ন। আর সেটা তরুণ ও মেধাবীরাই করতে পারবে সেই বিশ্বাসও আমাদের রয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে। এদেশের ছাত্র ও মেধাবী তরুণদেরকেই সেই দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে। তবেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দুর্নীতি, দু:শাসন, নিপীড়ন, নির্যাতন ও বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
আবার একটি ব্যাপার নিয়ে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সবার মনেই প্রশ্ন, সম্প্রতি দেশের নানা ক্ষেত্র সংস্কারের জন্য কমিশন গঠন করা হলেও শিক্ষা সংস্কার নিয়ে কোনো কমিশন গঠিত হয়নি। আমাদের শিক্ষার নানা স্তরে দীর্ঘদিন যাবত নানা সমস্যা ঘাপটি মেরে থাকলেও এর সংস্কারে বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের কোন উদ্যোগ এখনো দেখা না যাওয়ায় কিছুটা হতাশা বিরাজ করছে শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের মনে। অথচ শিক্ষাই হওয়া উচিত ছিল প্রথম। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা— সবখানেই গলদ। সেদিক বিবেচনায় একটি শক্তিশালী শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনপূর্বক যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে, উচ্চশিক্ষার পীঠস্থান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞান, নীতি ও মূল্যবোধের জায়গায় নিয়ে না আসতে পারলে আমাদের স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে যাবে।
এটা অনেকদিন ধরেই বলা হচ্ছে যে, আমাদের উচ্চশিক্ষায় স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে প্রশাসন, শিক্ষক, শিক্ষার্থীর একটি অভিন্ন স্বপ্নের যুথবদ্ধতা দরকার সবার আগে। সুস্থ রাজনীতির বিকাশে ছাত্রসংসদকে উজ্জীবিত করা এখন সময়ের দাবি। ভাবনার বৈচিত্র্যময় প্রকাশ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য অনেকটাই ম্লান হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের নীতিনির্ধারকদের এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি তথা গবেষণার সুযোগকে অবারিত করে দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম একটি দায়িত্ব। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাম্প্রতিককালে ওই দায়িত্ববোধ থেকে অনেকটাই সরে গেছে। এ অবস্থার উন্নতি জরুরি।
এই শঙ্কাগুলো থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে খুব শীঘ্রই। বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষাঙ্গনকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী তথা সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে আস্থা, বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাবোধের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ভয়, শঙ্কা কিংবা হীনমন্যতা দিয়ে জ্ঞান চর্চা হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুধু ডিগ্রি প্রদান নয়, একজন সর্বাঙ্গীন অর্থে মানুষ হিসেবে তৈরি করা। সেজন্য শিক্ষাক্ষেত্রে সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে। কারিকুলাম, মূল্যায়ন পদ্ধতি, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয়গুলো শিক্ষার সকল স্তরে গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া শিক্ষকদের জন্য পৃথক একটি বেতন কাঠামো তৈরিও এখন সময়ের দাবি। শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি না করলে শুধু ফাঁপা বুলি আউড়িয়ে কোনো লাভ হবে না।
সবমিলিয়ে আমরা চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরাই নেতৃত্ব দিক সমাজে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এগিয়ে আসুক একটি শিক্ষাদর্শন নির্মাণে। শিক্ষার্থীদের ভেতরকে জাগিয়ে দেওয়াই হোক শিক্ষকদের কাজ। এই শিক্ষার্থীরাই তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসুক। মেধা-মননে, শ্রদ্ধা-মূল্যবোধে উদ্দীপ্ত হয়ে তারা দেশ গড়ায় আত্মনিয়োগ করবে— এটাই প্রত্যাশা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয়ে উদ্ভাসিত হবে, এমনটাই প্রত্যাশা করি। শিক্ষার্থীরা নীতি ও নন্দনে উৎকর্ষ সাধন করে ‘মানুষ’ হওয়ার আলো ছড়াবে সবখানে, এই আশাও পোষণ করি। সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আশা দেবে, স্বপ্ন দেবে, শঙ্কা নয়, ভয় নয়, লজ্জা নয়।
ভোরের আকাশ/রন