logo
আপডেট : ৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:১৭
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে
ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পণ্য ও সেবার দামস্তরের ক্রমাগত বৃদ্ধিই মূল্যস্ফীতি। মূল্যস্ফীতি হলে টাকার মান কিংবা ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়। এর অর্থ, আজ ১০০ টাকা দিয়ে যে পরিমাণ পণ্য বা সেবা ক্রয় করা সম্ভব, মূল্যস্ফীতি ঘটলে ১০০ টাকা দিয়ে পূর্বের তুলনায় কম পরিমাণ পণ্য বা সেবা ক্রয় করা যাবে। অর্থাৎ পূর্বের ন্যায় সমপরিমাণ পণ্য বা সেবা ক্রয় করতে হলে ১০০ টাকার বেশি ব্যয় করতে হবে। অর্থনীতিতে দামের ভারসাম্য বজায় রাখতে একটি দেশের বাজারে পণ্যের সরবরাহ ও মুদ্রার পরিমাণের মধ্যে ভারসাম্য থাকতে হয়। যদি পণ্যের তুলনায় মুদ্রার সরবরাহ বেড়ে যায়, তখনই মূল্যস্ফীতি ঘটে। ধরা যাক, এক কেজি আপেলের বাজারমূল্য গত বছর ছিল ১০০ টাকা। এ বছর এক কেজি আপেলের দাম বেড়ে দাঁড়াল ১২০ টাকায়। তাহলে বলা হবে, আপেলের দামের মূল্যস্ফীতি ঘটেছে ২০ শতাংশ।

নিয়ন্ত্রিত বা মাঝারি মূল্যস্ফীতি অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর নয় বরং উপকারী। কিন্তু মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও সীমিত আয়ের মানুষ। মূল্যস্ফীতি যদি একটি দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির চেয়ে কম থাকে তাহলে সেটার তেমন নেতিবাচক প্রভাব থাকে না। সাধারণত ২ থেকে ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি থাকলে সেটাকে সহনীয় বলা যায়। তবে হাতে গোনা কয়েকটি পণ্য ও সেবার মূল্য বাড়লেই সেটাকে মূল্যস্ফীতি বলা যাবে না। যদি সামগ্রিকভাবে পণ্য ও সেবার মূল্য বাড়ে তাহলেই বুঝতে হবে মূল্যস্ফীতির কারণে এমন হয়েছে।

অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির দুটি উৎস রয়েছে:

১. চাহিদা প্রণোদিত (আকর্ষিত) মূল্যস্ফীতি (Demand-Pull Inflation): একটি অর্থনীতিতে পণ্যের তুলনায় মুদ্রার পরিমাণ বেড়ে গেলে পণ্যের দামের একটি ঊর্ধ্বমুখী চাপ লক্ষ করা যায়, যার ফলে মূল্যস্ফীতি ঘটে।

ধরনের মূল্যস্ফীতি নিম্নবর্ণিত কারণে হতে পারে: ভোক্তা কর্তৃক অতিরিক্ত ব্যয়: একটি দেশের সাধারণ মানুষ বা ভোক্তাদের হাতে মুদ্রার বা অর্থের পরিমাণ বেশি হলে স্বাভাবিকভাবে খরচের প্রবণতাও বেড়ে যায়। অতিরিক্ত খরচের ফলে পণ্যের দামও বাড়তে থাকে। ধরা যাক, একটি অর্থনীতিতে দুজন ভোক্তা রয়েছেন যারা প্রত্যেকে ১০ কেজি করে মোট ২০ কেজি চালের জন্য মোট ১ হাজার টাকা খরচ করেন। ধরা যাক, হঠাৎ করে দুজনেরই বেতন বৃদ্ধি পেল, ফলে দুজনই এখন ১০ কেজির বেশি, ধরা যাক ১২ কেজি করে চাল কিনে রাখতে চান;৷ চালের মোট চাহিদা দাঁড়াল ১২+১২=২৪ কেজি, কিন্তু অর্থনীতিতে চালের মোট সরবরাহ ২০ কেজি। এ অবস্থায় দুজন ভোক্তাই চাইবেন বিক্রেতাকে বেশি দাম অফার করে, যতটা বেশি সম্ভব চাল কিনে নিতে। ফলে ওই অর্থনীতিতে চালের দাম বাড়বে।

বর্ধিত ব্যবসায়িক বিনিয়োগ: ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ইনভেন্টরি, ব্যবসার কাঁচামাল ও সরঞ্জামাদি ক্রয়ে অতিরিক্ত বিনিয়োগ শুরু করলে তা পণ্য ও সম্পদের চাহিদার ওপর ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করে, যার ফলে মূল্যস্ফীতি ঘটতে পারে।

২. ব্যয়জনিত মূল্যস্ফীতি (Cost-Push Inflation): একটি দেশের অর্থনীতিতে সামগ্রিকভাবে পণ্য ও সেবার উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেলে পণ্যের দাম বাড়ে। এ অবস্থায় ব্যয়জনিত মূল্যস্ফীতি দেখা যায়। ব্যয়জনিত মূল্যস্ফীতি নিম্নবর্ণিত কারণে ঘটতে পারে—

কাঁচামালের খরচ (Input Price): পণ্য ও সেবায় ব্যবহৃত কাঁচামালের দাম বেড়ে গেলে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায়। সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা লাভের পরিমাণ ঠিক রাখতে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। সাম্প্রতিক সময়ে তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে মূল্যস্ফীতি হওয়ার ঘটনা এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। জ্বালানি তেল, বিশেষত ডিজেল, কৃষি থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের শিল্পের অন্যতম প্রধান কাঁচামাল। ফলে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনীতির প্রায় সব খাতেই উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া পণ্য পরিবহন খরচের একটি বড় অংশও জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরশীল।

ওপরে বর্ণিত কারণ ছাড়াও সরকারের মুদ্রানীতি (Monetary Policy), সুদের হার (Interest Rate), প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদির ফলে মূল্যস্ফীতি দেখা দেয়।

মূল্যস্ফীতির বর্তমান চিত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আগস্টে এটি কমে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ হয়েছিল। কিন্তু দুই সংখ্যার মূল্যস্ফীতি অর্থনীতির জন্য সুখকর নয়। যৌক্তিক মূল্যস্ফীতি (৫-৬ শতাংশ) অর্থনীতির গতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) কর্তৃক প্রদত্ত ঋণের জন্য বেঁধে দেয়া শর্তের একটি হচ্ছে মূল্যস্ফীতি কমানো। তার অংশ হিসেবে বিগত সরকার চলতি অর্থবছরের শেষে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি কমাতে কঠোর মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে বাজারে টাকার সরবরাহ কমাতে নীতি সুদহার বাড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ধার করতে আরো বেশি সুদ দিতে হবে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে। বিগত সরকারের নানা উদ্যোগেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যদিও বাজারে এখানো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রয়েছে।

দ্বৈত সংকট: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকার দ্বৈত সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি কার্যকর একটি নীতি। কিন্তু অধিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ব্যাংকগুলোয় চলমান তারল্য সংকটকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। উপরন্তু চলমান তারল্য সংকট মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে অন্যান্য ব্যাংককে ঋণ দিতে বাধ্য হয়, যে ঋণ প্রদান করা হয় নতুন টাকা ছাপানোর মাধ্যমে। ফলে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করলেও বাস্তব প্রেক্ষাপটে তার বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। ডলারের সাপেক্ষে টাকার মানের অবনমন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসার আরেকটি প্রধান কারণ। ক্রমাগত অবনমনের ফলে আমদানি ব্যয় ও জ্বালানি তেলের দামও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ থেকে শুরু করে সাধারণ পণ্য সবকিছুর দামই চলে যাচ্ছে নাগালের বাইরে।

একটি অর্থনীতিতে বাজারশক্তি, অর্থাৎ চাহিদা ও জোগানের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে পণ্যের দাম নির্ধারণ হওয়ার কথা। কিন্তু দালাল ও সিন্ডিকেটদের দৌরাত্ম্য বেশি হলে এসব মার্কেট ফোর্স তখন আর কাজ করে না। ফলে দেখা যায়, চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্য ঠিক থাকলেও পণ্যের দাম ও উৎপাদন খরচের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য বিরাজ করে।

করণীয়: গত সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। কিন্তু খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশেরও বেশি। খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তা জনজীবনকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই সরকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা। বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড বলা হয়ে থাকে কৃষি খাতকে। কৃষি খাতের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো গেলে বাজারে পণ্যের জোগান ও চাহিদার মাঝে ভারসাম্য বজায় থাকবে। তাই কৃষি খাতে পর্যাপ্ত প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে এ খাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি সিন্ডিকেট ও দালালদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। না হলে উৎপাদক ও ভোক্তার দামের মাঝের যে বিস্তর ফারাক সেটিকে কমিয়ে আনা যাবে না। সিন্ডিকেট যে শুধু পণ্যের দামের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে শুধু তা নয়, রুটভিত্তিক সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি ইত্যাদির কারণেও পণ্য পরিবহনের খরচও অনেকটা বেড়ে যায়। পণ্য ও সেবার দাম তখন চলে যাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বিগত সরকারের আমলে গুটিকয়েক ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর হাতে বাজারের নিয়ন্ত্রণ ছিল। তারাই আমদানিকে নিয়ন্ত্রণ করে বাজারের সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটিয়েছে। এর খেসারত দিতে হয়েছে দেশের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষকে। আর বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিগত সরকারের ক্ষমতা ঘনিষ্ঠরাই জড়িত ছিল। ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট মেটানোর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন টাকা ছেপেছিল, যা মূল্যস্ফীতিকে উসকে দেয়। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর অন্তর্র্বতী সরকার দেশের দায়িত্ব নিয়েছে। বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ব্যাংক ও আর্থিক খাত সংস্কারে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। যদিও কিছুদিন আগে অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, মূল্যস্ফীতি কমতে একটু সময় লাগবে। কিন্তু সরকারের নানা উদ্যোগেও বাজারে নিত্যপণ্যের দাম এখনো কমেনি। সরকার পরিবর্তন হলেও বাজারে এখনো সিন্ডিকেটের সক্রিয়তা লক্ষ করা যাচ্ছে। ফলে মাছ, মাংস, চিনি, ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম এখনো ঊর্ধ্বমুখী। তাছাড়া বন্যার প্রভাবে সরবরাহ ব্যবস্থাও কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারের তৎপরতা বাড়ানো প্রয়োজন। তা না হলে এ সংকট থেকে বের হওয়া সরকারের জন্য বেশ কঠিন হবে। উপরন্তু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য উৎপাদক পর্যায়ের দাম ও ভোক্তা পর্যায়ের দামের মাঝে বিস্তর পার্থক্য তৈরি করে দিচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক বাজার শক্তি যেমন চাহিদা ও জোগানের মতো শক্তিগুলো অকেজো হয়ে পড়ছে। কাজেই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সিন্ডিকেট দমন করতে হবে সরকারকে।

বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমদানি ব্যয় কমিয়ে রফতানি আয় বাড়ানো গেলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে রফতানিমুখী শিল্প, যেমন তৈরি পোশাক শিল্প, চিংড়ি, চা পাতা, চামড়া ইত্যাদিকে পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা ও প্রণোদনা প্রদান করতে হবে, যাতে রফতানি আয় বৃদ্ধি পায়। বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে ঢেলে সাজাতে হবে। আমদানি ব্যয় কমানোর জন্য পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি ও উচ্চ হারের সুদযুক্ত ঋণ পরিহার ইত্যাদি নীতির দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।

মূল্যস্ফীতি কমানোর অন্যতম হাতিয়ার সুদের হার বাড়িয়ে দেয়া। সুদের হারের পাশাপাশি রেপো ও রিভার্স রেপো রেট বাড়ানোর মাধ্যমে একটি অর্থনীতিতে বিদ্যমান মুদ্রার পরিমাণ কমানো যায়। যেমনটা আগে বলা হয়েছে, এ ধরনের নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার দ্বৈত সমস্যার সম্মুখীন হয়। সুদের হার বাড়িয়ে দিলে ব্যাংকগুলোর বিদ্যমান তারল্য সংকট আরো বেড়ে যাবে। সরকারের উচিত হবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনাপূর্বক একটি সর্বজনীন সুদের হার তৈরি করা। ব্যাংকগুলোকে তা মানার নির্দেশনা প্রদান করা। পাশাপাশি তারল্য সংকট দূর করতে অপরিকল্পিত টাকা ছাপানো বন্ধ করতে হবে।

পরিশেষে বলা যায়, মূল্যস্ফীতির প্রশ্নে বাংলাদেশ খুব জটিল জায়গায় অবস্থান করলেও ব্যাপক সংস্কার, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বর্তমান অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। পাশাপাশি সম্ভাবনাময় রফতানিমুখী শিল্পগুলোকে প্রণোদনা দেয়ার মাধ্যমে নতুন নতুন রফতানি খাত তৈরিতে মনোযোগী হতে হবে। রফতানির পরিমাণ বাড়ানো গেলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভজনিত কারণে সৃষ্ট সংকট অনেকটাই কমানো সম্ভব।

লেখক : অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

 

ভোরের আকাশ/রন