logo
আপডেট : ৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১৭:১২
ড্রেজারের পানির তোড়ে ভেঙে গেছে সড়ক যান চলাচল বন্ধ
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

ড্রেজারের পানির তোড়ে ভেঙে গেছে সড়ক
যান চলাচল বন্ধ

বালুবাহী ড্রেজারে কৃত্রিম পানি নিষ্কাসনে গ্রামীণ সড়কের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে

গজারিয়া উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাঁশগাঁও এলাকায় বালু ভরাট করতে গিয়ে বালুবাহী ড্রেজারে কৃত্রিম পানি নিষ্কাসন করার সময় সৃষ্ট স্রোতে একটি গ্রামীণ সড়কের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে। সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এতে দুর্ভোগে পড়েছে ওই সড়কটি ব্যবহারকারী একাধিক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নে বাঁশগাও-নয়ানগর সংযোগ সড়কের বাঁশগাও কবরস্থান সংলগ্ন স্থানে ড্রেজার দিয়ে জমিতে বালু ভরাটের কারণে পানির চাপে ওই স্থানের সড়কটির আনুমানিক ৩০ ফুট অংশ ভেঙে পড়েছে।

ফলে ওই পথে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পাঁচটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

স্থানীয় কয়েকজন ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ভুলু মুন্সী এই বালু ভরাটের সঙ্গে জড়িত। রাস্তা ঘেঁষা খালি জমিতে বালু ভরাটের পরে রাস্তার উপর দিয়ে পানি নিস্কাশন হওয়ায় পানির স্রোতে রাস্তাটি গত শনিবার ভেঙে গেছে। এতে যানবাহন ও আমাদের ভাঙা স্থানের কাদা-পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাটি মেরামত করার দাবি জানান তারা।

ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তায় সংস্কার কাজ মেরামত করতে দেখা গেল দুজন শ্রমিক। এদের একজন শ্রমিক মো. হোসেন বলেন, ভুলু ভাই আমাদের রাস্তাটি মেরামত করতে বলেছেন। তিনি যাবতীয় সব মালামাল কিনে দিয়েছেন। আমরা শুধুমাত্র তার হুকুম বাস্তবায়ন করছি। এ ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে পারব না।

অভিযোগের ব্যাপারে ভুলু মুন্সী বলেন, ড্রেজার ব্যবসার সঙ্গে আমি জড়িত না। তাহলে ভেঙে যাওয়া সড়ক আপনি কেন সংস্কার করছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে ভুলু মুন্সী বলেন, ওই রাস্তা দিয়ে আমার কিছু পাথর যাবে। রাস্তা ভেঙে পড়েছে, পাথর নিতে পারছি না। তাই নিজের স্বার্থে কোস্টগার্ডের সঙ্গে মিলে রাস্তাটি সংস্কার করছি।

বিষয়টি সম্পর্কে এলজিইডির গজারিয়া উপজেলা প্রকৌশলী সামিউল আরেফিন বলেন, সড়ক ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছি। এরপর ওই সড়কটি সংস্কার করার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বলা হয়েছে। তবে সড়কটি বালু ভরাটের পানির কারণে ভেঙেছে এমনটা আমাদের জানা নেই।

 

ভোরের আকাশ/রন