logo
আপডেট : ৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১৭:৩৬
শেরপুরে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
মেহেদী হাসান শামীম, শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

ত্রাণ বিতরণকালে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসান হাফিজুল হক পিএসসি

শেরপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী ও রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে নকলা উপজেলার ধনাকুষা এলাকায় দুই হাজার পরিবারের মাঝে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসান হাফিজুল হক পিএসসি, ক্যাম্প কমান্ডার মেজর তাওসীফ বিন হোসেনসহ অন্যান্য সেনা সদস্য ও প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসান হাফিজুল হক পিএসসি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানের নির্দেশনায় শেরপুর জেলার ৫টি উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এছাড়া বন্যাদুর্গত এলাকায় স্পিডবোটের মাধ্যমে রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এদিকে শেরপুরে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে টানা বর্ষণ এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ৫টি উপজেলার ২৫টি ইউনিয়ন ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় প্রায় দুই শতাধিক গ্রাম পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ। পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ারসার্ভিস, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি জেলায় সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং বাইরে থেকে আগত বেশ কিছু সংগঠন কাজ করছে। তবে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম না থাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

গত শুক্রবার পানিবৃদ্ধির পর থেকে ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেন স্থানীয় প্রশাসন। জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৪১টি। এর মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে ৩০১টি বিদ্যালয়। তার মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ২৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বেশি বন্যাকবলিত হয়েছে নালিতাবাড়ী উপজেলা। উপজেলার ১২ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ১২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১১৯টি বন্ধ রয়েছে।

শেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, বন্যা একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে সেগুগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুলের ভেতরে পানি না উঠলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে।