logo
আপডেট : ১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১৯:৪৫
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়াতে ৩ কর্ম দিবসের আল্টিমেটাম ৩৫ প্রত্যাশীদের
ঢাবি প্রতিবেদক

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়াতে ৩ কর্ম দিবসের আল্টিমেটাম ৩৫ প্রত্যাশীদের

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির জন্য ৩ কর্ম দিবসের আল্টিমেটাম দিয়েছেন "চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশীরা"। রবিবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আলটিমেটাম দেন।

এসময় তারা জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পর্যালোচনা কমিটি সুপারিশ অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারির লক্ষে ৩ কর্ম দিবসের আল্টিমেটাম দেন। সুপারিশ অনুযায়ী চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৫ ও নারীদের ৩৭ বছর।


চাকরিতে প্রবেশসীমা বৃদ্ধির পক্ষে অন্যতম মুখপাত্র ইমতিয়াজ হোসাইন বলেন, এ সরকার আমাদের আবেগকে মূল্যায়ন করেছে। তারা একটি কমিশন গঠন করেছে। যেহেতু এই কমিশন আমাদের যুক্তি শুনে, কথা বলে, গবেষণা করে ৩৫ এবং ৩৭ এর একটি সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছে, আমরা চাই সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্রুত প্রজ্ঞাপন দেয়া হোক।


৩ কর্ম দিবসের ভেতর প্রজ্ঞাপন জারির আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, যদি তিন কর্ম দিবসের ভেতর এ সুপারিশ অনুযায়ী উপদেষ্টাবৃন্দ এবং রাষ্ট্রপতি স্বীকৃত প্রজ্ঞাপন দেয়া না হয় বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের বিছানা হবে রাজপথ।


চাকরিতে প্রবেশসীমা ন্যূনতম ৩৫ রাখার পক্ষে কিছু যৌক্তিকতা পাঠ করে আল আমিন রাজু বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোতে ৫৯ বছর বা অবসরের আগের দিন পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশ করা যায়। তাহলে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উচিৎ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা উন্মুক্ত করা। সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানোর সাথে সরকারের কোন প্রকার আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই কিন্তু সিদ্ধান্তটি খুবই জনকল্যাণ মুখী। ফলে উপকৃত হবে কোটি কোটি শিক্ষিত যুব সমাজ, তার পরিবার, সর্বোপরি দেশের জনগণ।বর্তমানে বাংলাদেশের গড় আয়ু ৭২.৩ বছর, তাই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৫৫ বছর পর্যন্ত অনায়াসে বৃদ্ধি করা যেতে পারে। পাশ্ববর্তী দেশ সমূহে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৪০, ৪৫ এমনকি ৫৫ বছর পর্যন্ত রয়েছে।


তিনি বলেন,বিশ্বের ১৬২ টির অধিক দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৪০ বা তার অধিক রয়েছে, বাংলাদেশে কেন নয়? চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা উন্মুক্ত হলে মেধা পাচার রোধ হবে। চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সের বাঁধা না থাকলে ছাত্র সমাজ চাকরির আশায় বসে না থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি ছোটখাটো কাজ বা ব্যবসা-বাণিজ্যে সম্পৃক্ত থেকে নিজেদেরকে আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। বিদেশ থেকে উন্নত ডিগ্রি অর্জন করেও দেশে এসে মেধা কে কাজে লাগাতে পারবে। প্রবাসে থেকে যারা কাজ করেন, তারা কোন কারণে সে দেশে চাকুরীচ্যুত হলে বা স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দিলে সেক্ষেত্রে নিজ দেশে এসেও তাদের মেধা ও অভিজ্ঞতা কে তাদের নিজ নিজ কাজের ক্ষেত্র সমূহে কাজে লাগিয়ে দেশকে উন্নত করতে ভূমিকা রাখতে পারবে।


সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউসুফ জামিল, সোনিয়া চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, লাবনী আনোয়ার প্রমুখ।

 

ভোরের আকাশ/মি