logo
আপডেট : ১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১৩:১০
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে চাওয়া হবে ইন্টারপোলের সহায়তা
-চিফ প্রসিকিউটর
ভোরের আকাশ প্রতিবেদক

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে চাওয়া হবে ইন্টারপোলের সহায়তা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। একই সঙ্গে চলতি সপ্তাহেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারক নিয়োগ করা হবে বলেও জানান তিনি। গতকাল রোববার ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। সংস্থার ধানমণ্ডি কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়েছে।

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, বিচারক নিয়োগ হলে এ সপ্তাহেই জুলাই গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হবে। তিনি জানান, শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতক ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়া হবে।

একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের বিদায়ের কয়েকমাস আগে থেকেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অকার্যকর হয়ে পড়ে আছে। বিচারকের অভাবেই ট্রাইব্যুনালে বিচার কাজ বন্ধ রয়েছে। এমন অবস্থায় শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালায়। কিন্তু শেষ পর্যন্তু শেখ হাসিনা টিকে থাকতে পারেননি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এখন তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।

শেখ হাসিনার বিদায়ের পর সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্ট রাষ্ট্রের ক্ষমতা নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারই জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক, প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করছে। এরইমধ্যে চিফ প্রসিকিউটরসহ পাঁচজন প্রসিকিউটর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তদন্ত সংস্থায় কয়েকজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়নি। বিচারক নিয়োগ না হওয়ায় বিচার কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না। এবিষয়ে সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল গত ১০ অক্টোবর জানিয়েছিলেন যে চলতি সপ্তাহে বিচারক নিয়োগ দেয়া হবে। এরই সূত্র ধরে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম গতকাল বললেন, চলতি সপ্তাহে বিচারক নিয়োগ হবে। এই বিচারক নিয়োগ হওয়ার পরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হবে ট্রাইব্যুনালে।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেএখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ ৬০টির বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে।

 

ভোরের আকাশ/রন