দীর্ঘ আট মাস বিভিন্ন কারণে বন্ধ থাকার পর পুনরায় উৎপাদন শুরু করেছে চিটাগাং ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (সিইউএফএল)। রোববার রাত ১টা থেকে কারখানায় সার উৎপাদন শুরু করা হয়েছে।
জানা যায়, যান্ত্রিক ত্রুটি ও গ্যাস সংকটের কারণে প্রায় আট মাস বন্ধ ছিল কারখানাটির উৎপাদন। এতে দৈনিক প্রায় ৩ কোটি টাকার ইউরিয়া উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (সিইউএফএল) কারখানা চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত।
সিইউএফএল সূত্রে জানা গেছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত ৭ ফেব্রুয়ারি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়। কারখানা সচল অবস্থায় হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় প্লান্টের রিসাইকেল সলিউশন পাম্পে ত্রুটি দেখা দেয়। পরে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে রিসাইকেল সলিউশন পাম্পের কাজ সম্পন্ন করা হয়। চলতি মাসের ৩ অক্টোবর থেকে গ্যাস পাওয়া গেলেও যান্ত্রিক প্রক্রিয়া শেষে রোববার রাত থেকে উৎপাদন শুরু হয়।
এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বরে গ্যাস সংকট ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কারখানায় দীর্ঘ ১১ মাস ২০ দিন উৎপাদন বন্ধ ছিল। পরে গত বছরের ৫ নভেম্বর পুনরায় কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি রাত থেকেই আবার কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সার উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
এদিকে কারখানাটি সচল থাকলে প্রতিদিন এক হাজার ২০০ টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হয়। প্রতি টন সার ২৫ হাজার টাকা ধরে ডিলারদের কাছে বিক্রি করা হয়। সে হিসাবে প্রতিদিন ইউরিয়া সার থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা আয় হয়।
সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি ও গ্যাস সংকটের কারণে কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন আট মাস বন্ধ ছিল। রোববার রাত ১টা থেকে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়েছে। আশা করছি, কারখানা এবার পুরোদমে চালু করা যাবে। তবে দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ থাকায় দৈনিক ৩ কোটি টাকা করে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার উৎপাদন ক্ষতি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
ভোরের আকাশ/রন